ঘুষ কেলেঙ্কারির
মামলায় আট বছরের দণ্ডিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল
বাছির জামিন চেয়ে ফের হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। আজ বুধবার বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের
হাইকোর্টের একক বেঞ্চে তার আবেদনটি শুনানির জন্য তালিকায় রয়েছে।
জামিন আবেদনটি আজ শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা জামিন চেয়ে আবেদন করেছি। আজ শুনানি হতে পারে।’ এর আগে গত ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ খন্দকার এনামুল বাছিরকে জামিন দিলেও পরে সেটি ২৪ ঘণ্টা না যেতেই বাতিল করে দেন চেম্বার আদালত।
চলতি বছরের
২৩ ফেব্রুয়ারি ঘুষ নেওয়ার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় দুদকের
বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক
(ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক
শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন।
অবৈধভাবে সম্পদ
অর্জন, কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে
সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে দুদক।
৪০ লাখ টাকার
ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও
দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মামলা করে দুদক। ঢাকা সমন্বিত
জেলা কার্যালয় ১-এ দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা শেখ ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে
মামলাটি দায়ের করেন।
২০১৯ সালের
২২ জুলাই দিনগত রাত পৌনে ১১টার দিকে দুদকের পরিচালক ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বে একটি টিম
মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন জামিনের আবেদন
নামঞ্জুর করে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
দেন।
এনামুল বাছির
১৯৯১ সালে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। কমিশন গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী
পরিচালক, উপ-পরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।