Logo
শিরোনাম

ঘুরে আসুন মেঘ-পাহাড়ের শহর রাঙামাটি

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের বৃহত্তম পার্বত্য জেলা রাঙামাটি নৈসর্গিক সৌন্দর্যের স্বপ্নভূমি। প্রকৃতির সবুজ পাহাড় যেমন এ জেলাকে করেছে সমৃদ্ধ, তেমনি অসংখ্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনযাত্রার ধরন তাতে এনে দিয়েছে অসামান্য বৈচিত্র্য। রাঙামাটি জেলার ১০ উপজেলার প্রতিটিতে রয়েছে পর্যটন প্রেমীদের জন্য দর্শনীয় স্থান। পাহাড়ের সুউচ্চ চূড়ায় মেঘ স্পর্শ করা থেকে শুরু করে কাপ্তাই হ্রদের জলে পা ভেজানো, সূর্যাস্ত উপভোগ করাসহ ভ্রমণ পিপাসা মেটানোর সমস্ত উপাদান সমৃদ্ধ এই জেলা। তাই পার্বত্য রাঙামাটিকে বলা হয় পর্যটনের তীর্থভূমি/তীর্থস্থান। ১০টি ভাষাভাষীর ১১টি জনগোষ্ঠীর নিজস্ব সাংস্কৃতিক, নৃতাত্ত্বিক কৃষ্টির সংস্পর্শে আসতে হলে বছরের যেকোনো সময়ে ঘুরে আসতে পারেন রাঙামাটি।

রাঙামাটির দর্শনীয় স্থান : রাঙামাটিতে দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে নয়নাভিরাম ঝুলন্ত সেতু, শুভলং ঝর্না, কাপ্তাই হ্রদ, রাজবন বিহার, পুলিশ পলওয়েল পার্ক, উপজাতীয় জাদুঘর, আরণ্যক, ফুরমোন পাহাড়, সাজেক ভ্যালী, বার্গী পিকিনিক স্পট, বরগাঙ, কাপ্তাই নেভী ক্যাম্প পিকনিক স্পর্ট, প্যনোরামো জুম রেস্তোরাঁ, গিরিনন্দিনী পিকনিক স্পর্ট। কাপ্তাইয়ে আছে বাংলাদেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও কর্ণফুলী পেপার মিলস। তবে এ দুটি স্থানে ভ্রমণ করতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন আছে। রাঙামাটির এসব স্পট ভালোভাবে ঘুরে দেখতে গেলে কমপক্ষে ২-৩ দিন সময় হাতে নিয়ে আসতে হবে। নয়নাভিরাম বহুরঙা এই ঝুলন্ত সেতুটি দুইটি বিচ্ছিন্ন পাহাড়ের মধ্যে গড়ে দিয়েছে হৃদ্দিক সম্পর্ক। সেতুটি পারাপারের সময় সৃষ্ট কাঁপুনি আপনাকে এনে দেবে ভিন্ন দ্যোতনা। রাজবনবিহারের মনমুগ্ধকর নির্মাণশৈলী দেখে আপনি অবাক হবেন বৈকি! এখানে এসে ধ্যানমগ্ন বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দেখা পাবেন। গেরুয়া রঙের কাপড় পরিহিত নির্জনতা প্রিয় এইসব ভিক্ষুদের জীবনাচার সত্যিই অনুসরণযোগ্য।

এদিকে, পর্বত প্রেমীরা ফুরমোন পাহাড় চাইলে ঘুরে আসতে পারবেন। এ পাহাড় থেকে পুরো রাঙামাটি শহর দেখা যায়।এমনিক মেঘ না থাকলে চট্টগ্রাম শহরও দৃষ্টিগোচর হয়। পর্বত প্রেমী পর্যটকরা যেতে পারেন সুভলং অভিমুখে। পাহাড় হ্রদের নিবিড় নৈকট্যে আপনার মনেও সৃষ্টি করতে পারে ভিন্ন এক অনুভূতি। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের উত্তর-পূর্ব কূল ঘেঁষে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালী। পাশেই ভারতের মিজোরাম। বর্ষাকালে সাজেক আচ্ছাদিত থাকে মেঘের চাদঁরে। তাই সাজেককে মেঘের বাড়িও বলা চলে। সাজেক রাঙামাটি জেলায় অর্ন্তগত হলেও সড়ক পথে যোগাযোগ করতে হয় খাগড়াছড়ি দিয়ে। খাগড়াছড়ি জেলা শহর থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৬৯ কিলোমিটার। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যেতে সময় লাগে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। আঁকাবাঁকা স্বপ্নীল পাহাড়ী পথ পেরিয়ে যেতে হয় সাজেকে। পথিমধ্যে চোখ আটকে যাবে পাহাড়ী নদী কাচালং-মাচালং ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার দৃশ্য দেখে। সাজেকে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় এনজিও সংস্থা ও ব্যক্তি মালিকাধীন পরিচালিত রিসোর্ট রয়েছে । পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদে সাজেকে রাত্রিযাপন করা যায় এসব রিসোর্টে। এ ছাড়াও, স্থানীয়দের ঘরবাড়ি ও নিজস্ব থাবু নিয়ে সাজেকে রাত্রিযাপন করা যায়। খাবারের সুব্যবস্থাও রয়েছে রিসোর্টগুলোতে। তবে সাজেক গেলে রিসোর্টে আগে থেকে রুম বুকিং করে নেওয়া ভালো।

কীভাবে আসবেন : রাঙামাটি আসতে হলে ঢাকার সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল থেকে সরাসরি বাস ছেড়ে যায় রাঙামাটির উদ্দেশ্যে। ঢাকার এসব স্থান থেকে ইউনিক, রিলাক্স, শ্যামলী, ডলফিন, সেন্টমার্টিন, হানিফ পরিবহনের এসি/নন এসি বাস পাওয়া যায়। ঢাকা থেকে রাঙামাটির বাস ভাড়া জনপ্রতি ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত আছে। এদিকে, চট্টগ্রামের অক্সিজেন থেকেও রাঙামাটির সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে। এর মধ্যে লোকাল বাস ছাড়াও পাহাড়ীকা বাস ও রিলাক্স পরিবহনের বাস ছেড়ে যায় প্রতি ৩০ মিনিট পর। বাসে সময় লাগে আড়াই ঘণ্টা এবং লোকাল বাসে ৩-সাড়ে ৩ ঘণ্টা। সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পাওয়া যায় বাস। এ ছাড়া, নিজস্ব গাড়ি অথবা ভাড়া করা মাইক্রো, কার, নিয়েও আপনি আসতে পারেন রাঙামাটি। নিজস্ব গাড়ি নিয়ে আসলে সময় এবং অর্থ দুইই সাশ্রয় হবে। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের গাড়ি ভাড়া চাঁদের গাড়ি আসা যাওয়ায় ৬,০০০ টাক থেকে ৭,০০০ টাকা এবং মাইক্রো-কারে ৮,০০০-১০,০০০টাকায়। এ ছাড়াও, যারা মোটরসাইকেলে ভ্রমণ করেন, তারা মোটরসাইকেলে করে সাজেকে যেতে পারেন। তবে পাহাড়ী উচুঁ-নিচু পথে অভিজ্ঞতা না থাকলে মোটরসাইকেল না চালানো উত্তম।

চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোড় ও কদমতলী বাস স্ট্যান্ড থেকেও খাগড়াছড়ির উদ্দেশে বাস ছেড়ে আসে। এদিকে এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম কাপ্তাই লেক যদি ভ্রমণ করতে চান, তাহলে প্রত্যেকটা পর্যটক ছোট-বড় অনেক বোট এবং স্পিড বোট ভাড়ায় পাওয়া যায়। প্রতিটি বোট ভাড়া সর্বনিম্ন ১,৫০০/- থেকে শুরু করে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত । এদিকে একটি বিষয় উল্লেখ করে রাখা ভালো, রাঙামাটি শহর হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র রিকশাবিহীন শহর। এখানকার স্থানীয় মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হলো অটোরিকশা। পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় টুরিস্টদের সিএজি আটোরিকশা ভাড়াটা একটু বেশি গুণতে হয়। সে ক্ষেত্রে গাড়িতে উঠার আগে ভাড়া দরদাম করে নেওয়া ভালো। যাতে করে বিড়ম্বনায় পড়তে না হয়।

কোথায় থাকবেন : রাঙামাটি ভ্রমরণ আসা পর্যটকদের জন্য বেশকিছু ভালো মানের হোটেল-মোটেল-রেস্ট হাউজ ও রিসোর্ট রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-শহরের ফিসারী ঘাট সংলগ্নে হোটেল হিল অ্যাম্বাসেডর, পৌরসভা কার্যালয় এলাকায় সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল, বনরুপায় নীডস হিল ভিউ, রিজার্ভ বাজার এলাকায় মতি মহল ও গ্রিণ ক্যাসেল ও পর্যটন কমপ্লেক্স।  শহরের রিজার্ভ বাজারে রয়েছে হোটেল নাদিশা, আনিকা।  আবার কমদামী কিছু হোটেলও আছে। যেমন মধুমিতা, সৈকত, শাপলা, ডিগনিটি, সমতা, উল্লেখযোগ্য। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের রেস্ট হাউস, গেস্ট হাউস এবং বাংলোগুলো নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ এবং অনুমতি সাপেক্ষে ভাড়া দেওয়া হয়।

প্রতি বছরই হাজারো মানুষ নগর জীবনের কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে ইট পাথরের শহর ছেড়ে ভিড় জমায় এই রাঙামাটিতে। প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে সমতলের মানুষ উদগ্রীব হয়ে থাকেন, কখন আবার ঘুরে আসবে অরণ্যের শহর রাঙামাটিতে।

নিউজ ট্যাগ: রাঙামাটি

আরও খবর

অরণ্যযাপনের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর