Logo
শিরোনাম

গাইবান্ধায় পানিবন্দী ২৫ হাজার মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ১৫৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় এসব এলাকার অন্তত ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যার কারণে সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের পাট, পটল, কাঁচামরিচ ও শাক-সবজির ক্ষেতসহ

কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার সবগুলো নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া তিস্তায় পানি কমলেও ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শোখলেছুর রহমান।

জানা গেছে, জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনা নদী বেষ্টিত ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি, গজারিয়া, খাটিয়ামারী ইউনিয়নের চরাঞ্চল, যমুনা নদী বেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, চিনিরপটল, পালপাড়া, পবনতাইড়, থৈকরপাড়া, বাঁশহাটা, চকপাড়া, মুন্সিরহাট, গোবিন্দ, নলছিয়া ও তিস্তা নদী বেষ্টিত এছাড়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর, তারাপুর, কাপাসিয়া, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর এবং সদর উপজেলার কামারজানি ও মোল্লারচর ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় এসব এলাকার অন্তত ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যার কারণে সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের পাট, পটল, কাঁচামরিচ ও শাক-সবজির ক্ষেতসহ সদ্য রোপণকৃত আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শোখলেছুর রহমান জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধ অব্যাহত থাকলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভেতরে নদ-নদী বেষ্টিত গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার চরগুলোর বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।


আরও খবর