Logo
শিরোনাম

এশিয়াজুড়ে ভোক্তা ব্যয় ধীর হওয়ার আশঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে কোভিডজনিত বিধিনিষেধ অব্যাহত রেখেছে চীন। করোনা সংক্রমণ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় লকডাউন আরোপ করা হচ্ছে। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক কার্যক্রম নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ভোক্তারা ব্যয়ের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করছেন। এমন পরিপ্রেক্ষিতে চীনের জাতীয় দিবসের ছুটিতে ভ্রমণ ও ব্যয় কমে গিয়েছে। এতে এশিয়াজুড়ে ভোক্তা ব্যয় ধীর হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ১ অক্টোবর শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী জাতীয় দিবসের ছুটিতে চীনে ৪২ কোটি ২০ লাখ পর্যটকের ভ্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে। এ সংখ্যা গত বছরের ছুটির মৌসুমের তুলনায় ১৮ দশমিক ২ শতাংশ কম। কোভিডজনিত কঠোর বিধিনিষেধের কারণে চলতি বছরও দেশটির অভ্যন্তরীণ পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি জানিয়েছে, চলতি বছরের জাতীয় দিবসের ছুটিতে ভ্রমণকারীর সংখ্যা মহামারীপূর্ব ২০১৯ সালের পর্যায়ের ৬০ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুসারে, এ সময়ে অভ্যন্তরীণ পর্যটন আয় ২৮ হাজার ৭২০ কোটি ইউয়ানে (৪ হাজার ৩৭ কোটি ডলার) দাঁড়িয়েছে। এ খাতে আয়ের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ২ শতাংশ কম। পাশাপাশি এটি প্রাক-মহামারী ২০১৯ সালের স্তরের মাত্র ৪৪ দশমিক ২ শতাংশে রয়ে গিয়েছে। এদিকে চায়না স্টেট রেলওয়ে গ্রুপের প্রাথমিক পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে আরেক রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন জানিয়েছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত রেলে বুক করা ট্রিপের সংখ্যা ৬ কোটি ৮৫ লাখে উন্নীত হয়েছে। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৮ শতাংশ কম। গত বছরের জাতীয় দিবসের ছুটিতে ১১ কোটি টিকিট বুক করা হয়েছিল।

অনলাইন টিকিট পরিষেবা দেয়া মাওয়ান ইন্টারটেইনমেন্টের মতে, চলতি বছরের ছুটির মৌসুমে (গত শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর পর্যন্ত) সিনেমার টিকিট বিক্রিও কমেছে। এ সময়ে অর্থের হিসাবে টিকিট বিক্রি ১৪০ কোটি ইউয়ানে (২৮ কোটি ২০ লাখ ডলার) পৌঁছেছে। এটি গত বছরের সাতদিনের ছুটিতে টিকিট বিক্রির তুলনায় এক-তৃতীয়াংশেরও কম। ২০২০ সালের ছুটির মৌসুমেও প্রায় ৪০০ কোটি ইউয়ানের সিনেমা টিকিট বিক্রি হয়েছিল।

দুর্বল ব্যয়ের পরিসংখ্যান চীনের ভোক্তা ব্যয় পুনরুদ্ধার নিয়ে হতাশাজনক পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। আবার একই সময়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নিয়েও ঝুঁকি বাড়ছে। দেশটির রিয়েল এস্টেট বাজারের মন্দা সহজ হওয়ারও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। পাশাপাশি চীনা পণ্যের বৈশ্বিক চাহিদা কমছে এবং ডলারের বিপরীতে মুদ্রার বিনিময় হার নিম্নমুখী রয়েছে। বেশ কয়েকজন অর্থনীতিবিদ বলছেন, ২০২৩ সালের মার্চের আগে জিরো কভিড নীতি সহজ করার সম্ভাবনা নেই বেইজিংয়ের।

চীনা অর্থনীতিতে এমন অবনতি বিদ্যুৎচালিত গাড়ি থেকে সেমিকন্ডাক্টর ও অনলাইন কেনাকাটা পর্যন্ত এশিয়াজুড়ে বিস্তৃত মন্দার চিত্র তুলে ধরে। এছাড়া আগামীতে এ চিত্র আরো দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। স্যামসাং ইলেকট্রনিকস ২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মতো মুনাফা কমার খবর দিয়েছে। চিপের ক্রয়াদেশে তীব্র পতন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি এবং সুদের হার বাড়ানোর কারণে ভোক্তা মনোভাবে আঘাত করার জন্য এটিকে সামষ্টিক অর্থনীতিতে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

গত কয়েক দিন চীনে আবারো কোভিডের সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। পার্টি কংগ্রেসের আগে সংক্রমণ মোকাবেলায় কর্তৃপক্ষ ক্রমবর্ধমান চাপের সম্মুখীন হচ্ছে। জাতীয় দিবস বা গোল্ডেন উইক চলাকালীন বাড়িতে থাকার অনুরোধ সত্ত্বেও চীনারা ভ্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ছুটিতে পর্যটন গন্তব্যগুলো সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে এবং দক্ষিণের ইউনান থেকে উত্তরে ইনার মঙ্গোলিয়া এবং পশ্চিমে জিনজিয়াং পর্যন্ত নতুন করে লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। ক্রমবর্ধমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি সত্ত্বেও বেইজিং মহামারীর শুরু থেকেই এমন কঠোর নীতি অব্যাহত রেখেছে।

নিউজ ট্যাগ: চীন

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর