Logo
শিরোনাম

ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ আজ

প্রকাশিত:শনিবার ১২ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যেই ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ। এ সমাবেশের আগের দিন থেকে বাসসহ সব ধরনের ইঞ্জিনচালিত যানবাহন বন্ধে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ প্রশাসনের প্রস্তাবিত স্থান শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠ। সমাবেশকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই দূরদূরান্তের নেতাকর্মীরা শুক্রবার সমাবেশস্থলে এসে অবস্থান নেন।

এদিকে গণসমাবেশের দুই দিন আগে মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিক সমিতি। ফলে নেতাকর্মীরা ধর্মঘট উপেক্ষা করে সমাবেশের ২-৩ দিন আগে থেকেই আসতে শুরু করেন।

ফরিদপুর কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে দেখা যায়, হাজার হাজার নেতাকর্মী পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। কানাই কানাই পূর্ণ হয়ে উঠেছে সমাবেশস্থল। মিছিলে-মিছিলে স্লোগানে-স্লোগানে মুখর সমাবেশের মাঠ।

জানা গেছে, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গী।

এদিকে, মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ শেষ হয়েছে। বসানো হয়েছে চেয়ার। প্রথম সারির মাঝে দুটি বড় চেয়ার রাখা হয়েছে ফাঁকা। শনিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৮টায় চেয়ার বসানোর কাজ শুরু করেন ডেকোরেশনের কর্মীরা।

দেখা গেছে, রাতেই প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ। সকালে চেয়ার বসানো শুরু হয়। প্রথম সারিতে রাখা হয় ১৯টি চেয়ার। এর মধ্যে বড় দুটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়। ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা বলেন, গণসমাবেশের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫টি জেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী এসেছেন। সমাবেশ সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ।

ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়কারী ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, বেসরকারি বাসের পাশাপাশি দুদিন বিআরটিসির বাস বন্ধ করার কারণ বিএনপির গণসমাবেশকে বাধা দেওয়া। কিন্তু এতে বিএনপির গণসমাবেশে কোনো প্রভাব পড়বে না। হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে এসেছে। কোনো প্রতিবন্ধকতায় নেতাকর্মীদের আটকে রাখতে পারেনি।


আরও খবর