Logo
শিরোনাম

গাজীপুর থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত চলবে বিশেষ ট্রেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত চলমান বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের নির্মাণকাজের ধীরগতির কারণে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলস্টেশন থেকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত হোসেন বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রবিবার থেকে তুরাগ, কালিয়াকৈর ডেমু ও টাঙ্গাইল কমিউটার নামের তিনটি ট্রেন ঢাকা-গাজীপুর রুটে চলবে।

তবে এই তিন ট্রেনের যাত্রীদের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে কাউন্টার থেকে। অনলাইনে টিকিট সেবা পাওয়া যাবে না। ট্রেনগুলোতে মেনে চলা হবে স্বাস্থ্যবিধি। তাই ফাঁকা থাকবে অর্ধেক আসন।

এর আগে বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টের মাধ্যমে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল জানান, গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তাটিকে যানজট মুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআরটি প্রজেক্ট উপহার দিয়েছেন। তবে ঠিকাদারদের ক্রমাগত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে অনেক বছর ধরে ধীরগতিতে কাজ করায় মানুষের দুর্ভোগের কোনো সীমা নেই। বর্ষাকালে এই দুর্ভোগ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়।

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী লেখেন, এই দুর্ভোগের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে বুধবার রাতে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আগামী রবিবার থেকে গাজীপুর থেকে টঙ্গী হয়ে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে টঙ্গী হয়ে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছি।

২০১২ সালে গাজীপুর থেকে রাজধানীর বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়কে গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) আওতায় দেশের প্রথম বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প শুরু হয়। ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

পরে মেয়াদ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর করা হয় ও ব্যয় দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৪ কোটি ৮২ লাখ ১৪ টাকা। এরপর আরও দুই দফা প্রকল্পের সময় বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুনে শেষ করার কথা রয়েছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৫৫ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। টঙ্গী কলেজ গেট থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে চার লেনের রাস্তার কাজ আগামী এক মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।


আরও খবর

দেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩