সাবেক প্রধান
বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এস কে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে করা ঋণ জালিয়াতি
মামলার রায় আজ মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর)। এ রায় ঘোষণা করবেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর
বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
এর আগে দুই দফা
রায় ঘোষণার দিন পরিবর্তন হয়। প্রথম দফায় গত ৫ অক্টোবর বিচারক অসুস্থ থাকায় এবং দ্বিতীয়
দফায় গত ২১ অক্টোবর রায় প্রস্তুত না হওয়ায় রায় ঘোষণা হয়নি। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ
(দুদক) ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য প্রথম দফায় ৫ অক্টোবর
দিন ধার্য করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা
হলেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক)
সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট
স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট
সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান,
একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী
রায়।
গেল ২৯ আগস্ট
আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে সাত আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার
প্রত্যাশা করে। সাত আসামি হলেন- ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান
মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম,
ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক
এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও একই এলাকার বাসিন্দা
নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা। এরপর তারা লিখিত বক্তব্য দেবেন বলে আদালতকে জানান।
এ মামলার পলাতক
আসামিরা হলেন- এস কে সিনহা, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, টাঙ্গাইলের
বাসিন্দা রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী। এ ছাড়া আসামি মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ মারা
যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ৪ কোটি টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে এস কে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তরের অভিযোগে গত বছরের ১০ জুলাই মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।