Logo
শিরোনাম

ফিরে এসেছে মাছের রানি

প্রকাশিত:বুধবার ১০ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ২৯৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

একসময়ে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল রানি। বৃহত্তর সিলেট অর্থাৎ মৌলভীবাজারের নানান প্রাকৃতিক জলাশয়, হাওর-বাওর, বিলগুলোতে তেমনভাবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না এই প্রজাতিটিকে। পরবর্তীতে এই প্রজাতিটির সংকটময় বিলুপ্তির কথা বিবেচনা করে এই সুস্বাদু মাছটিকে বিশেষ গুরুত্বের তালিকায় আনে মৎস্য বিভাগ। বাড়ানো হয় নজরদারি, গণসচেতনতা, প্রচার এবং মৎস্যচাষিদের মাঝে প্রজননের সহজলভ্যতাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা। এতেই দু-চার বছরের মাঝে ইতিবাচক ফলাফল আসতে শুরু হয়। রানি মাছ অতি দৃষ্টিনন্দন। দেখলে শুধুই দেখতে ইচ্ছে করে। মাছটির শরীরে রয়েছে কালো-হলদে ডোরাকাটা সৌন্দর্য। রানি মাছ খেতে দারুণ সুস্বাদু এবং এর স্বাদ অতুলনীয়।

স্থানীয় মৎস্যব্যবসায়ী উস্তার আলী বলেন, এবার মৌলভীবাজার জেলার হাওরগুলোতে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় বিশেষ করে বাইক্কা বিল, হাইল হাওর, হাকালুকি হাওর ও কাউয়াদিঘীর হাওর এলাকায় বিলুপ্তপ্রায় রানি মাছ ধরা পড়ছে। এছাড়া মৌলভীবাজারের কুশিয়ারা নদীতে জেলেদের ভেলজালে ধরা পড়েছে এই মাছ। আমরা নানা জায়গা থেকে এই রানি মাছ সংগ্রহ করে এনে বাজারে বিক্রি করে থাকি। এক সময় শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরে এ মাছ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেতো। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে হাইল হাওরের জলাশয় ও বিলগুলো মেশিন দিয়ে শুকিয়ে মাছ আহরণ করায় এগুলো প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে এ মাছটি আসতে শুরু করেছে।  বাজারে এ রানি মাছের চাহিদা প্রচুর। বাজারে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রেতারা ভিড় করেন মাছ দেখার ও নেওয়ার জন্য। দামও বেশ ভালো পাওয়া যায়। প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা করে বিক্রি হয় বলে জানান তিনি।

মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রানি মাছ মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রজনন করে থাকে। জুন-জুলাই এদের সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুম। একটি পরিপক্ব স্ত্রী মাছে প্রতি গ্রামে ৮০০ থেকে ৯০০ ডিম পাওয়া যায়। একটি পূর্ণবয়স্ক ও প্রজননক্ষম রানি মাছ সাধারণত ৮ থেকে ১০ গ্রাম ওজনের হয়। পুরুষ মাছের তুলনায় স্ত্রী রানি মাছ অপেক্ষাকৃত আকারে বড় হয়। এ মাছ প্রধানত প্লাংকটন ও পোকামাকড় খায়। স্থানীয় মৎস্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ মাছটির ব্যাপারে প্রশ্ন রাখতেই তিনি উচ্ছ্বাসিত হয়ে নানান তথ্য জানান। তাতে জানা যায়, পুরোপুরি এক সংকটময় পরিস্থিতি থেকে ফিরে এসেছে রানি। 

স্থানীয় মৎস্য বিভাগের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারাজুল কবির বলেন, রানি মাছ একসময় কিন্তু বিলুপ্তির কাতারে চলে গিয়েছিল। তবে আমাদের মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে এখানে বাইক্কা বিল মৎস্য অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠাসহ প্রজনন বৃদ্ধিতে একে ঘিরে নানান  কর্মসূচির বাস্তবায়ন এবং সর্বপরি আমাদের মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নের ফলে আমরা এই সুফল পাচ্ছি। রানি মাছসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক জলাভূমির মাছও বাজারে ফিরে আসছে। বর্ষা মৌসুমে বাইক্কা বিল মৎস্য অভয়াশ্রম থেকে এ মাছগুলো বের হয়ে চারপাশের বিস্তৃর্ণ জলাভূমিতে ছড়িয়ে পড়ে। এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম Botia dario। অঞ্চল ভেদে এই মাছকে বৌ মাছ, দাড়ি মাছ, পুতুল মাছ, বেতরঙ্গি মাছ, লোহাচাটা মাছ প্রভৃতি নামে উল্লেখ করা হয়। তবে এর প্রকৃত নাম রানি। কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ এবং মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন হাওর, নদী ও চলনবিলে এই মাছটির পাওয়া যায়।

প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় রানি মাছের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য মাত্র ১২ সেন্টিমিটার। এ মাছটিকে দেখতে আকারে গুতুম মাছের মতো হলেও শারীরিক রঙের তারতম্য রয়েছে। অত্যন্ত তৈলাক্ত এবং খুবই সুস্বাদু। কাটা নরম। আঁশ নেই। একসময় এমাছগুলো নদীতে পাওয়া যেতো। বর্তমানে মাছটি প্রাকৃতিক বিল, খাল বা বড় জলাশয় থেকে ধরা পড়ছে বলে জানান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারাজুল কবির।

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন), বাংলাদেশ মাঠপর্যায়ের জলাভূমিগুলোতে গবেষণা করে এই রানি মাছটিকে বিপন্ন তালিকাভূক্ত করেছে। 

নিউজ ট্যাগ: রানি মাছ

আরও খবর

শখের নার্সারিতে সফল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মনির

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জয়পুরহাটে ৮৫৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর