Logo
শিরোনাম

গণপরিবহণে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া আদায়

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

তেলের দামের কারণে ঢাকার গণপরিবহণে ১৬.২৭ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে দূরত্বভেদে দ্বিগুণেরও বেশি আদায় করা হচ্ছে। বেশি ভাড়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। যাত্রীদের অভিযোগ, গণপরিবহণে ভাড়া সন্ত্রাস চলছে। ন্যায্য ভাড়া দিতে চাইলে হুমকি দিয়ে ভাড়া আদায় করা হয়। কখনো কখনো বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।

এদিকে মালিক সমিতি গত বুধবার ওয়েবিল প্রথা বন্ধের ঘোষণা দিলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। স্থানে স্থানে চেকিং করা হচ্ছে। আর এ সুবাদে আদায় করা হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। পাশাপাশি স্টপেজ বাদেও খোলা থাকছে বাসের দরজা। চলছে যাত্রী ওঠানামা। সিট হিসাব করেই বাড়তি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ প্রায় প্রতিটি বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। ভাড়ার তালিকাও সুবিধাজনক স্থানে না টানিয়ে চালকের সামনে টানিয়ে রাখা হচ্ছে। এদিকে নতুন ভাড়া নির্ধারণের পর গ্যাসচালিত গাড়িগুলো এখন দেখা যাচ্ছে না। এসব গাড়িও তেলের গাড়ির মতোই বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।

ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, বর্ধিত ভাড়া সারা দেশে কার্যকর হয়েছে। শুধু ঢাকা মহানগরীতে একটু সমস্যা আছে। বর্ধিত ভাড়া কার্যকর ও ওয়েবিল চেক বন্ধে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা রাখি শিগগিরই একটা শৃঙ্খলায় আসবে। অন্য সময়ের চেয়ে এবার নৈরাজ্য কম বলে দাবি করেন তিনি।

আর যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সরকার চাইলে পরিবহণ নৈরাজ্য থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে পারে। দেশ ডিজিটালাইজেশন হলেও পরিবহণ সেক্টরটি এখনো এনালগ পদ্ধতিতে চলছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভাড়া বৃদ্ধি ও আদায়ের ব্যবস্থা করা হলে নৈরাজ্য থাকত না।

তিনি বলেন, বিআরটিএ দুয়েকটি অভিযান করছে। কিন্তু অবস্থার কেনো পরিবর্তন নেই। তিনি বলেন, আমরা মনে করি দেশে ২০ শতাংশ গণপরিবহণ গ্যাসে চলে। আর মালিক সমিতির দাবি ৫ থেকে ৭ শতাংশ গাড়ি গ্যাসে চলে। যদি ৫ শতাংশও গ্যাসে চালানো হয়, তবে সেই গাড়িগুলো কোথায়? মূলত সেই গাড়িগুলোও তেলে চালিত গাড়ির মতোই ভাড়া আদায় করছে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু তদারকির অভাবে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

সম্প্রতি ওয়েবিলের নামে বাড়তি ভাড়া আদায়কারী গণপরিবহণের রুট পারমিট বাতিলেরও ঘোষণা দেনে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। তবে রোববার বক্তব্য নিতে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, তেলের দাম বাড়ানোর পর ৭ আগস্ট বিআরটিএ মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে গণপরিবহণের ভাড়া বর্ধিত করে। দূরপাল্লার বাস ভাড়া ২২ দশমিক ২২ শতাংশ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলরত বাস ভাড়া ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ বাড়ানো হয়। সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ হয় মিনিবাসে ৮টাকা, বাসে ১০ টাকা। এতে মহানগরীতে মিনিবাসে প্রতি কিলোমিটারে আগের ভাড়া ২ টাকা ০৫ পয়সার স্থলে বর্ধিত করে ২ টাকা ৪০ পয়সা, বাসে ২ টাকা ১৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে।

গত শনি ও রোববার নগরীর বিভিন্ন রুটে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, নতুন ভাড়ার পরিবর্তে বাসগুলো অনেক বেশি আদায় করছে। প্রতি মাইলে ভাড়া আদায় করা হয়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা। নতুন তালিকা ধরে ভাড়া আদায় করতে দেখা যায়নি। শনিবার খিলক্ষেত থেকে বসুমতি পরিবহণের বাসে কালসী মোড়ে নামেন আমান উল্লাহ। সাড়ে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে তাকে ভাড়া গুনতে হয় ৩০ টাকা। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া আসে ১৩ টাকা ২০ পয়সা। আদায়ের হিসাবে যাত্রীদের কাছ থেকে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫ টাকা ৪৫ পয়সা। শুধু বসুমতিই নয়, এ রুটে চলাচলকারী প্রজাপতি ও পরিস্থানসহ অন্য পরিবহণগুলো একই হারে ভাড়া নিচ্ছে।

মিরপুর ১০ নম্বর থেকে কুড়িল চৌরাস্তার দূরত্ব সাড়ে ৭ কিলোমিটার। রোববার রাজধানী পরিবহণের বাসে এ দূরত্বে ভাড়া আদায় করা হয় ৩০ টাকা। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া আসে ১৮ টাকা। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, ২০ টাকা ভাড়া দিতে চাইলাম, নেয়নি। ৩০ টাকা না দিলে নামিয়ে দিতে চায়। পরে বাধ্য হয়েই বাড়তি ভাড়া দিয়েছি। তিনি জানান, অছিম, নূরে মক্কাসহ এ রুটে চলাচলরত অন্য পরিবহণগুলো এরকম ভাড়া আদায় করছে।

এখানেও প্রতি কিলোমিটারে গড়ে ভাড়া আদায় হচ্ছে ৪ টাকা করে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সড়কে প্রকাশ্যে এমন ভাড়া সন্ত্রাস দেখার কেউ নেই। মিরপুরের টেকনিক্যাল মোড় থেকে কলাবাগান পর্যন্ত দূরত্ব ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার। এ দূরত্বে সরকার নির্ধারিত ভাড়া ১২ টাকা ৪৮ পয়সা। দিশারী, বাহন, ট্রান্স সিলভা, সাভার পরিবহণ, মৌমিতা পরিবহণে এ দূরত্বে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা।

অর্থাৎ প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ৩ টাকা ৮৫ পয়সা করে। মালিবাগ মোড় থেকে মধ্য বাড্ডার দূরত্ব ৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার। এ দূরত্বে ভিক্টর, রাইদাসহ বিভিন্ন পরিবহণে ভাড়া আদায় করা হয় ১৫ টাকা। অথচ এ দূরত্বে সরকার নির্ধারিত ভাড়া ১০ টাকা ৫৬ পয়সা। অর্থাৎ এ দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীদের কাছ থেকে ৩ টাকা ৪০ পয়সা হিসাবে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। রামপুরা ব্রিজ থেকে কুড়িল ফ্লাইওভারের দূরত্ব ৬ দশমিক ৬ কিলোমিটার। এ দূরত্বে যাত্রীদের ভাড়া গুনতে হচ্ছে ২০ টাকা। অথচ সরকার নির্ধারিত ভাড়া আসে সাড়ে ১৫ টাকা ৮৪ পয়সা। এ দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীদের ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৩ টাকার বেশি।

এদিকে প্রতিটি বাস-মিনিবাসে ভাড়ার চার্ট টানানোর কথা থাকলেও অনেক বাসেই তা দেখা যায়নি। আবার যেসব বাসে তা দেখা গেছে, সেখানেও রয়েছে ফাঁকি। মিনিবাসগুলোতে টানানো হয়েছে বাসের ভাড়ার চার্ট। সূত্রমতে, বাস ও মিনিবাসের ভাড়ার মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। মিনিবাসে যেখানে নিম্নতম ৮ টাকা, সেখানে বাসের ১০টাকা। আর কিলোমিটারে ভাড়া মিনিবাসে যেখানে ২ টাকা ৪০ পয়সা সেখানে বাসের ভাড়া ২টাকা ৫০ পয়সা।


আরও খবর

রাজধানীর ৯০ ভাগ হিজড়াই নকল

শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর