অবশেষে ‘বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল করলে পাপ হবে’ এমন মন্তব্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন রাজশাহীর কাটাখালির বহুল আলোচিত-সমালোচিত মেয়র আব্বাস আলী। তবে তিনি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ‘কটূক্তি’র বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। এই মন্তব্যকে একটি ছোট্ট ‘ভুল’ হিসেবে দাবি করে ক্ষমাও প্রার্থনা করেন তিনি।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে ইতোপূর্বে ভাইরাল হওয়া নিজের ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের অডিও সম্পর্কে ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রায় ৩০ মিনিটের লাইভে আব্বাস আরও বলেন, ‘কাটাখালিতে একটি বড় মাদ্রাসা আছে, জামিয়া ওসমানিয়া মাদ্রাসা’র বড় হুজুরের আপত্তির কারণে তিনি রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের কাটাখালি পৌরসভা গেট নির্মাণস্থলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ থেকে সরে এসেছিলাম। এটা ৩/৪ মাস আগের কথা। অথচ সেখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের বিষয়ে এলাকাবাসীর মতামত চেয়ে আমিই সবার আগে ফেসবুকে দুইটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। সেই স্ট্যাটাসের সূত্রধরেই একটি জানাজার নামাজ শেষে বড় হুজুরের ওখানে বসা অবস্থায় আমার ওই স্ট্যাটাসের সূত্রধরে বড় হুজুর ম্যুরালের বিষয়ে আমাকে বোঝান। এরপর আমি আগের অবস্থান থেকে সরে আসি।’ মেয়র আব্বাস আরও বলেন, ‘আমি একজন মুসলমান, একজন আল্লাহওয়ালা লোকের কথা শুনে আমি আমার আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলাম। এটা কিভাবে অডিও হলো এবং ফেসবুকে আসল, সে ব্যাপারেও আমি আপনাদের বিস্তারিত বলবো।’ তবে লাইভের শেষের দিকে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আব্বাস আলী বলেন, ‘সিটি গেটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় আমার যদি ভুল হয়ে থাকে, তবে এর জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। এর জন্য আমাকে নানা ধরনের বড় শাস্তি দেয়া হচ্ছে। বাড়িতে-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, কাউন্সিলরদের ডেকে নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাবে জোর করে স্বাক্ষর করানো এবং আত্মীয়-স্বজনদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আইসিটি আইনে তিনটি মামলা সহ আমাকে তারা যে বড় ধরণের শাস্তি দিচ্ছে, তা আমি আর সহ্য করতে পারছি না।’
আব্বাস আলী বলেন, ‘এ ঘটনার পর থেকে আমার পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ছোট একটি ভুলের কারণে আমার বিরুদ্ধে এত ষড়যন্ত্র কেন করা হচ্ছে? তা আমি আগামীতে এর পেছনের গুরুত্বপূর্ণ কারণ তুলে ধরবো ফেসবুক লাইভে।’