সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে বিএম কনটেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের আলাদা তদন্ত কমিটি।
প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এতথ্য জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অনাকাঙ্ক্ষিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এবং বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় বিএম কনটেইনার মালিকপক্ষ গভীর দুঃখ ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে।
সেই সঙ্গে দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে নগদ সহায়তা, যারা গুরুতর আহত হয়েছেন কিংবা অঙ্গহানীর শিকার হয়েছেন তাদেরকে ১০ লাখ টাকা করে এবং অপরাপর আহতদের ৬ লাখ টাকা প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়।
দুর্ঘটনার পর থেকে ২০টি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে আহতদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে কোম্পানির পক্ষ থেকে। রোগী ও তাদের আত্মীয় স্বজনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিনামূল্যে ওষুধের জন্য দোকানকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আহতদের রক্তদানের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি প্রায় ৫০০ জনকে কোম্পানির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছায় রক্তদাতা হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২৮০ জন স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়ে রোগীদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। সেই সঙ্গে আহতদের সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় কোম্পানির পক্ষ থেকে।
বিএম কনটেইনার মালিকপক্ষ আরো জানায়, এই মর্মান্তিক অগ্নিদুর্ঘটনায় কর্মচারী নিহত হলে তাদের পরিবারে শিশু থাকলে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার পরিবারকে বেতনের সমপরিমাণ টাকা দেওয়া এবং উপার্জনক্ষম সদস্য থাকলে চাকুরির ব্যবস্থা করার ঘোষণাদেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এই দুঘর্টনার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং সরকার গঠিত তদন্ত কমিটিগুলোকে পূর্ণ সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয় কোম্পানির পক্ষ থেকে।