সবাইকে হতাশ করে ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে নাম
সরিয়ে নিয়েছেন টেনিস তারকা নাওমি ওসাকা। তাঁর সরে যাওয়ার কারণ ছিল, সংবাদমাধ্যমকে বয়কট
করা। এবার সেই সংবাদমাধ্যমের প্যাঁচে পড়ে গেলেন পেত্রা কেভিতোভা। নাউমি ওসাকার পর তিনিও
সরে দাঁড়ালেন ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে।
চারবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী ওসাকা
সংবাদ সম্মেলন বয়কটের ঘোষণা দিয়ে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন। প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে
জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেননি তিনি। এ জন্য তাঁকে ১৫ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়। একই
সঙ্গে টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দেওয়া হয়। তাই এসব ঝামেলা এড়াতে নিজেই
সরে দাঁড়ালেন ওসাকা।
তবে কেভিতোভার ব্যাপারটি একটু ভিন্ন। সংবাদমাধ্যম
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চেক প্রজাতন্ত্রের এই টেনিস তারকা বেলজিয়ামের গ্রিট
মিনেনকে ৬-৭ (৬-৩), ৭-৬ (৭-৫), ৬-১ গেমে হারান। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেই যাচ্ছিলেন।
যাওয়ার পথে পা হড়কে পড়ে যান কেভিতোভা। পড়ে গিয়ে গোড়ালিতে নাকি চোট পেয়েছেন তিনি।
এক টুইট বার্তায় ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে সরে
যাওয়ার খবর জানিয়ে কেভিতোভা লিখেছেন, ‘বেশ হতাশা নিয়েই
ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। রোববার সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিতে
গিয়ে আমি পড়ে যাই আর গোড়ালিতে গুরুতর আঘাত পাই। এমআরআই করার পর সবার সঙ্গে আলোচনা করে
সিদ্ধান্ত নিয়েছি ফ্রেঞ্চ ওপেনে না খেলার। সিদ্ধান্তটা নেওয়া অনেক কঠিন ছিল। আমি এখন
মন শক্ত করার চেষ্টা করছি। দ্রুত সুস্থ হয়ে কোর্টের লড়াইয়ে ফেরার আশা করছি।’
এর আগে টুইটারে ঘোষণা দিয়ে ওসাকাও সরে
দাঁড়ান। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার মনে হয়েছে টুর্নামেন্ট, অন্য খেলোয়াড়
ও আমার নিজের ভালোর জন্যই সরে দাঁড়ানো উচিত। প্যারিসে এখন সবাই টেনিসেই মনোযোগ দিতে
পারবেন। আমি কখনই ঝামেলা হয়ে থাকতে চাইনি। আমি মনে করি, ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার করে
বোঝাতে পারতাম। সত্যি কথা হলো, আমি ২০১৮ সালের ইউএস ওপেন থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছি।
এর সঙ্গে লড়াই করতে সত্যিই খুব কঠিন সময় কাটিয়েছি।’
ওসাকা আরো লিখেছেন, ‘আপাতত কোর্ট থেকে আমি কিছুটা সময় দূরে থাকব। কিন্তু যখন সময় হবে, তখন খেলোয়াড়, গণমাধ্যম ও ভক্তদের জন্য ভালো হয়, এমন পথ বের করতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।’