চলতি মাসের শেষ নাগাদ তিনদিনের ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন হিথরো বিমানবন্দরের শত শত কর্মী। ফলে কাতারে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ যারা দেখতে যেতে চাইছেন তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ইউরোপের সবচেয়ে ব্যস্ততম এ বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং, এয়ারসাইড ট্রান্সপোর্ট ও কার্গোর ৭০০ কর্মী ধর্মঘটে যাবেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন ইউনাইট। বেতনের দাবিতে ১৮ নভেম্বর সকাল থেকে ২১ নভেম্বর সকাল পর্যন্ত তাদের ধর্মঘট চলবে।
ফলে যেসব ভক্ত বিশ্বকাপের উদ্দেশে রওনার পরিকল্পনা করবেন তাদের ইংল্যান্ডের প্রথম খেলা মিস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ গ্রুপ ম্যাচটি হওয়ার কথা রয়েছে ২১ নভেম্বর ইরানের বিপরীতে। ধর্মঘটের কারণে হিথরোর ২, ৩ ও ৪ নম্বর টার্মিনালে ফ্লাইট বিলম্বের ঘটনা ঘটতে পারে। কাতার এয়ারওয়েজ চলাচল করে ৪ নম্বর টার্মিনাল থেকে এবং টুর্নামেন্টের সময়ে সপ্তাহে আরো ১০টি বাড়তি ফ্লাইট যুক্ত করা হবে। ফ্লাইট বাতিল, দীর্ঘসময় ফ্লাইট বিলম্ব, অনেক অনেক ব্যাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা এবং দৈনন্দিন যাত্রীর সংখ্যা সীমিত করে দেয়ার মতো ঘটনায় ভরপুর এক গ্রীষ্মকাল পেরিয়ে আসার পর পরই এ ধর্মঘটের কারণে ব্যাঘাতের হুমকিতে পড়েছে হিথরো বিমানবন্দর।
ফলে চিন্তায় পড়েছেন হিথরোর প্রধান নির্বাহী জন হল্যান্ড-কায়ি। হিথরো যখন মধ্য জুলাই থেকে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত তাদের দৈনন্দিন যাত্রীসীমা এক লাখে সীমিত করার কথা বলে তখনো বেশকিছু এয়ারলাইনস ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। ভার্জিন আটলান্টিকের প্রধান স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন বলেন, যদি ক্রিসমাসে চলাচল সক্ষমতার ওপর হিথরো কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাহলে খুবই বিরক্ত হব। ইউনাইটের আঞ্চলিক কর্মকর্তা কেভিন হল বলেন, যদি কর্মীরা সত্যিই ধর্মঘট ডাকে তাহলে হিথরো থেকে ফ্লাইটে ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়া, বিলম্ব হওয়া এবং বাতিল করে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটবে। তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিশ্বকাপের সফরকারীরা।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস, ক্যাথে প্যাসিফিক ও এমিরেটসের মতো অন্যান্য এয়ারলাইনসও এ ধর্মঘটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটি উদযাপন করে যারা ফিরবেন তাদের ভ্রমণও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বেতন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে যেসব কর্মী ধর্মঘটে যাবে তাদের নিয়োগ দিয়েছে দিনাটা ও মেনজিস নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। ধর্মঘট চলাকালে ফ্লাইটের ব্যাঘাত কমিয়ে আনতে দুটি প্রতিষ্ঠানই বিকল্প পরিকল্পনা নেয়ার কথা জানিয়েছে।