Logo
শিরোনাম

ফেনীতে বাঁধ ভেঙে প্লাবন, কুমিল্লায় বন্যার আশঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১১১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ফেনীতে টানা তিনদিনের প্রবল বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের নতুন করে একটি স্থানে ভেঙে আরও দুই গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সোমবার রাত ১২টার দিকে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার পশ্চিম অলকা স্থানে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এর আগে সোমবার সকালে দুই ফুট পানিতে তলিয়ে যাওয়া ফুলগাজী বাজার থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।

সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ফুলগাজী উপজেলায় তিনটি স্থানে (উত্তর দৌলতপুর, বরইয়া ও দেড়পাড়া) ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয় বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আকতার হোসেন।

আকস্মিক বন্যায় তলিয়ে যায় ফুলগাজী বাজারের প্রধান সড়ক ও নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় চার শতাধিক পরিবারের সহস্রাধিক মানুষ। ভেসে গেছে শতাধিক পুকুর ও মাছের ঘের। ফসলি জমিসহ ডুবে গেছে বিস্তীর্ণ সবজির মাঠ।

ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সেলিম জানান, পাহাড়ি ঢল ও উজানের পানির চাপে সোমবার সকালে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বরইয়া রতন মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন স্থানে, ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর সেকান্তর মাস্টার বাড়ি সংলগ্ন স্থানে ও একই ইউনিয়নের দেড়পাড়া নামক স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সদর ইউনিয়নের দেড়পাড়া, নিলক্ষী, উত্তর নিলখী, উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ শ্রীপুর, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, গাবতলা, মনতলা, গোসাইপুর, দরবারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বরইয়া ও বসন্ত পুরসহ অন্তত ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানে ভারতের পাহাড়ি ঢলে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলাকে সম্ভাব্য দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কবল থেকে রক্ষার খুলে দেওয়া হয়েছে সোনাগাজীর মুহুরী রেগুলেটরের সব গেট (৪০ গেট)।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নুর নবী বলেন, সোমবার সারাদিনে মুহুরী নদীর ১২২ কিলোমিটার বাঁধের চারটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে ফুলগাজী ও পরশুরামের কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দুই উপজেলা যাতে বন্যার কবলে না পড়ে সেই বিবেচনায় অতিরিক্ত পানি সরে যেতে রেগুলেটরের সব গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।

হঠাৎ করে সব গেট খুলে দেওয়ার বিষয়ে নুর নবী আরও বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এক দিনে মুহুরী নদীতে ১২৩ সেন্টিমিটার (১.২৩ মিটার) পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মুহুরী রেগুলেটরে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ২ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার হলেও বর্তমানে সেই প্রবাহ ৩ দশমিক ৯ সেন্টিমিটার ঠেকেছে।

পানির প্রবাহ ৪ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার হলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য অতিরিক্ত পানি সরে যেতে মুহুরী রেগুলেটরের ৪০টি গেট খুলে দেওয়া হয়।

ফুলগাজীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশ্রাফুন নাহার বলেন, মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধে ভেঙ্গে যাওয়া স্থানগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। যেস্থানে পানি কমে গেছে সে স্থান দ্রুত মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পানিবন্দি মানুষগুলোর মাঝে পাঁচশত প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদার বলেন, প্রতিবছর বন্যায় এ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্থরা ত্রাণ চায় না। তারা বেড়িবাঁধে স্থায়ী মেরামত চায়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, মুহুরী নদীতে পানির ল্যাবেল ১৩ মিটার পর্যন্ত স্বাভাবিক। এর উপরে গেলে নদীর উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে। সোমবার রাতে মুহুরী নদীতে ১৪ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার (১.২৩ মিটার বৃদ্ধি) উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। বাঁধ ভাঙার খবর শুনে আমাদের লোকজন ঘটনাস্থলে যেয়ে বিষয়টি নিয়মিত মনিটর করছে। পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে ও বাঁধের ভেঙে যাওয়া স্থানগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে।

নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আরও বলেন, ইতোপূর্বে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২১টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে মেরামতের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিলো। তবে এখনও তা পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১২২ কিলোমিটার অংশে বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে পরশুরাম ও ফুলগাজীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। বিগত দেড় দশক ধরে দুই উপজেলার বাসিন্দারা স্থায়ী বাঁধ নির্মানের দাবি জানালেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় থমকে রয়েছে নতুন বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর