Logo
শিরোনাম

ফেসবুক পাসওয়ার্ড চুরি করছে চার শতাধিক অ্যাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ১৫৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ক্ষতিকর এমন চার শতাধিক অ্যাপস রয়েছে যেগুলো ব্যবহারে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ইউজার নেম-পাসওয়ার্ড চুরি হতে পারে। এই অ্যাপগুলো সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছে ফেসবুক। আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

গতকাল শুক্রবার মেটা জানায়, তারা এই বছর অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৪০০টিরও বেশি ক্ষতিকর অ্যাপস শনাক্ত করেছে। এই অ্যাপগুলো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের লগইন তথ্য চুরি করে। নিরাপত্তার স্বার্থে ক্ষতিকর অ্যাপগুলো ডাউনলোড না করতে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। অ্যাপল এবং গুগলকেও অ্যাপগুলো সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানানো হয়েছে।

অ্যাপল জানায়, ৪০০টি ক্ষতিকর অ্যাপসের মধ্যে ৪৫টি তাদের অ্যাপ স্টোরে ছিল, সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষতিকর অ্যাপগুলো গুগলও সরিয়ে নিয়েছে।

এই ক্ষতিকর অ্যাপগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ফটো এডিটর, মোবাইল গেমস ও হেলথ ট্র্যাকার অ্যাপ রয়েছে।

মেটার থ্রেট ডিসরাপশন ডিরেক্টর ডেভিড আগ্রানোভিচ বলেছেন, এ ধরনের অ্যাপগুলো কতটা জনপ্রিয় সেটি সাইবার অপরাধীরা জানে। তারা একই ধরনের থিম ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ও তথ্য চুরি করে থাকে।

এ ধরনের অ্যাপগুলো ডাউনলোড করার পর ফেসবুকে লগইন করতে বলা হয়। এভাবে তারা ফাঁদে ফেলে ব্যবহারকারীদের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ডের তথ্য চুরি করে।


আরও খবর



বিশ্ব নারী দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | ১৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন- প্রতিপাদ্য সঙ্গে নিয়ে আজ বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হবে নারী দিবস। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নারী-পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করা, নারীর কাজের স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য উদযাপনের উদ্দেশ্যে নানা আয়োজনে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় দিনটি।

তথ্যপ্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে নারীকে অনুপ্রেরণা জোগাতে এই বছরের নারী দিবসের স্লোগান নির্বাচন করা হয়েছে। স্লোগানের তাৎপর্য তুলে ধরে জাতিসংঘ বলছে, বর্তমানে আমাদের জীবন শক্তিশালী প্রযুক্তিগত একীকরণের উপর নির্ভর করে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যেকোনো কাজ যেমন প্রিয়জনকে কল করা, ব্যাংক লেনদেন করা বা একটি মেডিক্যাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করা সবকিছু একটি ডিজিটাল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। তা সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী ৩৭ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। পুরুষদের তুলনায় ২৫৯ মিলিয়ন নারীর ইন্টারনেটে কমপ্রবেশাধিকার রয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে যে যদি নারীরা ইন্টারনেটে ব্যবহার না করেন অথবা অনলাইনে নিরাপদ বোধ না করেন তবে তারা ডিজিটাল দুনিয়ায় জড়িত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ডিজিটাল দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবেন না, যা তাদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত সম্পর্কিত পেশা অর্জনের সুযোগ হ্রাস করবে। ধারণা করা হচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ চাকরি এই ক্ষেত্রগুলোর সাথে সম্পর্কিত হবে। ফলে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর কম পদচারনার কারণে উন্নয়ন ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরই সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় নানা আয়োজন। তবে এ বছর ৮ মার্চ শবে বরাত উপলক্ষে সরকারি ছুটি। তাই কর্মসূচিতেও কাটছাঁট করা হয়েছে। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে প্রতি বছর ৮ মার্চ যে আয়োজন থাকে তা অনুষ্ঠিত হবে ৯ মার্চ।

বেলা আড়াইটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির যে প্রতিপাদ্য তা হলো- ডিজিটাল বিশ্ব হোক সবার: নারীর অধিকার সুরক্ষায় ও সহিংসতা মোকাবিলায় চাই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন বৈষম্যহীন সৃজনশীল প্রযুক্তি।

'নারীজন্ম ধন্য হোক আপনভাগ্য গড়ার অধিকারে স্লোগানে নাট্যসংগঠন স্বপ্নদলের আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে স্বপ্নদল প্রযোজনা হেলেন কেলার-এর বিশেষ মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতি বছর দিবসের প্রথম প্রহরে মোমবাতি জ্বালিয়ে আঁধার ভাঙার শপথ নেয় `আমরাই পারি' জোট। ৮ মার্চ রাত ঠিক ১২টা বেজে এক মিনিটে শহীদ মিনারে সম্মিলিতভাবে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে এই শপথ নেওয়া হয়। তবে এ বছর এই কার্যক্রম হবে না। নারীপক্ষসহ ৫২টি সংগঠন দিবসটি পালন করবে সন্তানের ওপর মায়ের অভিভাবকত্বের অধিকার প্রতিপাদ্য নিয়ে। ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় রমনা পার্কের অরুণোদয় গেটের সামনে জমায়েত হয়ে শুরু হবে পদযাত্রা।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে আজ সকাল সাড়ে দশটায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এছাড়া জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করবে।

উল্লেখ্য, এই দিনটির শুরু ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুচ কারখানার নারী শ্রমিকেরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে আট ঘণ্টায় আনা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। আন্দোলন করার অপরাধে সেসময় গ্রেফতার হন বহু নারী। কারাগারে নির্যাতিত হন অনেকেই। তিন বছর পরে ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠন করা হয় নারীশ্রমিক ইউনিয়ন। ১৯০৮ সালে পোশাক ও বস্ত্রশিল্পের কারখানার প্রায় দেড় হাজার নারীশ্রমিক একই দাবিতে আন্দোলন করেন। অবশেষে আদায় করে নেন দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার অধিকার। ১৯১০ সালের এই দিনে ডেনমাকের্র কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মানির নেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই সারা বিশ্বে দিবসটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। নারী দিবস হচ্ছে সেই দিন, যেই দিন জাতিগত, গোষ্ঠীগত, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রে বৈষম্যহীনভাবে নারীর অর্জনকে মর্যাদা দেবার দিন। এদিনে নারীরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাসকে স্বরণ করে এবং ভবিষ্যতের পথ পরিক্রমা নির্ধারণ করে, যাতে আগামী দিনগুলো নারীর জন্য আরও গৌরবময় হয়ে ওঠে।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




শোকাবহ পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস আজ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | ১৪২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আজ শোকাবহ পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস। আজ থেকে ঠিক ১৪ বছর আগে ২০০৯ সালের এই দিনে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) (বর্তমান বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় বিপথগামী সৈনিকরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা সদস্য ছাড়াও নারী-শিশুসহ ৭৪ জন। তাদের স্মরণে আজ শাহাদাতবার্ষিকী পালন করবে বিজিবি। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।

এ ট্র্যাজেডির পর দীর্ঘ সময়ে হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে শেষ হয়েছে।  হাইকোর্টের রায়ে পিলখানায় হত্যার দায়ে অন্যতম পরিকল্পনাকারী ডিএডি তৌহিদসহ ১৩৯ জনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ বহাল রেখেছে। একইসঙ্গে  ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ১৯৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- প্রদান করেছেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আপিল বিভাগে শুনানি হবে বলে জানা গেছে। তবে বিস্ফোরক আইনে হওয়া মামলা এখনো ঝুলছে। রাষ্ট্রপক্ষের এখনো সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। 

২০০৯ সালের এই দিনে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বিপথগামী  সৈনিকরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই বছরের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিপথগামী কিছু বিডিআর সদস্য ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও নারী ও শিশুসহ আরও ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাদের স্মরণে আজ শনিবার  শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হবে।    বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)   জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম, পিবিজিএমএস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে  জানিয়েছেন, শহীদ ব্যক্তিবর্গের রুহের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে পিলখানাস্থ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরসহ সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় খতমে কোরআন, বিজিবির সকল মসজিদ এবং বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সকল স্থাপনায় বিজিবি রেজিমেন্টাল পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং বিজিবির সকল সদস্য কালোব্যাজ পরিধান করবেন।

এ ছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় আজ সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাস্ট্রপতির প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাস্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) এবং শহীদদের নিকটাত্মীয়গণ স্মৃতিস্তম্ভে  পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এদিকে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল ) এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন, বহুল আলোচিত ও নৃশংসতম পিলখানা হত্যা মামলার সর্বোচ্চ আদালতে আপিল শুনানি চলতি বছরেই শুরু হতে পারে। আপিল বিভাগ যেদিন শুনানি শুরু করবে সেদিনই চূড়ান্ত শুনানি শুরু হবে। আমরা আদালতকে শুনানির আর্জি জানাতে পারব। চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে অগ্রাধিকার  ভিত্তিতে এই শুনানি হতে পারে।

পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলা ১৩ বছর পরও সর্বোচ্চ আদালতে চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় আছে। দেশের ইতিহাসে নৃশংসতম এই হত্যাযজ্ঞে বিস্ফোরক আইনে করা অন্য মামলার বিচার এখনো বিচারিক আদালতেই শেষ হয়নি। আসামির সংখ্যার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে বৃহত্তর পিলখানা হত্যা মামলা। নিয়মিত যে আপিল বিভাগ বেঞ্চ আছে সেখানেই এর বিচার হবে।

এরই মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিয়েছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম জনকন্ঠকে বলেছেন, আমরা সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।  আমরা এক মাসের  মধ্যে সারসংক্ষেপ দিয়ে দেব।  এরপর আপিল শুনানির জন্য রেডি হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, হাইকোর্টে রায় হলেও নিম্ন আদালতে বিস্ফোরক দ্রব্যের মামলাটি ঝুলে রয়েছে। সেখানে ১২৬৪ সাক্ষীর মধ্যে ২৫৭ জনের সাক্ষী গ্রহণ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও নৃশংস হত্যাকান্ডের এক মামলার বিচারের দুই ধাপ শেষ হয়েছে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে। রায় কার্যকর করতে হলে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর রিভিউ এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, শেষ ধাপটি চলতি বছরই হতে পারে। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিডিআর হত্যা  মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে। রায়ে মৃত্যুদন্ডসহ ৫৫২ জনকে বিভিন্ন ধরনের দন্ড প্রদান করা হয়েছে।  মোট ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার রায়। ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নবেম্বর দুদিন ধরে এ রায়টি প্রদান করা হয়।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ (বৃহত্তর) বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়ে ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল ৩৭০ কার্যদিবসে শেষ হয়। বেঞ্চের অন্য দুই জন বিচারপতি হলেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি  মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের বিদ্রোহী জওয়ানরা নারকীয় তান্ডব চালায় পিলখানায়। ওই ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। একটি ছিল হত্যা মামলা আর অন্যটি বিস্ফোরক আইনের মামলা। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়। ২৭৮ জন খালাস পান। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এ মামলায় হাইকোর্টের আপিলের রায়ও হয়ে যায়।

অপরদিকে বিস্ফোরক মামলায় ৮৩৪ জন আসামি রয়েছে। হত্যা মামলার সঙ্গে এ মামলার  বিচার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝ পথে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।   যে কারণে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম ঝুলে রয়েছে।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী সারাদেশে উদ্যোক্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে : শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী সারাদেশে উদ্যোক্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে  বলে মন্তব্য করেছেন জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। আজ রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৩ এর অংশ হিসাবে ঢাকায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বর্তমান সরকার সরকারি-বেসরকারি সম্মিলিত উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও বেশি বিকশিত করতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে। এবারের প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে অনেক বেসরকারি উদ্যোক্তারা সম্পৃক্ত হয়েছেন। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন, কার্যকর ও ফলপ্রসূ প্রাণিমেলা আয়োজন সম্ভব হয়েছে। এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে সারাদেশে উদ্যোক্তা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তাদের অনুপ্রাণিত করা সম্ভব হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই এ খাতকে তিনি সব সময় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকেন। এ জন্য শিক্ষিতরা এখন খামারি হচ্ছেন, বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে এসে খামার স্থাপন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে চাকরির পেছনে সময় নষ্ট না করে বিভিন্ন রকম প্রাণী উৎপাদন ও বিপণন করে নিজে যেমন উদ্যোক্তা হচ্ছেন তেমনি অপরের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান গতানুগতিকতার বাইরে এসে সৃজনশীলতার মধ্য থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতে সৃজনশীলতার অংশ হিসাবে গতানুগতিকার বাইরে কাজ করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।  হাসপাতালে সব প্রাণীকে নেয়া সম্ভব হয় না। এজন্য প্রাণীর কাছে হাসপাতাল নিয়ে যেতে আমরা মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকের ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরো বলেন, করোনাকালে প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদকরা বিপন্ন অবস্থায় ছিল। সরকার বিশেষভাবে পরিবহন ও বিপণনের ব্যবস্থা করেছে। ভোক্তাদের দোরগোড়ায় মাছ, মাংস,দুধ ডিম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদন ও বিপণন কোনভাবে যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনার আলোকে। করোনার সময় ও গত রমজানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র করে মানুষের দ্বারে দ্বারে তার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

শ ম রেজাউল করিম আরো জানান, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের প্রাণিসম্পদ খামারিদের নিয়ে প্রডিউসার গ্রুপ তৈরি করা হচ্ছে। যারা উৎপাদক তাদের বিভিন্ন গ্রুপে প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সহায়তা করা হচ্ছে, যাতে তারা একসময় স্বাবলম্বী হতে পারে, উদ্যেক্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। শুধু প্রশিক্ষণই নয় বরং খামারিদের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সহায়তা ও সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে, যাতে তারা স্বনির্ভর ও সক্ষম হতে পারে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মো.আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ সদস্য মাহবুব হাসান প্রমুখ।

সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া  নির্বাচিত সেরা উদ্যেক্তা ও খামারিদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার মেধাবী জাতি গঠনে কাজ করছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | ৮৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার মেধাবী জাতি গঠনে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। আজ রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল মিল্ক কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, একটি জাতি মেধাবী না হলে সে দেশ কোনদিন এগিয়ে যেতে পারে না। এটি সবচেয়ে ভালো বোঝেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আজ জাতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শিক্ষার উন্নয়নে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যাল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কারিগরি শিক্ষার প্রসার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ, গবেষণায় বরাদ্দসহ শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করছেন। স্কুলের শিক্ষার্থীরা যাতে গতানুগতিক পড়াশোনার বাইরে আনন্দের মধ্যে লেখাপড়া করতে পারে সেজন্য তাঁর সরকার স্কুল দৃষ্টিনন্দন করা, খেলাধুলার ব্যবস্থা করা, ডিজিটাল ব্যবস্থা করাসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে ভালো খাবার প্রয়োজন। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান খাদ্য দুধ। নিয়মিত দুধ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। নিয়মিত দুধ খেলে পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। এ জন্য শিক্ষার্থীরা মেধা বিকাশে দুধ খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের ভালো খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এ আলোকেই স্কুল মিল্ক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাণিজ পুষ্টির যোগান পাবে, সুস্থ-সবলভাবে বেড়ে উঠবে। যার মাধ্যমে একটি মেধাবী জাতি গড়ে উঠবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিপন্ন মানুষদের বেদনা বোঝেন। সেজন্য তিনি ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দূর করতে কাজ করছেন। তিনি উন্নয়নের সমতা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য শহরের মতো গ্রামেও সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোটা জাতিকে নিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে দুধের গুরুত্ব অনুধাবন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কোমলমতি শিশুদের মাঝে স্কুল মিল্ক কর্মসূচির মাধ্যমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর দূর সরবরাহের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিশুদের সুস্থ, সবল ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠার এক নতুন অধ্যায় সংযোজন হবে। যা আগামী দিনে শিশুদের বিদ্যালয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করবে। বিশেষ করে দরিদ্র অঞ্চলে স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধ করতে এ কর্মসূচি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম এবং স্কুল মিল্ক কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ড. গোলাম রব্বানী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের দুধ পান করানোর মাধ্যমে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫১জন শিক্ষার্থীকে দুধ পান করানো হয়।

সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশের ৩০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বছরব্যাপী বিনামূল্যে দুধ পান করানোর এ পাইলট কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ উদ্বোধনের পরপরই ৫০টি স্কুলে এ কর্মসূচি শুরু হয়ে যাবে এবং এ বছরের মধ্যেই অন্যান্য স্কুলে ক্রমান্বয়ে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৬১ জেলায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্বাচিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীকে স্কুল খোলা থাকার দিনগুলোতে টিফিনের সময় দুধ প্রদান করা হবে।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




আওয়ামী লীগ ভণ্ড রাজনীতি করে : ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ১৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগ সব সময় মিথ্যা কথা বলে, প্রতারণা করে। ভণ্ড রাজনীতি করে মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে তারা বারবার ক্ষমতায় যেতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার দুপুরে সৈয়দপুরে আয়োজিত নীলফামারী জেলা বিএনপির সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাবে না জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভোট জিনিসটা তারা (আওয়ামী লীগ) তুলে দিয়েছে কিন্তু দেখাতে চায় তারা একটা ভোট করছে। এবার ভিন্নভাবে আবারও তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন করেছে, কোনো নির্বাচনই হয়নি। ১৫৪ জনকে ঘোষণা করে দিয়েছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছে, কোনো নির্বাচনই হয়নি। আগের রাতে সবাইকে নির্বাচিত ঘোষণা করে দিয়েছে। আর ক্ষমতায় পরে তারা একে একে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ জুডিসিয়ারি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন তিনি।

সংসদে কোনো জবাবদিহিতা নেই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সেখানে কোনো বিতর্ক, দেশের সম্পর্কে কোনো আলোচনা হয় না। শুধুমাত্র দুটি কাজই তারা সফলভাবে করতে পেরেছেচুরি; রাষ্ট্রের সমস্ত সম্পদ তারা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে এবং সেটাকে পাচার করে দিচ্ছে দেশের বাইরে। আরেকটা হচ্ছে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ভয় দেখাচ্ছে, মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আবারও একটি নতুন নির্বাচনের পাঁয়তারা শুরু করেছে। এই নির্বাচন আমাদের অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে, এই দেশের স্বার্থে। আমরা কোনো মতেই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে এই দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেবো না। যেখানে ভোটের অধিকার থাকে না, জনগণ সেই ভোট মানে না। আমাদের কথা খুব পরিষ্কার, আওয়ামী লীগের অধীনে এই দেশের মানুষ কোনো নির্বাচনে যাবে না।

ফখরুল বলেন, ৫০ বছর হয়ে গেছে স্বাধীনতার। এখনো শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর ব্যবস্থা করতে পারিনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা আওয়ামী লীগ নিয়ে এসেছিল। জামায়াত ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। আমরা প্রথম দিকে মনে করেছিলাম এটা ঠিক হবে না। পরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেখলেন জনগণ চায় নির্বাচনকালীয় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক থাকুক, তখন তিনি সেটা মেনে নিয়েছিলেন। চারটি নির্বাচন হয়েছে অত্যন্ত সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে, একবার আওয়ামী লীগ এসেছে, একবার বিএনপি এসেছে। কেউ তো প্রশ্ন করেনি!


আরও খবর