যুদ্ধাবস্থাকে
কেন্দ্র করে সাময়িকভাবে স্থানান্তরের পর অবশেষে কিয়েভে ফিরেছে ইউক্রেনে নিযুক্ত তুর্কি
দূতাবাস। ইউরোপের দুই দেশ লিথুয়ানিয়া ও এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূতরাও কিয়েভে ফিরবেন
বলে জানা গেছে। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
রাশিয়া ও ইউক্রেন
মধ্যকার যুদ্ধের কারণে অস্থায়ীভাবে ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় চেরনিভতসি শহরে
নিজেদের ইউক্রেনীয় দূতাবাস স্থানান্তর করেছিল তুরস্ক। মঙ্গলবার তুর্কি কর্তৃপক্ষের
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দূতাবাসটি তার নিজ
অবস্থানে ফিরে এসেছে এবং বুধবার থেকে সেখানে এটির কার্যক্রম শুরু হবে।
টুইটারে দেওয়া
পোস্টে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চেরনিভ্সিতে স্থানান্তর ছিল সাময়িক। তবে এখন এটি
কিয়েভে ফিরেছে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া
দুই দেশেরই মিত্র হিসেবে পরিচিত ন্যাটো জোটের সদস্য তুরস্ক। কৃষ্ণ সাগরে উভয় দেশের
সঙ্গেই তুরস্কের পানিসীমা রয়েছে। আঙ্কারা নিজে রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা
ব্যবস্থা কিনেছে। অন্যদিকে তুরস্কের কাছ থেকে কেনা বায়রাকতার টিবিটু ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার
বিরুদ্ধে লড়াই করছে ইউক্রেন। চলমান যুদ্ধে খোলাখুলি ইউক্রেনের পক্ষ নিয়েছে আঙ্কারা।
তবে কিয়েভের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন দিলেও এখনও পর্যন্ত মস্কোর বিরুদ্ধে কোনও নিষেধাজ্ঞা
আরোপ করেনি আঙ্কারা। যুদ্ধ বন্ধে তুরস্কের মধ্যস্থতায় দেশটিতে একাধিক বার আলোচনায় বসেছে
রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা।