Logo
শিরোনাম

গবেষণা জাহাজ তৈরি আমাদের সক্ষমতার পরিচয় : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৬৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন গবেষণা জাহাজ ইলিশ উৎপাদনে ব্যাপক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মঙ্গলবার (০৪ জানুয়ারি) খুলনা শিপইয়ার্ডে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের জন্য শিপইয়ার্ড কর্তৃক নবনির্মিত ইলিশ গবেষণা জাহাজ হস্তান্তর উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, "ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। অতীতের চেয়ে এখন বেশি ইলিশ উৎপাদন হচ্ছে। তবে ইলিশের সাময়িক উৎপাদন বৃদ্ধি নয় বরং গবেষণার মাধ্যমে আমরা ইলিশ উৎপাদনে সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাই। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি ইলিশের গুণগত মান আমরা নিশ্চিত করতে চাই। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে ইলিশ কখনো বিপন্ন যাতে না হয় সেজন্য আমাদের গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে, বিভিন্ন ল্যাবরেটরি রয়েছে। ইলিশ গবেষণার ক্ষেত্রে গবেষণা জাহাজ বড় ধরনের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আমরা চাই নদীমাতৃক বাংলাদেশে যেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুস্বাদু ইলিশ পাওয়া যায়"।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, "বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। খুলনা শিপইয়ার্ডে গবেষণা জাহাজ তৈরি আমাদের সক্ষমতার পরিচয়। জাহাজ নির্মাণে ভবিষ্যতে আমরা বিদেশের উপর নির্ভর করবো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়ই বলেন আমাদের নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। আজ দেশের মানুষের সাংবিধানিক মৌলিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বিশ্বের বিস্ময় হবে বাংলাদেশ"।

মন্ত্রী আরো বলেন, "করোনার সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দরজা একদিনের জন্যও বন্ধ ছিল না। কারণ এ মন্ত্রণালয়ের কাজ স্থবির হয়ে গেলে মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটানো মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। এ খাতে কাজ করা মানুষ বেকার হয়ে যাবে। এ খাতের রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। এভাবে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তনের দিকে নিয়ে এসেছি"।

এ সময় চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, "এ দেশটা আইনসঙ্গতভাবে চলবে। দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান। সংবিধানে যেটা নেই সে জাতীয় আবদার করলে সেটা দেয়ার কোন সুযোগ থাকবে না। অসাংবিধানিক কোন কিছু দাবী করা আইনের শাসনের পরিপন্থী। বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সংবিধানসম্মত নয়। তাই এ দাবি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশে বিএনপি-জামাত অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ইমেজ সংকটে পড়েছে। এখন যদি আবার সে চেষ্টা কেউ করে এ দেশের মানুষই তাদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে। বর্তমান সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা। তিনি বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও সমঝোতা করেন নি। কাজেই অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ বা সরকারকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে কোন লাভ নেই। জনগণের ম্যান্ডেট না নিয়ে যেনতেন উপায়ে বিএনপির ক্ষমতায় আসার দুঃস্বপ্ন কখনো সফল হবে না। কারণ নেতৃত্বহীন, আদর্শহীন বিএনপিতে মানুষের আস্থা নেই"।

খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর খন্দকার আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, খুলনা নেভাল এরিয়া কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, বিএফআরআই-এর ইলিশ গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আবুল বাশার এবং বিএফআরআই ও খুলনা শিপইয়ার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এ গবেষণা জাহাজ নির্মাণ করেছে। ৮৬ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ১৯ দশমিক ৬৮ ফুট প্রস্থের এ জাহাজে ফিশ ফাইন্ডার, ইকো-সাউন্ডার, নেভিগেশন এবং অত্যাধুনিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জামাদি, আধুনিক ইলিশ গবেষণা ল্যাবরেটরি, নেটিং সিস্টেম, পোর্টেবল মিনি হ্যাচারিসহ অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। জাহাজটি দিয়ে নদী এবং সাগরের মোহনায় ইলিশের প্রজনন এবং বিচরণক্ষেত্রের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ এবং নতুন নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এছাড়া ইলিশের সর্বোচ্চ সহনশীল উৎপাদন, ইলিশের গতিবিদ্যা, জীবনচক্র ও উৎপাদনশীলতার ওপর পরিবেশ ও জলবায়ুগত প্রভাব নির্ণয় সংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনা করা হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর