Logo
শিরোনাম

এক শিক্ষক দিয়েই চলছে ২শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১০২০জন দেখেছেন
Image

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দুর্গম চরাঞ্চলের এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষিকাকে দিয়ে চলছে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান। ফলে এরই মধ্যে ঝরে পড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ৬টি পদের মধ্যে ৫টিই শূন্য।

স্থানীয়রা বলছেন, দুই বছর থেকে একজন শিক্ষিকাকে দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি চলছে। ফলে ছাত্রছাত্রীরা অন্যত্র চলে যাচ্ছে। অনেকেই আবার পড়ালেখা বাদ দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, সামনের নিয়োগে বিদ্যালয়ের শূন্যপদে শিক্ষক দেওয়া হবে। তবে আপাতত খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। এদিকে, যোগদানের কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) এখনো খোঁজ খবর নিতে যাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ উঠলে নানা ব্যস্ততার কারণে প্রতিষ্ঠানে যেতে পারেননি বলে অজুহাত দেখান।

উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নে ১৯৯০ সালে স্থাপিত হয় দক্ষিণ নটারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। পরে ১৯৯৮ সালে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে প্রতিষ্ঠানটি সরিয়ে নেওয়া হয় ওই ইউনিয়নের ডাটিয়ার চর এলাকায়। পরে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হলে একসঙ্গে ৫ শিক্ষক দিয়ে ভালোভাবেই পাঠদান চলছিল। ২০১৯ সালে এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছিল বলে জানান দায়িত্বরত শিক্ষক। এদিকে, ২ বছরে প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ শিক্ষক অবসরে গেলে লেখাপড়ার গতি কমে যায়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ২ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে শিক্ষকের অভাবে প্রতিটি শ্রেণির সব বিষয়ে ক্লাস নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মোছা. রোজিনা খাতুনের। ফলে শিক্ষার্থীরা পাশের মাদরাসাসহ অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে যাচ্ছে। আবার অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।

দক্ষিণ নটারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, সহকারী শিক্ষিকা রোজিনা খাতুন প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছেন। তার সুবিধার জন্য তিনি সম্প্রতি বিনাপারিশ্রমিকে একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক না থাকায় তিনি ভারপ্রাপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিতিও অনেক কম। প্রথম শ্রেণিতে ৪৫ জনের মধ্যে ২৫, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৫০ জনের মধ্যে ১৮, তৃতীয় শ্রেণিতে ৩০ জনের মধ্যে ১০, চতুর্থ শ্রেণিতে ৩১ জনের মধ্যে ১৩ এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ৩১ জনের মধ্যে ১০ জন উপস্থিত ছিল। শিক্ষার্থীরা বলছে, শিক্ষক না থাকায় সব বিষয়ে ক্লাস হচ্ছে না, তাই অনেকেই বিদ্যালয়ে আসে না।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রোজিনা খাতুন বলেন, ২ বছর ধরে শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ে একাই ক্লাস নিতে হচ্ছে। ফলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে ৫টি শূন্য এখনো শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে যাচ্ছে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, একা ক্লাস নিতে সমস্যা হওয়ায় শিক্ষা অফিসে কথা বলে অনির্দিষ্টকালের জন্য একজনকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন আহ্বায়ক হলেও তিনি স্কুলেই আসেননি। নিচ্ছেন না কোনো খোঁজখবরও।

খণ্ডকালীন শিক্ষক মোছা. মমতাজ খাতুন বলেন, প্রধান শিক্ষকের একা স্কুল চালাতে কষ্ট হয়। যার ফলে আমি বিনাপারিশ্রমিকে সময় দিচ্ছি। যাতে প্রতিষ্ঠানটি ভালোভাবে চলে।

এলাকার জহরুল ইসলাম বলেন, ২ বছর ধরে একজন শিক্ষক দিয়ে এই স্কুল চলছে। ফলে এখানকার ছাত্রছাত্রীরা ঝরে পড়ছে। এভাবে কি একটা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে?

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোহাম্মদ আলী বলেন, এখানে আর আগের মতো ক্লাস হয় না। ফলে ছেলেমেয়েরা আসতে চায় না। স্কুলে যদি পড়ালেখা না হয় তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। তাই এই স্কুলে দ্রুত শিক্ষক দেওয়া হোক- এটাই আমাদের দাবি।

জব্বার নামের একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্কুলের কমিটিতে যদি এটিও থাকে তাহলে তিনি কী করেন, এক দিনও স্কুল দেখতে এলেন না। প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি। কেন স্কুলে যাননি- এ পশ্নে তিনি বলেন, ব্যস্ততার কারণে স্কুলে যেতে পারিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলার মাসিক উন্নয়ন সভায় বিষয়টি জানতে পেরেছি। আগে জানা ছিল না। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। আপাতত ২-৩ জনকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। তাদের বেতন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। যত দিন সরকারিভাবে কোনো শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়া হয়, তত দিন তারা ক্লাস নেবেন।

ইউএনও আরো বলেন, কুড়িগ্রামের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা হয়েছে। সামনের নিয়োগে ওই বিদ্যালয়ের শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর