এক সপ্তাহের ব্যবধানে
আবারও উত্তর কোরিয়া ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, এমন দাবি জানালো জাপান ও দক্ষিণ
কোরিয়া। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকালে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অভিযোগ
উঠে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে।
সিউলের জয়েন্ট
চিফ অব স্টাফ এক বিবৃতিতে জানান, আমাদের সামরিক বাহিনী স্থানীয় সময় সকাল ৭ টা ২৭ মিনিটে
সমুদ্রের পূর্ব উপকূল থেকে উত্তর কোরিয়ার ছোড়া একটি সন্দেহভাজন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র
সনাক্ত করেছে।
উত্তর কোরিয়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো বস্তু নিক্ষেপ করেছে বলে জাপানের কোস্টগার্ডও বিষয়টি নিশ্চিত করে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপাণস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল জরুরি বৈঠক ডেকেছে বলে দেশটির প্রেসিডেন্সিয়াল ব্লু হাউজ থেকে জানানো হয়েছে। এর আগে বছরের শুরুতেই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পূর্ব উপকূল থেকে এটি নিক্ষেপ করা হয় বলে জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ও জাপানসহ ছয়টি দেশ গত সপ্তাহের পরীক্ষা নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের
বৈঠকের আগে অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে উত্তর কোরিয়াকে আহ্বান জানানোর পর এ ঘটনা
ঘটলো।
গত বছর বেশ কয়েকবার
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় দেশটি। অক্টোবরের শুরুতে বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা
চালায় উত্তর কোরিয়া। এর আগে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয় বলে অভিযোগ
ওঠে দেশটির বিরুদ্ধে। সেপ্টেম্বর মাসেও পিয়ংইয়ং ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ উভয় ক্ষেপণাস্ত্রের
পরীক্ষা চালিয়েছে।
পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে ২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে উত্তর কোরিয়া। এসব কর্মসূচিতে অর্থায়ন বন্ধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও ধারাবাহিকভাবে বিধিনিষেধ বাড়িয়েছে। কিন্তু সব নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।