মেসির হোটেলে তাণ্ডব চালাল ডাকাত দল। ফ্রান্সের সময় বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঘটেছে এ ঘটনা।
সিসিটিভি ফুটেজে মিলেছে, দুই মুখোশধারীর দেওয়াল বেয়ে হোটেলের বারান্দায় নামার দৃশ্য। এরপরই হোটেলে ভাঙচুর চালায় ডাকাতদল।
পরিবার নিয়ে বিলাসবহুল হোটেলেই থাকছেন লিওনেল মেসি। যেখানে এক রাতেই গুনতে হচ্ছে ১৭ হাজার পাউন্ড, যা বাংলাদেশি টাকায় ১৯ লাখ ৯৩ হাজার ৯০৯ টাকা।
ওই রাতে ফ্রান্সের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেটজে পিএসজির একটি অ্যাওয়ে ম্যাচ ছিল। কিন্তু আগের খেলায় চোট পাবার কারণে মেসি নিজের রুমেই ছিলেন।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, কয়েক হাজার পাউন্ড এবং সোনার গয়না নিয়ে গেছে ডাকাতরা। হোটেলের একাধিক অতিথি তাদের মূল্যবান সম্পদ হারিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় মেসি এবং তার পরিবার অক্ষত রয়েছেন। এতে স্বাভাবিকভাবেই হোটেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, মেসি আসার পর হোটেলের নিরাপত্তা দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে। তারপরও এ ধরনের ঘটনা অপ্রত্যাশিত।
কাতালুনিয়ায় দীর্ঘ ক্যারিয়ারের পর বার্সেলোনা ছাড়েন মেসি। এর আগে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে তাকে আর স্থানান্তরিত হতে হয়নি।
গত মাসে পিএসজির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। স্থায়ী আবাসে ওঠা পর্যন্ত হোটেলেই থাকছেন এলএম থার্টি। তাই তাকে গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ।
পরিবার নিয়ে বসবাসের জন্যে ইতোমধ্যেই প্যারিসে একটি বাড়ি খুঁজে পেয়েছেন বলে মেসি জানিয়েছেন। এটি প্যারিসের বিশেষ অঞ্চল নিউইলি-সুর-সাইনে অবস্থিত। এ জন্য প্রতি মাসে তাকে গুনতে হবে ২০ হাজার ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২০ লাখ টাকা।
পিএসজিতে এসে মেসি পেয়েছেন নিজ দেশের অনেককে। দলটির কোচ হিসেবে আছেন মাউরিসিও পচেত্তিনো, মিডফিল্ডার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, লিয়ান্দ্রো প্যারাদেস, মাউরো ইকার্দিওরা। এবার তার প্রতিবেশী হবেন- অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া এবং লিয়েনড্রো প্যারেডেস। মেসিও তাই পিএসজিতে নিজেকে সুখী ভাবতেই পারেন।