Logo
শিরোনাম

এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৫০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ঘরের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৫ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিজেদের করে নিলো বাংলাদেশ। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে মিরাজের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। শেষ দিকে রোহিতের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে জয়ের পথেই ছিল ভারত। শেষ বলে জয়ের জন্য ৬ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। তবে শেষ বলে এক রান দিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে মোস্তাফিজ। 

২৭২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় ভারত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বিরাট কোহলিকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার এবাদত হোসেন। দলীয় ৭ রানে ৬ বলে মাত্র ৫ রান করে আউট হন কোহলি। এরপর দলীয় ১৩ রানে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। দলীয় ১৩ রানে ওপেনার শিখর ধাওয়ানকে ফেরান তিনি। ১০ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ধাওয়ান।

শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়ে যায় ভারত। ধাওয়ানের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তাকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ওয়ান ডাউনে নামা শ্রেয়াস আইয়ার। তবে ভারতের ইনিংসে তৃতীয় ধাক্কা দেন আগের ম্যাচে ৫ উইকেট পাওয়া সাকিব আল হাসান। ইনিংসের দশম ওভারের শেষ বলে ওয়াশিংটন সুন্দরকে ফেরান সাকিব। দলীয় ৩৯ রানে ১৯ বলে ১১ রান করে সাকিবের বলে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সুন্দর।

সুন্দরের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন লোকেশ রাহুল। রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামত করার চেষ্টা করেন আইয়ার। তবে দলীয় ৬৫ রানের মাথায় আবারও উইকেট হারায় ভারত। এবার বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন মেহেদী মিরাজ। ২৪ বলে ১৪ রান করা লোকেশ রাহুলকে সাজঘরে ফেরান তিনি। 

রাহুলের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অক্ষর প্যাটেল। এক প্রান্তে উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্তে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকে ওয়ান ডাউনে নামা শ্রেয়াস আইয়ার। নিজের সাবলীল ব্যাটিংয়ে তুলে নেন নিজের অর্ধশতক। অক্ষর প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন তিনি। অক্ষর প্যাটেল ও আইয়ারের শক্ত জুটিতে ম্যাচে ফেরে ভারত। দুজন মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১০১ বলে ১০৭ রানের জুটি গড়েন। দু'জন মিলে ভারতকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন।

তবে ইনিংসের ৩৫তম ওভারে এসে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মেহেদী মিরাজ। দলীয় ১৭২ রানে মেহেদীকে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে আফিফের হাতে ধরা পড়েন শ্রেয়াস আইয়ার। ১০২ বলে ৮২ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান আইয়ার।

আইয়ারের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন শার্দুল ঠাকুর। তাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিং চালিয়ে যান প্যাটেল। ৫০ বল খেলে তুলে নেন নিজের অর্ধশতক। তবে অর্ধশতক করার পরেই সাজঘরে ফিরে যান অক্ষর প্যাটেল। দলীয় ১৮৯ রানে ৫৬ বলে ৫৬ রান করে আউট হন তিনি। এবাদতের বলে সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। পর পর দুই উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ।

অক্ষর প্যাটেলের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন দিপক চাহার। ইনিংসের ৪৩তম ওভারে বোলিংয়ে এসে আবারও বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন সাকিব আল হাসান। বোলিংয়ে এসে শার্দুল ঠাকুরের উইকেট তুলে নেন সাকিব। সাকিবকে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন শার্দুল ঠাকুর। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন চোট পাওয়া অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

এরপর ইনিংসের ৫৬তম ওভারে বোলিংয়ে এসে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন পেসার এবাদত। দলীয় ২১৩ রানে পুল করতে গিয়ে শান্তর হাতে ধরা পড়েন দিপক চাহার। ১৮ বলে ১১ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ওভারের তৃতীয় ও পঞ্চম বলে এবাদতকে ছক্কা হাঁকান রোহিত শর্মা। শেষ বলে চার মেরে ওভার শেষ করেন তিনি।

ইনিংসের ৪৭তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মিরাজ। তবে ইনজুরির কারণে এক বলে করে ওভার শেষ না করেই মাঠ ছাড়েন তিনি। তার পরিবর্তে বল করতে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। পাঁচ বল করে মাত্র ১ রান দেন মাহমুদুল্লাহ। জয়ের জন্য শেষ তিন ৩ ওভারে ৪০ রান প্রয়োজন হয় ভারতের।

ইনিংসের ৪৮তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। এই ওভার মেডেন করেন তিনি। ফলে শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ৪০ রান প্রয়োজন হয় ভারতের।

ইনিংসের ৪৯তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মাহমুদুল্লাহ। ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান রোহিত। পরের বলে ওয়াইডের সঙ্গে বাই দুই রান নেয় ভারত। ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্যাচ উঠলেও তা ছেড়ে দেন এবাদত। ওভারের তৃতীয় বলে আবারও ছক্কা হাঁকান রোহিত। ওভারের চতুর্থ বলে দুই রান নেন তিনি। ওভারের পঞ্চম বলে ক্যাচ উঠলে আবারও তা ছেড়ে দেন বিজয়। তবে শেষ বলে সিরাজকে বোল্ড করেন মাহমুদুল্লাহ।

শেষ ওভারে  জয়ের জন্য ২০ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজুর। প্রথম বল ডট দিয়ে দ্বিতীয় বলে চার মারেন রোহিত। ওভারের তৃতীয় বলে ফের চার মারেন রোহিত। শেষ তিন বলে ১২ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। ওভারের চতুর্থ বল ডট করেন মোস্তাফিজ। এরপর ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকান রোহিত। শেষ বলে ছয় রান প্রয়োজন হয় ভারতের। তবে শেষ বলে মাত্র এক রান দিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে মোস্তাফিজ। শেষ পর্যন্ত ৫ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ।

রোহিত শর্মা ২৮ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর বাংলাদেশের পক্ষে এবাদত হোসেন নেন সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট। আর সাকিব ও মিরাজ নেন ২টি করে উইকেট।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর