গাজীপুরের শ্রীপুরে
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনকে (৬০) ঘুমন্ত অবস্থায়
কুপিয়ে হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে। গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ও ভাতিজার পরিকল্পনায় এ হত্যাকাণ্ড
ঘটেছে।
এ ঘটনায় জড়িত
দুই জনকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার
(১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য
নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা
হলেন ময়মনসিংহের পাগলা থানার কোকসাইর এলাকার কেরামত আলীর ছেলে মো. আলম (৩৮) ও একই ত্রিশাল
উপজেলার কুষ্টিয়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে আরাফাত (২৬)।
পুলিশ সুপার মাকছুদের
রহমান বলেন, ‘শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি পশ্চিম পাড়া (নতুন বাজার)
এলাকার মৃত হাজী আব্দুল মালেকের ছেলে গিয়াস উদ্দিন বাড়ির পাশে অটোরিকশার গ্যারেজ দিয়ে
মেরামত কাজ ও কেনাবেচা করতেন। ওই গ্যারেজে ভাড়ার ব্যাটারি চার্জ দেওয়াসহ বিভিন্ন অটোরিকশা
রাখা হতো। ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রতিদিনের মতো রাতে গ্যারেজের ভেতর একপাশে কাঠের
চৌকিতে ঘুমিয়ে পড়েন গিয়াস। পরদিন সকালে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত
কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনের গ্যারেজে অটোরিকশা
রাখতেন। জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে প্রতিবেশী সাহাবুদ্দিনের বিরোধ
চলে আসছিল। এর জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়াস উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তার
ছেলে আবুজর (৩২) এবং ভাতিজা সবুজ (৩২)।
সবুজ একই এলাকার
সিরাজের ছেলে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন রাতে ছেলে, ভাতিজা এবং আলম ও আরাফাত তাদের
সহযোগীদের নিয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গিয়াস উদ্দিনকে হত্যা করেন। পরে গ্যারেজ থেকে কয়েকটি
ব্যাটারি নিয়ে পালিয়ে যান তারা। এসব কথা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃতরা।