গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকায় পঞ্চগড়গামী
দ্রুতযান এক্সপ্রেসের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর
ও পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত
বগিগুলো লাইন থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর সব রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
এর আগে রবিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ধীরাশ্রম
এলাকায় ঢাকা-জয়দেবপুর রেল রুটে ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেসের তিনটি যাত্রীবাহী
বগি লাইনচ্যুত হয়। এ সময় লাইনচ্যুত হওয়া তিনটি বগির মধ্যে মাঝখানের ‘চ’ নম্বর বগিটি
উল্টে যায়। তারপর থেকে ঢাকার সঙ্গে ঢাকা-রাজশাহী, উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পশ্চিমবঙ্গগামী
সব ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার আবুল
হোসেন জানান, ভোর ৪টায় ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। ক্রেনের সাহায্যে
লাইনচ্যুত বগিগুলো রেললাইন থেকে সরিয়ে পাশে রাখা হয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষ হওয়ার পর রেললাইন
মেরামতের কাজ চলে। সকাল ৮টা ২০ মিনিটে মিটারগেজ লাইন দিয়ে ময়মনসিংহের দিকে একটি ট্রেন
ছেড়ে যায়। এরপর সাড়ে ৯টায় অন্য রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি
ঢাকা এসে আটকা পড়ায় রাজশাহী থেকে আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়। এছাড়া
ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস জয়দেবপুর, ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস মৌচাক, ঢাকাগামী ধুমকেতু
হাইটেক সিটি, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টগামী মিতালী এক্সপ্রেস টাঙ্গাইল, ঢাকাগামী সুন্দরবন
লাহিড়ি মোহনপুর, ঢাকাগামী একতা সুন্দরবনের ইনরিপোর্টে ভাঙ্গুরা আটকা পড়ে।
ঘটনার পর ঢাকার কমলাপুরে লালমনিরহাট যাওয়ার
জন্য লালমনি এক্সপ্রেস, রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ও ধুমকেতু এক্সপ্রেস গত রাত থেকে,
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জগামী এগার সিন্ধুর আজ সকাল থেকে যাত্রা শুরু করার
অপেক্ষায় রয়েছে। গতরাতে উত্তরবঙ্গ ও পশ্চিমাঞ্চলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমান বেশ কয়েকটি
ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। সুন্দরবন এক্সপ্রেস যমুনা সেতুর পূর্ব পাশে অপেক্ষমান
ছিল।
এদিকে ট্রেনের বগি উল্টে যাওয়ার ঘটনায়
ঢাকা বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা খায়রুল কবিরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন
করা হয়েছে। বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক সফিকুর রহমানের নির্দেশে এই কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিকে আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।