Logo
শিরোনাম

একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখে যেতে চাই: নতুন রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপক্ষেভাবে সম্পন্ন করতে যে যে পদক্ষেপ নেওয়ার তাই নেবেন বলে জানিয়েছেন দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আজ সোমবার বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে চ্যালেঞ্জের কথা বলতে গিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মাত্র ৮-১০ মাস পরেই জাতীয় নির্বাচন। আমার  এই মুহূর্তের দায়িত্ব হলো অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে মনোযোগ দেওয়া। যা সারা বিশ্বে স্বীকৃত হয়। এটা আমাদের এখন দরকার। আমরা বলি যে অরাজনৈতিক দাবি তুলে, সংবিধানের বাইরে দাবি তুলে- সেটা করা সম্ভব নয়। আমরা সংবিধানের বাধ্যগত।’

তিনি বলেন, এই সংবিধানের ৫৮/সি- এটা ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাতিল হয়ে যায়। এটি এখন সংবিধানের অংশ নয়। সংবিধানের অংশের মধ্যে থেকে আমাদের সকল দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে এবং এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন তার পুরো দায়িত্ব পালন করবে।’

নির্বাচন সম্পন্ন করতে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা তুলে ধরে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে রাষ্ট্রপতির কিছু কিছু দায়িত্ব আছে যে নির্বাচন কমিশনকে সঠিকভাবে কাজ করতে করতে যেসব অন্তরায় সৃষ্টি হয় সেই অন্তরায়কে দূর করা। নির্বাচনী পরিবেশকে সুষ্ঠু ও সুন্দর রাখা।

নতুন রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে কিন্তু নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা লেখা ছিল, বহু সময় ধরে। কিন্তু এ কমিশন গঠন করার প্রক্রিয়ায় কেউ হাত দেয়নি। কিন্তু এইবার আমাদের নেত্রী, জাতীয় নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন ‘‘আমি সংবিধানের ভেতরে থেকেই সংবিধানের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন গঠন করব’’। এবং তিনি তাই করলেন। সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় তিনি নির্বাচন কমিশন আইন করলেন। এবং সেই আইনের অনুবলে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, আমাদের এটা (নির্বাচন কমিশন) সম্পূর্ণ স্বাধীন, নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া ছিল সম্পূর্ণ স্বচ্ছ। সেই সিইসি থেকে ইসিরা সব সার্চ কমিটির মাধ্যমে মনোনীত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন বলেই গাইবান্ধার উপনির্বাচনে কমিশন তাদের অধিকার প্রয়োগ করেছে।’

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আগামী নির্বাচনে আমি মনে করি জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে সংঘাত ভুলে গিয়ে, ২০১৪-২০১৮ সালের মতো সংঘাতে না গিয়ে, মানুষের ক্ষতি না করে, জান-মালের ক্ষতি না করে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায় তাহলেই এ দেশের মঙ্গল, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হবে। মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে এগোবে এবং দেশে একটি সত্যিকারের সরকার, শক্তিশালী সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হবে।’

তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানের ৭ ধারায় বলা আছে যে দেশের মালিক জনগণ। তাহলে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারই তো তাদের জন্য ভালো-মন্দের বিষয়টি তাদেরই দ্বারাই তো প্রয়োগ করা সম্ভব এবং কাজ করা সম্ভব।’

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাকে এখন... এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। বর্তমানে যে পরিস্থিতি সারাদেশে। নির্বাচনের ১০ মাস আগে থেকেই যে সমস্ত সংঘাত সৃষ্টি করা...।’

সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে আপনার উদ্যোগ থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক, এটা তো শুধু সরকারের কামনা নয়, সারা বিশ্বের কামনা। সারাদেশের সকল জনগণের কামনা। যে সব দলের অংশগ্রণে সে যতেই ছোট দল হোক, যতই বড় হোক, জোট হোক- সকলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হলে তাদের নিজেদের স্বার্থেই আসতে হবে।’

তিনি বলেন, আমরা যদি নিশ্চিত করি যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে... তারা (বিরোধীরা) সংবিধানের সংশোধনীর কথা বলে, নানা যুক্তি দেখায়, যারা দেখায় তাদের যুক্তি তাদের কাছে আছে। আমি এটা নিয়ে বিতর্কে যাব না। তবে সংবিধানের ভেতরে থেকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমি সংবিধানের মধ্যে থেকেই নির্বাচন করতে চাই।’

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, তাহলে আমাদের দায়িত্ব কী? সরকারের দায়িত্বটা কী? সরকারের দায়িত্ব হলো নির্বাচন কমিশনকে তাদের যে প্রদত্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেই ক্ষমতার মধ্যে থেকেই তারা যেন সকল দায়িত্ব পালন করে।’

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির কোনো কোনো সময় হস্তক্ষেপের প্রয়োজন পড়ে। জাতীয় দুর্যোগ দেখা যায় বা নির্বাচন নিয়ে কোনো অরাজকতা অবস্থা দেখা যায় বা দেখা যায় যে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনী পরিবেশটাকে নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে সে সময় রাষ্ট্রপতির কিছু কিছু কাজ করার থাকে। আমি এ ব্যাপারে পিছপা হব না, কারণ আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি দেশ স্বাধীন করেছি, এতটুকু রক্ত তো দিয়েছি দেশের জন্য।’

নতুন রাষ্ট্রপতি বলেন, তাই নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য যে অবস্থার... নৈরাজ্য সৃষ্টির যদি চেষ্টা করা হয় সেক্ষেত্রে আমার যে ভূমিকা সে ভূমিকা আমি রাখব। কিন্তু আমি চাইব একটি ন্যায়ভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে আমি যেন আমার ক্ষমতাকে প্রয়োগ করি। যাতে সেখানে পক্ষপাতিত্বের চিহ্নও যাতে না থাকে। মানুষ উপলদ্ধি করতে পারে যে প্রেসিডেন্ট যে কাজটি করেছে তা দেশের জন্য করেছে। যদি প্রয়োজন হয়, আর যদি প্রয়োজন না হয়... যদি মানুষের প্রত্যাশা হয় আমি নিরপেক্ষভাবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করব। আমি মানুষের মধ্যে যেন এই চিন্তাধারাটা যদি আসে আসুক, এটাই আমি চাই যে আমি আমার ক্ষমতাটাকে প্রয়োগ করেছি শুধু নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে। কাউকে অবদমিত করার স্বার্থে নয়।’

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার স্বার্থে আমি আমার দায়িত্ব পালন করব সেখানে যদি ভুক্তভোগী হয় শাসকদল, হলে হতে পারে। যদি বিরোধীদল হয়, হলে হতে পারে। কিন্তু আমি চাই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন। আমি সেখানে আমার দায়িত্ব পালন করব।  আমি ন্যায়ভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর