Logo
শিরোনাম

একনায়কতন্ত্রের দ্বারপ্রান্তে তুরস্ক

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জানুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটোর মধ্যে তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম। দেশটি অশান্ত প্রতিবেশি দেশগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়ায়। সম্প্রতি দেশটি পশ্চিম বলকান, পূর্ব ভূমধ্যসাগর ও আফ্রিকায় প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেছে। সর্বোপরি, এটি কৃষ্ণ সাগর ঘিরে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গত বছর তুরস্ক ক্ষুধার্ত বিশ্বে ইউক্রেনীয় শস্য পাঠানোর ব্যাপারে জাতিসংঘের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিল। তুরস্কের সাধারণ নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। ২০২৩ সালেই নির্বাচন হচ্ছে দেশটিতে। এবারের নির্বাচন ঘিরে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ানের ফিরে আসার সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছে দ্য ইকোনমিস্ট।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, বহিরাগতদের তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও সংসদীয় নির্বাচনের দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ান আভাস দিয়েছেন, আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচন। অনিয়মিত প্রেসিডেন্টের কারণে দেশটি বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের আচরণ ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

২০০৩ সালের মার্চ মাসে যখন এরদোয়ান দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তুরস্কের জন্য তিনি প্রতিশ্রুতির ডালি নিয়ে বসেছিলেন। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের ভয় ছিল, তার একটি অতিমাত্রায় ইসলামপন্থি এজেন্ডা ছিল, কিন্তু তিনি ও তার জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টি এটি অনুসরণ করতে পারেননি। এরদোয়ানের ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রথম কয়েক বছর তার সরকার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এনেছে যেটি কয়েক দশক ধরে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। তিনি সেই জেনারেলদের প্রতিহত করেছিলেন যারা প্রায়ই রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেন এবং অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালান। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে তিনি সংস্কার পথ বেছে নেন। এমনকি তিনি তুরস্কের সবচেয়ে বড় জাতিগত সংখ্যালঘু কুর্দিদের কাছে শান্তির অনুভূতিও প্রকাশ করেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীর হাতে নিপীড়নের শিকার হন। ২০০৫ সালে তার বড় অর্জন যা তার সমস্ত পূর্বসূরীরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। সেটি হচ্ছে, তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের বিষয়ে আলোচনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান যতবেশি ক্ষমতায় থাকছেন তার ততবেশি স্বৈরাচারী মনোভাবও বেড়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১১ বছর পর তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং সেই আগের দুর্বল পদটিকে একটি প্রভাবশালী পদে পরিণত করতে শুরু করেন। ২০১৬ সালে একটি অভ্যুত্থানের চেষ্টার পর তিনি কয়েক হাজার লোককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন। এই চক্রান্তের জন্য দায়ী ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে সংযোগের নিছক অজুহাতে গ্রেফতারও করা হয় অনেককে। এই ইস্যুতে দ্য ইকোনমিস্টের বিশেষ প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবে, তিনি অবিচ্ছিন্নভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন এবং চেক ও ব্যালেন্স নষ্ট করেছেন। তিনি অনেক গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রীয় প্রচারের হাতিয়ারে পরিণত করেছেন। তিনি কার্যত ইন্টারনেট সেন্সর করেছেন। তিনি বিরোধী নেতাসহ অনেক সমালোচককে কারাগারে নিক্ষেপ করেছেন। তিনি একে পার্টির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীদের দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। তিনি বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন, আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধীদের হয়রানি করেন বলেও অভিযোগ আছে।

এরদোয়ান ক্ষমতার তৃতীয় দশকের কাছাকাছি এসে তার ক্রমবর্ধমান উদ্ভট ধারণা দ্রুত জনসাধারণের নীতিতে পরিণত হচ্ছে। এভাবে, তিনি পূর্বে স্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর একটি আর্থিক তত্ত্ব চাপিয়েছেন যা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। তিনি মনে করেন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিকার হলো অর্থ সস্তা করা। তুর্কি মুদ্রাস্ফীতি ৬৪ শতাংশ হওয়ার এটাই প্রধান কারণ ছিল। ফলে দেশটিতে জীবনযাত্রার মান সংকুচিত হচ্ছে এবং উত্তেজনা বাড়ছে। বিশেষ করে শহরগুলোতে ভোটাররা পিছিয়ে পড়ছেন।

৩ বছর আগে এরদোয়ানের দল তিনটি বৃহত্তম শহর আঙ্কারা, ইস্তাম্বুল এবং ইজমিরে মেয়র নির্বাচনে হেরে যায়। বিভিন্ন জরিপ বলছে, তিনি চার মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্টের পদ হারাতে পারেন, যদি বিরোধীরা তার সেরা প্রার্থীর পেছনে একত্রিত হয় এবং নির্বাচন কমবেশি স্বচ্ছ হয়। তবে এটি একটি বড় যদি। কেননা এরদোয়ান অসম ক্ষেত্রটিকে তার বাগে আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগ্লু, সম্ভবত এরদোয়ানের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। সম্প্রতি কারাগারে গেছেন তিনি এবং রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের যারা তার প্রথম মেয়র বিজয় বাতিল করেছে তাদের মূর্খ বলার জন্য তার এ সাজা। সরকার সাংবিধানিক আদালতকে পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি) বাতিল ঘোষণা করতে বলেছে। এটি কুর্দিদের বৃহত্তম দল, যাদের অনেক নেতা এখন কারাগারে বন্দী। আদালত এইচডিপির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেন। দেশটির এই প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হলে বিরোধীদের কুর্দি ভোটারদের সমর্থন প্রয়োজন হবে।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান একবার গণতন্ত্রকে একটি ট্রাম যাত্রার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আপনি যখন আপনার গন্তব্যে পৌঁছাবেন, আপনি নামবেন। বলা হচ্ছে, তার অধীনে নির্বাচন খুব কমই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যদিও বিপুল সংখ্যক ভোটার অংশ নিয়েছে নির্বাচনে। এবার উদ্বেগের বিষয় হলো এরদোয়ান পরাজয়ের ভয়ে যদি উঠে দাঁড়ান এবং নির্বাচন সুষ্ঠু বা অবাধ হবে না বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পশ্চিমা নেতাদের কথা বলা দরকার। আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো প্রায়শই এরদোয়ানের সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকে কারণ সমস্যাগুলো এক হলেও বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয় আছে। কেউ চায় না তুরস্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ সম্পূর্ণ দুর্বৃত্ত হয়ে যাক। সবাই অবগত যে একজন অসন্তুষ্ট, বিচ্ছিন্ন তুর্কি প্রেসিডেন্ট বড় দুষ্টুমি করতে পারে। তিনি গ্রীস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে ভয়ানক আঞ্চলিক ঝগড়া উসকে দিতে পারেন। সিরিয়ায় আরও বিভ্রান্তি ও সংঘর্ষের সৃষ্টি করতে পারেন। তিনি তুরস্কের ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ অভিবাসী বা শরণার্থীদের দক্ষিণ ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার অনুমতি দিতে পারেন। তিনি ন্যাটো সদস্য হওয়া সত্ত্বেও ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের জন্য ন্যাটোতে যোগদানকে অবরুদ্ধ করে ইউক্রেনের পক্ষ নিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন।

তবুও তুরস্কের পশ্চিমাদেরও প্রয়োজন, অন্তত দেশটির বিধ্বস্ত অর্থনীতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য। দেশটিকে বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ পুনরুজ্জীবিত করার একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে। কারণ এটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রতিক্রিয়ায় ভেঙে পড়েছে। তুরস্ক কম উৎপাদনশীলতা উন্নত করতে পশ্চিমা প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে। এটি পশ্চিমা অস্ত্র চায়, বিশেষ করে আমেরিকান যুদ্ধবিমান। এরদোয়ান যদি গণতন্ত্রের দিকে ফিরে যান এবং স্বৈরশাসকদের ক্লাবে যোগদান করেন তবে এসব জিনিস কোনোটিই সুরক্ষিত হবে না। এই সব তাকে পশ্চিমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য একটি শক্তিশালী প্রণোদনা দেয়।

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পশ্চিমা নেতাদের দর কষাকষির ক্ষমতা দেওয়া উচিত। এরদোয়ান সম্প্রতি তার মধ্যপ্রাচ্যের অনেক প্রতিবেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। পশ্চিমা নেতাদের তাই নির্বাচনের আগে ব্যক্তিগতভাবে এবং প্রকাশ্যে ইমামোগ্লু ও এইচডিপির ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কথা বলে এরদোয়ানকে দেখানো উচিত, তারা তার আচরণ সম্পর্কে কতটা সচেতন। এরদোয়ানকে প্রান্ত থেকে টেনে তুলতে দেরি হয়নি পশ্চিমাদের। তবে এখনই তাকে সতর্ক করা শুরু করতে হবে।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর