ঈদের দিন সকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন
স্থানে কালবৈশাখী ঝড় ও মৃদু থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে নামাজ শেষে বাসায় ফিরতে
ভোগান্তিতে পড়েন মুসল্লিরা।
বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া
অধিদফতর। এরই ধারাবাহিকতায় ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
এদিকে সকালে আকাশে মেঘ থাকায় মুসল্লিরা
ঘর থেকে ছাতা নিয়ে বের হন। বৃষ্টির কারণে নামাজ শেষে বাসায় ফিরতে অনেকেই বিপাকে পড়েন।
খোলা আকাশের নিচে ঈদগাহে জামাত আয়োজনে বিপত্তি দেখা দেয়। তবে বৃষ্টি হওয়ায় গরম থেকে
রক্ষা পেয়েছে মানুষ। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেকে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. আবুল
কালাম মল্লিক জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া দুপুর ১২টার পর খুলনা,
বরিশাল, কুমিল্লা ও নোয়াখালীর দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ও গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ
জানান, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল বিভাগে কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে। ঢাকায় সকাল ১০টা
থেকে ১১টার মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জেও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গোপালগঞ্জ, খুলনা, মাদারীপুর, শরিয়তপুর,
লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত হতে পারে দুপুর ১২টার
দিকে। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সকল জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মোস্তফা
কামাল পলাশ জানান, মধ্যরাতের পরে ভারতের বিহার রাজ্য থেকে আগত একটি কালবৈশাখী ঝড় রাজশাহী
বিভাগ দিয়ে বাংলাদেশের প্রবেশ করবে রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে। এটি রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর
উপর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বগুড়া, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, টাঙ্গাইল,
মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা, পাবনা, রাজবাড়ি, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, মুন্সিগঞ্জ,
নরায়নগঞ্জ, কুমিল্লা জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
এই আবহাওয়াবিদ আরও জানান, যেহেতু বিহার থেকে আসা ঝড়টি রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে প্রবেশ করেছে, তাই এর প্রভাবে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। মেঘালয় পর্বতমালার ওপর কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার মতো কোনো মেঘের উপস্থিতি দেখা যায়নি।