Logo
শিরোনাম

ঘুরে আসুন টাঙ্গাইলের ৫ জমিদার বাড়ি

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ভ্রমণপিপাসুদের কাছে টাঙ্গাইল বেশ জনপ্রিয় এক স্থান। সেখানে আছে ছোট-বড় অনেক রাজবাড়ি। ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের দুরত্ব কম হওয়ায় ছুটির দিনসহ বিভিন্ন সময়ে পর্যটকরা ঢুঁ মারেন টাঙ্গাইলে। বিখ্যাত সব রাজবাড়ি দর্শনের পাশাপাশি টাঙ্গাইলে বিখ্যাত চমচমের স্বাদ গ্রহণ করতে আপনিও চাইলে একদিনেই ঘুরে আসতে পারেন টাঙ্গাইল থেকে। লর্ড কর্ণওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নামে একটি জমিদারী প্রথা চালু করেন। এই প্রথার মাধ্যমে সারা বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে জমিদার ছড়িয়ে যায় এর ফলে পুরো ভারতবর্ষের হিসাব নিকাশ ব্রিটিশদের জন্য সহজ হয়।

এরই রেশ ধরে জমিদাররা নিজেদের বসবাসের জন্য বিভিন্ন স্থানে গড়ে তোলেন সুন্দর সব অট্টালিকা। যা পরবর্তী সময়ে রাজবাড়ি নামে খ্যাতি পায়। একেক জমিদারদের সৌখিনতা ফুটে উঠতো তাদের কারুকার্যপূর্ণ রাজবাড়িতে। প্রতিটি জমিদার বাড়িই তখনকার শিল্পীদের হাতের নিপুণ ছোঁয়াতে পূর্ণতা পেত।

বহু বছর কেটে গেলেও এসব জমিদার বাড়ি আজও মাথা উঁচু করে সগৌরবে দণ্ডায়মান। বাড়িগুলো কালের সাক্ষী হয়ে আজও সবার কৌতূহল বাড়াচ্ছে। এক টাঙ্গাইলে গেলেই আপনি দেখতে পারবেন অনেকগুলো জমিদার বাড়ি। তার মধ্যে কতগুলো আজও সংরক্ষিত আছে, এছাড়া বেশিরভাগই সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। জেনে নিন টাঙ্গাইল ভ্রমণে কোন কোন জমিদার বাড়ি অবশ্যই দেখবেন-

মহেরা জমিদার বাড়ি: টাঙ্গাইল শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই জমিদার বাড়ি। ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের নাটিয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই জমিদারবাড়ি। টাঙ্গাইলে অবস্থিত বিভিন্ন জমিদার বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হলো মহেরা জমিদার বাড়ি। আজও চকচক করছে এ বাড়ির দেওয়াল। এ বাড়ির দিকে তাকালেই আপনি বুঝতে পারবেন, তখনকার কারিগরদের হাতের ছোঁয়া কি অপূর্ব ছিল। ১৮৯০ সালেরও আগে নির্মিত হয় এই জমিদার বাড়ি। স্পেনের করডোভা নগরের আদলে নির্মিত এই জমিদার বাড়ি। কালীচরণ সাহা ও আনন্দ সাহা নামে দুই ভাই ১ হাজার ১৭৪ শতাংশ জমির উপর এই বাড়ি নির্মাণ করেন। এই জমিদার বাড়িতে ঢুকতেই চোখে পড়বে বিশাখা পুকুর। ভেতরে ঢুকলে চৌধুরী লজের দেখা পাবেন।

এর পাশেই আছে আকর্ষণীয় এক ভবন। যার নাম আনন্দ লজ। তার পাশে আছে মহারাজ লজ। এই জমিদার বাড়ির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও সুন্দর ভবনের নাম কালীচরণ লজ। ইংরেজি ইউ অক্ষরের আদলে করা ভবনটি রানিদের জন্য নির্মাণ করা হয়। তাই একে রানি ভবনও বলা হত। জমিদার বাড়ির ভেতরে বাগান, শিশুপার্ক, বিভিন্ন আর্টিফিশিয়াল স্থাপনা আছে। এছাড়া পাখ-পাখালি, বাগান, পুকুর, বিল্ডিং সব মিলিয়ে স্বপ্নপুরীর মতো মনে হয় মহেরা জমিদার বাড়ি।

হেমনগর জমিদারবাড়ি: জমিদার হেমচন্দ্রের নামেই স্থানটির নামকরণ হয় হেমনগর। টাঙ্গাইল থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ও গোপালপুর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জমিদার বাড়ি। ১৮৯০ সালের দিকে হেমচন্দ্র এখানে তার এই সুন্দর রাজকীয় বাড়িটি নির্মাণ করেন ১৮০০ বিঘার উপরে। জানা যায়, দিল্লি ও কলকাতার কারিগররা এই বিশাল জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন। স্থানীয়রা এই জমিদার বাড়িকে পরীর দালান নামেই বেশি চেনেন। সেখানে ঢুকতেই চোখে পড়ে এর মূল ভবনের চাকচিক্য। দামি পাথর ও রঙিন কাঁচ ব্যবহার করে বাড়ির দেওয়া এমনকি পিলারগুলোতেও কারুকার্য করা। এই জমিদার বাড়ির মেঝেতেও অপূর্ব নকশা করা আছে। এই বাড়িতে ২৫টি কক্ষ আছে। যার সামনের অংশ পুরো ইউরোপীয় ধাচের। একসময় রাজবাড়ির মাঝখানে ছিলো একটি দিঘী, যা ভরাট হয়ে গেছে। এর কাছাকাছি বেশ কিছু পুরনো নিদর্শন আছে, যা রাজা হেমচন্দ্র তার আত্মীয় স্বজনের জন্য নির্মাণ করেছিলেন। সেগুলো ছিল ছোট ছোট কুঠির। পর্যটকদের কাছে এই রাজবাড়িও জনপ্রিয় একটি টুরিস্ট স্পট।

করটিয়া জমিদার বাড়ি: মোঘল স্থাপত্য শিল্পের অন্যতম নিদর্শন হলো করটিয়া জমিদার বাড়ি। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে করটিয়া ইউনিয়নের পুটিয়া নদীর তীরে এই জমিদার বাড়ি অবস্থিত। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় এই বাড়ির জমিদার ভারতে চলে যান। তবে এখন তার কিছু বংশধরেরা বাস করছে বাড়িটিতে। এজন্য পর্যটকদের দুই ঈদের সময় ছাড়া তেমন ঢুকতে দেওয়া হয় না। জানা যায়, বিখ্যাত পন্নী পরিবারের ১১ তম পুরুষ সাদত আলী খান পন্নী করটিয়াতে পন্নী বংশের ভিত প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকেই তার বংশধরেরা এখানে বসবাস করতে শুরু করেন।

দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি: টাঙ্গাইলের একমাত্র মুসলিম জমিদার বাড়ি হচ্ছে দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি। সেখানকার দেলদুয়ার উপজেলায় অবস্থিত এই জমিদার বাড়ি। স্থানীয়দের কাছে এটি নর্থহাউজ নামেও পরিচিত। ঔপনিবেশিক স্থাপত্যশৈলীর আদলে তৈরি একতলা বিশিষ্ট এই জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যের তুলনা হয় না। লাল-সাদা রঙের একতলা এই জমিদার বাড়ির শিল্পকর্মে মসজিদের মতো কারুকার্য দেখা যায়। যা মনে প্রশান্তি এনে দেয়। এই জমিদার বাড়ির ঠিক মাঝ বরাবর আছে ছাদ। সেটি বেশ ভিন্ন। সেখানেই নাকি বাড়ির নারীরা আড্ডা দিতেন। জমিদার বাড়ির ঠিক পূর্ব পাশে আছে লোহার গার্ডেন চেয়ার, গোল টেবিল, পানির ফোয়ারা। পেছনে আছে আম বাগান। পূর্ব দক্ষিণ কোণে রয়েছে তিনটি বিশাল গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ, এর পাশেই আছে একটি বিশাল। রাজবাড়ির সামনে দেখতে পাবেন পারিবারিক কবরস্থান। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে এই জমিদার বংশের সমাপ্তি ঘটে। অন্যান্য জমিদার বাড়ির তুলনায় এটি বেশ ভালো অবস্থানে আছে। এখনো একজন কেয়ারটেকার বহাল আছেন এই রাজবাড়ি দেখভালের জন্য।

পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি: টাঙ্গাইল সদর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে নাগরপুর উপজেলার লৌহজং নদীর তীরে পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি অবস্থিত। ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে রামকৃষ্ণ সাহা মন্ডল নামক একজন ধর্নাঢ্য ব্যক্তি পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি স্থাপন করেন। ১৫ একর জায়গার উপর ৩টি অট্টালিকা নির্মাণ করেন তিনি। এগুলোর একত্রে নাম রাখেন তিন তরখ। অট্টালিকাগুলো আকারে বড়, মেঝো ও ছোট হলেও দেখতে কিন্তু একই রকম। এই বাড়িতে ঢুকতেই চোখে পড়বে ৩টি নাট মন্দির। রেলিং টপ কিংবা কার্নিশ যে দিকেই চোখ যোবে দেখবেন ছোট ছোট নারী মূর্তি। প্রতিটি অট্টালিকার মাঝে আছে দুটি সুন্দর নারী মূর্তি। তার পাশে আছে একটি করে ময়ূর। ১০০ বছরের পুরোনো ছায়াঘেরা সুনিবিড় পরিবেশ জমিদারদের আমেজটা আজও ধরে রেখেছে। জমিদার বাড়িটি ভ্রমণপিপাসু ও ইতিহাসপ্রেমীদের তৃষ্ণা মেটাচ্ছে আজও। বাড়ির পেছনে আছে একটি দিঘি ও ২টি পরিত্যক্ত কূপ। বর্তমানে জমিদার বাড়িটি বিসিআরজি ডিগ্রি কলেজ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।


আরও খবর

অরণ্যযাপনের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর