Logo
শিরোনাম

গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ : জিএম কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। আজ বৃহস্প্রতিবার (১৬ মার্চ) এক বিবৃতিতে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।

এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা, ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। সংবাদ সংগ্রহের সময় নিরাপরাধ সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না।

জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, এমনিতেই দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। বিভিন্ন নিবর্তনমূলক আইনের কারণে দেশের গণমাধ্যমে বেড়েছে সেলফ সেন্সরশিপ। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দেশের গণমাধ্যম সাধ্যমত চেষ্টা করে তথ্য প্রবাহ সচল রাখছে। গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা অসম্ভব। তাই, গণতন্ত্রের স্বার্থেই গণমাধ্যমের বিকাশে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে গণমাধ্যমকর্মীদের সকল নিরাপত্তা। 

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় একইভাবে ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।


আরও খবর



সব ক্ষেত্রে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | ১১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অগ্রযাত্রা এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মের। আমরা কোনও অংশে কারও থেকে পিছিয়ে থাকবো না। কারও কাছে হাত পেতে চলবো না। স্বাধীন বাংলাদেশ ১৪ বছরে বাংলাদেশের বিরাট পরিবর্তন এসেছে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন স্মার্ট জনগোষ্ঠী। আমাদের অর্থনীতি হবে স্মার্ট অর্থনীতি। আত্মসামাজিক ক্ষেত্রে স্মার্ট উন্নতি আমরা করবো। কৃষি, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান সব ক্ষেত্রে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ ও বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

দেশে কৃষি-বিজ্ঞানসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে গবেষণা হলেও স্বাস্থ্য খাতে প্রত্যাশিত গবেষণা না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষি-বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা হলেও স্বাস্থ্য খাতে গবেষণাটা খুবই সীমিত। আমাদের যারা ডাক্তার হন, ডাক্তার হয়ে পুলিশের চাকুরিতে চলে যান বা রাজনীতিবিদ হয়ে যান। কেউ ডাক্তারিও করেন না। গবেষণাও করেন না। আরেক শ্রেণি আছেন, তারা শুধু টাকা কামাই করতেই ব্যস্ত। সরকারি চাকরিও করবে, আবার প্রাইভেটে প্র্যাকটিসও করবে। এভাবে চাকরি আর প্রাকটিস করলে সেখানে আর গবেষণা হয় না।

স্বাস্থ্য খাতে গবেষণার ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাতে গবেষণাটা আমাদের খুবই দরকার। স্বাস্থ্যবিজ্ঞানে গবেষণা খুবিই সীমিত কয়েকজন করেন। আরও বেশি যেন গবেষণা হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপিস্থিত সরকারি দলের এমপি ডাক্তার রুহুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি চিকিৎসক। উনি যেন স্বাস্থ্যের গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেন।

জাতির পিতা আণবিক শক্তি কমিশন, ইউজিসি, ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন, স্থলসীমানা চুক্তি সমুদ্রসীমা আইন করে গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, পচাত্তরের পরবর্তী সরকার কোনও উদ্যোগ নেয়নি। তবে আমরা এসে সম্পন্ন করেছি। প্রতিটি ক্ষেত্রে জাতির পিতা ভিত্তিটা তৈরি করে গেছেন। আমরা সেটাকে ধরে কাজ করতে চেষ্টা করেছি।

সরকার গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আমরা বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রেখেছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করি। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করি। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ব্যাপক গবেষণার জন্য বিভিন্ন ইন্সস্টিটিউট তৈরি করি।

সব ক্ষেত্রে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নভোথিয়েটার করতে যাওয়ার কারণে আমার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া দুটি মামলা দিয়েছিল। কেন দিয়েছিল জানি না। যে কাজই করতে গিয়েছি মামলা খেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে এসব কারণে এক ডজন মামলা দিয়েছিল। আমরা এখন বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে নভোথিয়েটার করে দিচ্ছি। আমাদের যত বেশি গবেষণা বাড়বে জাতি হিসেবে তত বেশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমরা অবদান রাখতে পারবো।

প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা ভোকেশনাল শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। কর্মসংস্থান হাইটেক পার্ট, হাইটেক সিটি, ইনকিউভেশন সেন্টার করে দিচ্ছি। শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি সবকিছুতেই আমরা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে পারছি।

তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন, পাল্টা স্যাংশনে আমাদের আমাদানি পণ্যে ব্যাপক বাধা পেতে হচ্ছে। বিশ্বব্যাপীর মূল্যস্ফীতির প্রভাব পড়েছে। তারপরও আমরা এই সব পরিবেশকে মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি গবেষণায় সব থেকে বেশ সফলতা আমরা পেয়েছি। লবণাক্তসহিষ্ণু ধান আমরা দক্ষিণাঞ্চলে উৎপাদন করছি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আসবে। সেটাকে মোকাবিলা করে ভবিষ্যতে চলার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের আরও দক্ষ বিজ্ঞানী দরকার। আমরা সেদিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। যারা ফেলোশিপ পেয়েছেন আন্তরিকতার সঙ্গে গবেষণা করবেন। জানতেও চাই কী কী উদ্ভাবন করলেন, এটা কতটুকু দেশের জন্য কাজে লাগবে।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জে আমাদের লোকবল কম লাগবে কিন্তু টেকনোলজি ব্যবহার করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। তার জন্য আমাদের দক্ষ জনশক্তি দরকার। তবে আমরা সম্পূর্ণ সেদিকে যেতে চাই না। আমরা শ্রমনির্ভর শিল্পও করতে চাই কারণ আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। দুটো মিলিয়ে কীভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে পারি, সেই চিন্তাটা সবার মাথায় থাকতে হবে।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




জ্বালানির উচ্চমূল্যে অতিদরিদ্র হবে ১৪ কোটি মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জ্বালানি নিয়ে গোটা বিশ্বই এক ধরনের সংকটের মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠেছে। জ্বালানির দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই তার রেশ পড়ে অন্য নিত্যপণ্যের দামের ওপর। এর ধারাবাহিকতায় বেড়ে যায় জীবনযাপনের ব্যয়, দরিদ্র মানুষ হয়ে পড়ে আরো দরিদ্র। সম্প্রতি জার্নাল নেচার এনার্জিতে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি ব্যয়ের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে অতিদরিদ্র হবে ১৪ কোটির বেশি মানুষ।

 

গবেষণাটিতে অংশ নিয়েছেন নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক। বিশ্বের ১১৬টি দেশের মানুষের ওপর ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দামের প্রভাব নিয়ে কাজ করেন তারা। এসব দেশের পরিবারগুলো কীভাবে এ বাড়তি ব্যয় সমন্বয় করছে, কতটুকু বেড়েছে পরিবারের খরচ সেসব উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। গবেষণায় দেখা গেছে, যুদ্ধের কারণে কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় এসব দেশের পরিবারগুলোর ব্যয় বেড়েছে গড়ে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

 

নিম্ন আয়ের দেশগুলোর দরিদ্র পরিবারগুলো এরই মধ্যে ভয়াবহ খাদ্য সংকটে ভুগতে শুরু করেছে। জ্বালানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এসব দেশের দরিদ্ররা আরো দরিদ্র হয়ে উঠছে। উচ্চ আয়ের দেশগুলোতেও পরিবারগুলোয় পড়তে শুরু করেছে জ্বালানির উচ্চমূল্যের প্রভাব। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা বাজেটে কাটছাঁট করে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন। যা নিম্ন আয়ের দেশগুলোর মানুষের পক্ষে অসম্ভব। এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৪ কোটি ১০ লাখ মানুষ দরিদ্র থেকে অতিদরিদ্র শ্রেণীর কাতারে পড়বে।

 

কিছু কিছু দেশ জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে সৃষ্ট সংকটে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে এস্তোনিয়া, পোল্যান্ড ও চেক রিপাবলিকের কথা বলা যায়। এসব দেশে জ্বালানির দাম বেড়েছে বৈশ্বিক গড় দামের চেয়ে বেশি। এর কারণ হলো এ দেশগুলো শক্তিভিত্তিক শিল্প খাতের ওপর বেশি নির্ভরশীল। ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, পোল্যান্ড জ্বালানি উৎপাদনের জন্য কয়লার ওপর ৬৮ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ভরশীল।

 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ জ্বালানির দাম বাড়ানোর পাশাপাশি বাড়িয়েছে নিত্যপণ্য, প্রয়োজনীয় খাদ্যের দামও। এক বছর আগের সঙ্গে বর্তমানের দামে বিরাট পার্থক্য দেখা যাচ্ছে, আর তা বিশ্বব্যাপীই। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এক বছরের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ৭০ দশমিক ১ শতাংশ, মার্জারিনের ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ, মাখনের ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ, ময়দার ২০ দশমিক ৪ শতাংশ, রুটির ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ, চিনির বেড়েছে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ, দুধের ১১ শতাংশ, মুরগির ১০ দশমিক ৫ শতাংশ।

 

চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এ সময়ের ব্যবধানে দেশটিতে ফল ও সবজির দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, শিগগিরই দাম কমার কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

 

বহুজাতিক কোম্পানি নেসলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পণ্যের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে ইউনিলিভার ও প্রোক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বলের মতো প্রতিষ্ঠানও দাম বৃদ্ধির কথা জানায়। এসব দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা সংকটের কথা বলা হচ্ছে।

 

ইউনিলিভারের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা গ্র্যামি পিটক্যাথি বলেন, ‘‌সম্ভবত আমরা মূল্যস্ফীতির চূড়ায় রয়েছি। তবে সর্বোচ্চ দামের চূড়ায় এখনো পৌঁছিনি। একই সময়ে চলতি বছর খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন ইউনিলিভারের প্রধান নির্বাহীও।’

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের সরকার পরিবারগুলোর ওপর জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কমাতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানির ওপর থেকে কর কমানো, জ্বালানির বিলে ছাড়, প্রণোদনা ইত্যাদি।

 

গবেষকরা বলছেন, সরকারগুলোর পক্ষে আরো পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। যেমন জ্বালানির দামে ভর্তুকি, টেকসই উৎস থেকে জ্বালানি সরবরাহ ইত্যাদি। ক্ষতিগ্রস্ত দেশে সরকার পাশে না দাঁড়ালে সাধারণ মানুষের জন্য জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে দরিদ্ররা আরো দরিদ্রের পথে এগিয়ে যাবে।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




রাজধানীতে বিক্ষোভ করতে চায় জামায়াত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীতে বিক্ষোভ করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে আবেদনপত্র দিয়েছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে  বিক্ষোভ মিছিল করতে চায় তারা।

 আজ  সোমবার বিকেল ৪টায় ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহ-সম্পাদক সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ আবেদন জমা দেন। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সভাপতি ড. গোলাম রহমান ভুইয়া, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জালাল উদ্দীন ভুইয়া, এম আর করিম প্রমুখ।

আবেদনে বলা হয়, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান ও ওলামায়ে কেরামসহ সব নেতাকর্মীর মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ জনগনের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলটি ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়, বিজয়নগর ও নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হবে। বিক্ষোভ কর্মসূচি সুশৃংখল ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ডিএমপির আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।

ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে আবেদন জমা দেওয়ার পর প্রতিনিধি দল উপস্থিত মিডিয়ার সামনে প্রেস ব্রিফিং করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ডিএমপির ই-মেইলে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের অফিস সম্পাদক ড. মোবারক হোসাইনের স্বাক্ষরিত একই আবেদন পাঠানো হয়। আজ ডিএমপি কার্যালয়ে জামায়াতের প্রতিনিধি দল সশরীরে উপস্থিত হয়ে আবেদন করেন এবং ডিএমপি কমিশনারের প্রতিনিধি তাদের কাছ থেকে আবেদনপত্রটি গ্রহণ করেছেন।


আরও খবর



ইরান-সৌদির চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তেহরান তাদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে কি-না সে ব্যাপারে ওয়াশিংটন সংশয় প্রকাশ করেছে। খবর এএফপির। 

শুক্রবার এক বিবৃতিতে একথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সম্পর্কের বরফ গলাতে চীনের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে এ চুক্তি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, এ কূটনৈতিক চুক্তিকে আমরা স্বাগত জানাই। উদাহরণ হিসেবে আমরা দেখতে চাই এ চুক্তি ইয়েমেনকে শান্তির দিকে নিয়ে যাক। সেখানে এ দুটি আঞ্চলিক শক্তি বিরোধী পক্ষকে সমর্থন করে।

কিরবি বলেন, আমরা দেখব, ইরানিরা তাদের চুক্তির পক্ষকে সম্মান করছে কিনা। আর তা সত্যিই দেখার বাকি রয়েছে। এটি এমন কোন শাসনব্যবস্থা নয় যে সাধারণত তার কথাকে সম্মান করে।

তিনি বলেন, আমরা ইয়েমেনে এই যুদ্ধের পরিসমাপ্তি দেখতে চাই এবং এই চুক্তি আমাদেরকে সেই ফলাফলের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।

মার্কিন মিত্র সৌদি আরব এবং চিরশত্রু ইরানকে একত্রিত করার ক্ষেত্রে চীনের অস্বাভাবিক ভূমিকা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে কিরবি বলেন, বিদেশে এবং অভ্যন্তরীণ অসন্তোষের কারণে চাপের মুখে ইরানকে আলোচনার টেবিলে আনা হয়।

তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই চীনকে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছি, কারণ তারা নিজেদের স্বার্থে বিশ্বব্যাপী প্রভাব খাটানোর এবং পা রাখার চেষ্টা করে থাকে।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




রমজানে অফিসের নতুন সময় নির্ধারণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৭১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রতি বছরের মতো এবারও রমজান মাসে সরকারি-আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে অফিসের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৩ মার্চ) মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, রমজান মাসে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিস চলবে। এর মধ্যে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে যথারীতি শুক্রবার ও শনিবার।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ডাক, রেলওয়ে, হাসপাতাল ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এ সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব আইনানুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে সময়সূচি নির্ধারণ ও অনুসরণ করবে।

এদিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বর্তমানে সকাল ৯টায় থেকে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত অফিস চলে। সাধারণ সময়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস চলে।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৩ বা ২৪ মার্চ থেকে রমজান শুরু হবে।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩