Logo
শিরোনাম

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা জয়ী হব: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আমাদের বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছিলেন জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতি আজ আবার সঙ্কটে পড়েছে। আজকে সমগ্র জাতি অন্ধকারে নিমজ্জিত। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত করছে তার বিরুদ্ধে গোটা জাতি জেগে উঠেছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে গোটা জাতি জেগে উঠেছে। জাতি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শপথ নিয়ে জেগে উঠেছে। ইনশাআল্লাহ আমরা মানুষকে সংঘটিত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দেশ রক্ষার লড়াই সংগ্রামে জয়ী হবো।

জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় স্থায়ী কমিটির নেতাদের মধ্যে ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের নেতা জিয়াউর রহমান। যিনি জাতির ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি ও বহুদলীয় গগণতন্ত্রের প্রবক্তা। আমরা তাকে শ্রদ্ধা জানাই। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা মানুষ। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে নিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরে ৭ নভেম্বরও তিনি জাতির ক্রান্তিলগ্নে হাল ধরেছিলেন। হতাশাগ্রস্ত জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ নতুনভাবে উজ্জীবিত হয়ে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। তিনি একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। মুক্তবাজার অর্থনীতি উপহার দিয়েছেন। আজকে আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে দেশকে উন্নতি ও অগ্রগতির দিকে নিয়ে যেতে স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, তাকে আমরা বেশিদিন পাইনি। বাংলাদেশের শত্রুদের হাতে তিনি শহীদ হয়েছেন। বর্তমানেও আমরা তার আদর্শ ও ১৯ দফাকে সামনে রেখে আমরা পথ চলছি।

জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে আরও ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির মো. আব্দুস সালাম, ঢাকা উত্তরের আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূইয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী অ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, ফজলুর রহমান খোকনসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।

পরে বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তাদের অন্যতম হলেন- মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. মো. আব্দুস সালাম, মৎস্যজীবী দলের মো. আব্দুর রহিম, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, ওমর ফারুক পাটেয়ারি, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, আবুল খায়ের খাজা, কাজী মো. আমীর খসরু, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, মাহবুব আহমেদ বাদল, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, শাম্মি আখতার, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ডা. পারভেজ রেজা কাকন, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, প্রকৌশলী আইয়ুব হোসেন মুকুল, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।


আরও খবর



কারাগারে দিলীপ: নকল হীরার সিন্ডিকেটের খোঁজে গোয়েন্দারা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গ্রাহকদের মোজানাইট কিংবা জারকান পাথরকে আসল হীরার গ্যারান্টি দিয়ে প্রতারণা করে আসছে দিলীপ আগরওয়ালার ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড। হীরার নামে মোজানাইট পাথর কাদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা। এমনকি নকল হীরার সিন্ডিকেটের খোঁজও করছেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দিলীপের সিন্ডিকেটের বেশ কিছু ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। তবে এখন এগুলো যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। অন্যদিকে, রিমান্ড শেষে দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অভিযোগ রয়েছে, নকল হীরা বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে দিলীপ সিন্ডিকেট। এই অর্থের বড় একটি অংশ তারা বিদেশে পাচার করেছে। দেশের মতো বিদেশেও গড়েছে সম্পদ। তবে প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত অর্থের একটি অংশ তারা তৎকালীন হাসিনা সরকারের কয়েকজন প্রভাবশালীকে দিত নিয়মিত। এর মাধ্যমে নিরাপদ রেখেছিল তাদের সম্পদ।

গতকাল রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয় দিলীপ কুমারকে। এরপর মামলা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সাদেক। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে আটক করে র‌্যাব। পরে ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন আদালত দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই দুপুরে বাড্ডা থানাধীন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিতে নিহত হন হৃদয় নামের এক কিশোর। ওই ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন শাহাদাত হোসেন খান নামের এক ব্যক্তি। সেই মামলারই আসামি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

বাংলাদেশের একটি রহস্যময় চরিত্র দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। ডায়মন্ড ব্যবসার আড়ালে কাচকে হীরা বানিয়ে বিক্রি, হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি এবং বিদেশে অর্থ পাচারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা ও সদরের একাংশ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।


আরও খবর



রেমিট্যান্স চোরাকারবারিদের পেটে, হুন্ডিতে তছনছ রিজার্ভ!

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিগত ১৫ বছরে অবৈধ হুন্ডিতে তছনছ হয়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সূত্র বলছে- প্রবাসীদের রক্তে-ঘামে অর্জিত রেমিট্যান্স গেছে চোরাকারবারিদের পেটে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন ডলারের বদলে পাচার হয়ে প্রতিদিন দেশে ঢুকেছে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সেনা। এই সোনার বড় অংশ পুনরায় পাচার হয়েছে দেশের স্থল ও নৌপথে অন্য দেশে। একইভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে প্রতিবছর দেশে আসছে হাজার হাজার কোটি টাকার হীরা ও হীরাসদৃশ বস্তু। সোনা আর হীরার বৈধ আমদানি নামমাত্র হলেও, চোরাচালানের মাধ্যমে বছরে ৯১ হাজার কোটি টাকা হুন্ডিতে পাচার হওয়ার তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস।

এ পরিস্থিতিতে অংশীজনরা বলছেন, হুন্ডিতে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে নতুন সরকারকে। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের অনুসন্ধান ও বিদেশে গোয়েন্দা নজরদারির তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, অব্যাহত ডলার সংকটের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। নানা উদ্যোগ নেওয়ার পরও  সংকট কাটছে না ডলার সংকট। ফলে ব্যাংকগুলো সময়মতো এলসি খুলতে পারছে না। এতে ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। ডলার সংকটের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে জ্বালানি খাতে। জ্বালানির মূল্য বাড়ার কারণে সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়েছে। এতে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে হুহু করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, আগস্ট মাসে প্রবাসীরা ২২২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি, ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ, জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মে মাসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ এবং জুন মাসে আসে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

 এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু  বলেন, অর্থনীতিতে হুন্ডি বড় ফ্যাক্টর। প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়েও বেশি আসে হুন্ডিতে। সরকার মুদ্রা মান ম্যানুয়ালি করায় হুন্ডিতে উৎসাহিত হন প্রবাসীরা। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেমিট্যান্সের প্রকৃত প্রতিফলন নেই। রিজার্ভের অর্থ হুন্ডিতে আসার ফলে সোনা চোরাচালানসহ সব ধরনের চোরাকারবারি বেড়ে যায়। এই সংকট উত্তরণে নতুন সরকারকে মুদ্রামান যথাযথ রাখার উদ্যোগ নিতে হবে। কেন ৯১ হাজার কোটি টাকার সোনা ও হীরা চোরাচালান হচ্ছে তা সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে খতিয়ে দেখতে হবে এবং প্রতিরোধ করতে হবে। সংশ্লিষ্টরা এ কাজে ব্যর্থতার পরিচয় দিলে অর্থনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের পুনরাবৃত্তি হবে।

 এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ডলারের  ক্ষেত্রে ব্যাংকের চেয়ে হুন্ডিতে বাড়তি দর পাওয়ায় প্রবাসীরা উৎসাহী হন। হুন্ডির সঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত। এ চক্রের সঙ্গে আছে  দেশি চোরাকারবারিরা। এদের ধরতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) সক্রিয় হতে হবে। দেশি চক্রকে ধরা বিএফআইইর পক্ষে কঠিন নয়। চোরাচালানে সোনা কীভাবে আসে তা খতিয়ে দেখতে হবে। সোনা চোরাচালান বন্ধে কেন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, সেটাও বেরিয়ে আসবে দেশি চক্রের সদস্যদের ধরতে পারলে। পাচার হওয়া সোনা কীভাবে দেশে আসছে, সেই পথ বন্ধ করতে হবে। আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনতে চোরাচালান বন্ধের বিকল্প নেই।

সর্বশেষ গত ৩ জুন সোনা ও হীরা চোরাচালানে বছরে ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা পাচার হওয়ার তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে বাজুস বলেছে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৩০টি জেলার সীমান্ত অবস্থিত। এর মধ্যে খুলনা বিভাগের মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলা সোনা চোরাচালানের নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে। ভারতে পাচার হওয়া সোনার বড় একটি অংশ এসব জেলার সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে থাকে। বাজুসের প্রাথমিক ধারণা- প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে প্রতিদিন সারা দেশের জল, স্থল ও আকাশ পথে কমপক্ষে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার, সোনার বার, ব্যবহৃত পুরনো জুয়েলারি (যা ভাঙ্গারি হিসেবে বিবেচিত হয়) ও হীরার অলংকার (ডায়মন্ড জুয়েলারি) চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। যা ৩৬৫ দিন বা এক বছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা বা তার অধিক। এর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ২২০ কোটি টাকার সোনা ও গয়না এবং ৩০ কোটি টাকার হীরা ও হীরার অলংকার বাংলাদেশে আসছে। সে হিসাবে ৩৬৫ দিন বা এক বছরে ৮০ হাজার ৩০০ কোটি টাকার সোনা ও ১০ হাজার ৯৫০ কোটি টাকার হীরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসছে। এই পুরো টাকাটাই হুন্ডির মাধ্যমে সোনা ও হীরা চোরাকারবারিরা বিদেশে পাচার করে থাকে। যার ফলে সরকার রেমিট্যান্স হারাচ্ছে এবং সোনা ও হীরা চোরাকারবারিরা তাদের অবৈধ অর্থ বিদেশে পাচার করে যাচ্ছে। দেশে চলমান ডলার সংকটে প্রায় ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার অর্থ পাচার ও চোরাচালান বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

বাজুস চোরাকারবারিদের ধরতে সুপারিশে বলেছে, সোনা ও হীরা চোরাচালানে জড়িতদের ধরতে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার জোরালো অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন। সোনা ও হীরা চোরাচালান প্রতিরোধে বাজুসকে সম্পৃক্ত করে পৃথকভাবে সরকারি মনিটরিং সেল গঠন করা জরুরি। বাজুস মনে করে, দেশে অবৈধভাবে আসা সোনা ও হীরার  সিকি ভাগও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরে আসছে না। ফলে নিরাপদে দেশে আসছে চোরাচালানের বিপুল পরিমাণ সোনা ও হীরার চালান। আবার একইভাবে পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশ সোনা চোরাচালানের বড় রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ঝিনাইদহের মহেশপুর ও চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নিয়মিত কড়া নজরদারি প্রয়োজন।

 দেশে চলমান ডলার সংকট ও অর্থ পাচারের সঙ্গে সোনা চোরাচালানের সিন্ডিকেটের সুসম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে সোনার বাজারের অস্থিরতার নেপথ্যে জড়িত চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে কাস্টমসসহ দেশের সব আইন- প্রয়োগকারী সংস্থার জোরালো অভিযান ও শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সোনার বাজারে শৃঙ্খলা আনতে কঠোর অভিযানের বিকল্প নেই। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সোনা চোরাচালানের ক্ষেত্রে আলোচিত জেলাগুলোতে চিরুনি অভিযানের দাবি করছে বাজুস। এ প্রসঙ্গে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের (পিইবি) চেয়ারম্যান এম. মাশরুর রিয়াজ বলেন, রেমিট্যান্স বৈধ চ্যানেলে বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। প্রবাসী শ্রমিকদের আয়ের বেশির ভাগ অর্থই হুন্ডিতে আসে। হুন্ডি বন্ধে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দর বাড়াতে হবে। বৈধপথে কীভাবে প্রবাসী আয় তাদের পরিবারের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া যায় সেই উদ্যোগ নিতে হবে। এই পদক্ষেপের ফলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সোনা আসে, সেটা অনেকাংশে কমবে।

 বাজুসের মুখপাত্র ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, হুন্ডি বন্ধ করতে চাইলে প্রথমেই সোনা চোরাচালান বন্ধ করতে হবে। এ জন্য সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা জরুরি। এ ছাড়া ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। দেশে বড় আকারের বিদেশি সোনা এবং হীরার অলংকার কোথা থেকে কীভাবে আসে, এই সোনার বৈধ উৎস কী, কোনো বৈধ কাগজপত্র আছে  কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।

 বৈদেশিক মুদ্রা ও চোরাচালান বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর  ও সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর দিয়ে প্রচুর সোনার বার, অলংকার ও হীরা খচিত অলংকার দেশে প্রবেশ করে। এক্ষেত্রে বিমানে কর্মরত কর্মীরাও সম্পৃক্ত থাকার বেশ কয়েকটি ঘটনায় প্রমাণ পাওয়া যায়। সাধারণত বিমানবন্দর দিয়ে ছাড় হওয়ার পর কর্মীরা বাস ও ট্রেনযোগে ঝিনাইদহের মহেশপুর ও চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করে থাকে। সোনা চোরাকারবারিরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদেশ থেকে সোনার বার আনছে। উদ্বেগজনক তথ্য হলো- গত কয়েক মাসে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা সীমান্তবর্তী থেকে প্রায় ২৬ কেজি চোরাচালানের সোনা জব্দ করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির তথ্যানুযায়ী ২০২৩ সালে ১০১ দশমিক ৮৯ কোটি টাকার সোনা জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিজিবি সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে ৯২৫ দশমিক ৯১৯ কেজি চোরাচালানের সোনা জব্দ করে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বিজিবি বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে ২৭ দশমিক ৭১৩ কেজি চোরাচালানের সোনা জব্দ করা হয়। ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিজিবির হাতে গ্রেফতার আসামির সংখ্যা ২৯০ জন এবং দায়ের করা মামলার সংখ্যা ২৮৯টি। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য থাকে যে, আসামি ও মামলার পরবর্তী কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। গত ১০ বছরে শুল্ক গোয়েন্দা, কাস্টম হাউস, বিজিবি, পুলিশ ও এয়ারপোর্ট এপিবিএন সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৮৩ কেজি সোনা জব্দ করে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, এই সোনা যদি আনুষ্ঠানিক পথে আমদানি করা হতো তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকে ২২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ জমা হতো, যা থেকে সরকারের রাজস্ব আহরণ হতো প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। এপিবিএনের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এপিবিএন বিগত কয়েক বছরে ১৩১ দশমিক ১১০ কেজি সোনার বার, অলংকার জব্দ করেছে যার বর্তমান বাজারদর ১৩০ কোটি ৪৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

 ঢাকা কাস্টমস হাউসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমেই ২০২০ সালে ২ দশমিক ৭৭৫ টন, ২০২১ সালে ২৫ দশমিক ৬৮৯ টন, ২০২২ সালে ৩৫ দশমিক ৭৩৩ টন এবং ২০২৩ সালে ৩১ দশমিক ৪৬৮ টন সোনার বার ব্যাগেজ রুলের আওতায় আমদানি হয়েছে। কাস্টমসের তথ্যমতে, ২০২০ থেকে ২০২২ সালে শিল্পে ব্যবহারের জন্য ৪টি চালানে ২ কেজি ১৬০ গ্রাম ডায়মন্ড আমদানি করা হয়েছে। তবে ডায়মন্ডের অলংকার আমদানি হয়নি। গত ১৯ বছরে যত ডায়মন্ড আমদানি হয়েছে, তার ৮৭ শতাংশই আনা হয়েছে ভারত থেকে। ভারতের গুজরাটের সুরাটে বিশ্বের ৬৫ শতাংশের বেশি হীরা কাটিং ও পলিশিং করা হয়। খুব সহজে বহন করা যায় বলে দেশটি থেকে অবৈধভাবে হীরা আসছে বলে অনেকের ধারণা।

 বিজিবি জোয়ানরা ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের সময় বিগত কয়েক বছরে কয়েকটি চালান জব্দ করেছে। ২০২১ সালে সাতক্ষীরা সীমান্তে পৌনে ২ কোটি টাকার ১৪৪টি হীরার গয়না জব্দ করেছে বিজিবি। ২০১৮ সালে ৭০ লাখ টাকার হীরার গয়না জব্দ করা হয়। অবৈধ পথে হীরা আমদানির বড় কারণ শুল্ক ফাঁকি। হীরা আমদানিতে শুল্ককর অনেক বেশি। যেমন বন্ড সুবিধা ছাড়া অমসৃণ হীরা আমদানিতে কর ৮৯ শতাংশ। মসৃণ হীরা আমদানিতে কর প্রায় ১৫১ শতাংশ। এই শুল্ককর ফাঁকি দিতেই মূলত অবৈধ পথে বিপুল পরিমাণ হীরা আসছে। গত ১৯ বছরে এই মূল্যবান রত্ন আমদানিতে সরকার মাত্র ১২ কোটি টাকার রাজস্ব পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- দেশের হীরার বাজার প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার। এই হীরার বাজার পুরোটাই চোরাচালান নির্ভর হয়ে আছে। সোনা চোরাচালানের খবর পাওয়া গেলেও, আমরা হীরা চোরাচালানের খবর না পাওয়া রহস্যজনক। হীরা চোরাচালানের সঙ্গে কারা জড়িত, তাও দ্রুত চিহিৃত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন বলে মনে করছে বাজুস।

 মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২ ধারায় সোনা চোরাচালানকে মানি লন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। আইনে সেখানে ১২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং ২০ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে, অপরাধীর মূল হোতা আড়ালে থেকে যায় এবং ধরা পড়ে চুনোপুঁটিরা। কিন্তু সেক্ষেত্রেও আইনের বেড়াজালে জামিনে মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে চুনোপুঁটির দল। ফলে চোরাচালান চলছে তাদের নিজস্ব গতিতেই। বিগত ২০২২ সালের ৮ নভেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাই কোর্ট বেঞ্চ মন্তব্য করে বলেছেন- জনগণের টাকা আত্মসাৎ, লুটপাট ও পাচারকারীদের স্যুট ডাউন করা উচিত। অর্থ পাচারকারীরা জাতির শত্রু। অর্থ লুটপাট, পাচারের মামলার সামারি ট্রায়াল (দ্রুত বিচার) হওয়া উচিত।


আরও খবর

বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম

সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3




শেখ হাসিনার সঙ্গে হত্যা মামলার আসামি দিলীপ ও দোলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৯০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ধানমন্ডি এলাকায় শুভ নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান দোলনসহ ১৩৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে ভিকটিমের মা রেনু মামলাটি করেন। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু, সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন, অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল, নূর আলম সিদ্দিকীর ছেলে তাহজীব আলম সিদ্দিকী, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান দোলন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই ধানমন্ডি থানাধীন ৩ নম্বর রোডে গুলিবিদ্ধ হন শুভ। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।


আরও খবর



ফের গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানায় ফের লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কারখানার বিভিন্ন মেশিনের যন্ত্রাংশ লুট করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে দুর্বৃত্তদের। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ দুর্বৃত্ত কারখানায় প্রবেশ করে এ ঘটনা ঘটায়।

এর আগে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর প্রথম দফা লুটপাট ও আগুন লাগানো হয় এ কারখানায়। এরপর ২৫ আগস্ট সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী গ্রেপ্তারের পর দ্বিতীয় দফা লুটপাটের পর আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর আজ তৃতীয় দফা লুটপাটের পর আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

রুপসী এলাকার বাসিন্দা জোনায়েদ আহমেদ বলেন, আগুনের ধোঁয়া দেখে দৌড়ে আসি। দেখি ৪০ থেকে ৫০ জনের মতো লোক লোহার জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। আমরা কয়েকজনকে ধরে বেঁধে রেখেছি।

সিকিউরিটি হাফিজুর রহমান বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কারখানার পূর্ব পাশের কাঁটাতার ভেঙে বেশ কিছু লোক ঢুকে লোহার বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যায়। আমরা কয়েকজনকে ধরেছি।

 


আরও খবর



শহীদি মার্চে লাখো ছাত্র-জনতার ঢল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৮৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহতদের স্মরণে এবং আওয়ামী সরকারের পতনের একমাস পূর্তি উপলক্ষে ছাত্র-জনতার শহীদি মার্চ শুরু হ‌য়ে‌ছে। লাখো ছাত্র-জনতা এতে অংশ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দি‌কে ঢাকা বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের রাজুর ভাস্ক‌র্যের পাদ‌দেশ থে‌কে‌ এই মার্চ শুরু হয়।

শহীদি মার্চ নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, কলাবাগান, মিরপুর রোড ধরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে ফার্মগেট, কাওরানবাজার, শাহবাগ ও রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হবে।

এর আগে দুপুর থেকেই রাজু ভাস্ক‌র্যের পাদ‌দে‌শে জড়ো হ‌তে থা‌কে বি‌ভিন্ন প্রতিষ্ঠা‌নের শিক্ষার্থীরা। ৩টা ২০ মি‌নি‌টের দি‌কে শেখ হা‌সিনার বিচা‌রের দা‌বি‌তে স্লোগা‌নে উত্তাল হ‌য়ে উ‌ঠে টিএস‌সি এলাকা।

নিউজ ট্যাগ: শহীদি মার্চ

আরও খবর