Logo
শিরোনাম

গোপালগঞ্জে সেতুর অভাবে চরম দূর্ভোগে ১০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ছোট একটি নৌকায় করে ১৫-২০ জন প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খরস্রোতা ওয়াপদার কাটাখালের পশ্চিম পাড় থেকে পূর্ব পাড়ে যাচ্ছে। নৌকার মাঝি শৈলেন গাইন (৫৫) স্রোতের কারনে ঠিকভাবে নৌকার বৈঠা চালাতে পারছেন না। খালে পশ্চিম পাড় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের পারাপার দেখেছেন ফ্রান্সিস বৌদ্ধ (৫৭)। কিছু সময় পর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বসে পড়লেন নদীর পাড়ে।

এসময় তিনি বলেন, প্রতিদিন একবারের জন্য হলেও ওই খালের পাড়ে এসে শিক্ষার্থীদের পারাপার দেখতে আছেন। ২০ বছর আগে এই খালেই তার মেয়ে নৌকা ডুবিতে মারা যান। এরপর থেকে এসব শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজের সন্তানকে খুঁজে বেড়ান।

সরেজিমনে গিয়ে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ‍উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের মুশুরিয়া গ্রামকে দুভাগে বিভক্ত করে রেখেছে পয়সাটহাট-মোস্তাপুরের ওয়াপদার কাটাখাল। এ খাল পাড়ি দিয়ে মুশুরিয়া, চলবল, উত্তর চলবল, শৈলদাহ, নবগ্রাম, উত্তর রামশীল, ভাটেরবাড়ি, কাফুলাবাড়ি, জহরকান্দি ও ভূতেরবাড়িসহ অন্তঃত ১০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ যাতায়েত করেন। খালের পূর্ব পাশে শৈলদাহ মুশুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এজি মিশন স্কুল, এসডিএ চার্চ স্কুল এবং পশ্চিম পাশে বিতান শিশু নিকেতন, মধ্য ও দক্ষিন বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন প্রকল্প নামের মোট ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া পূর্ব পাশের বাসিন্দারে পশ্চিম পাশে ২শ একর এবং পশ্চিম পাশের বাসিন্দাদের পূর্ব পাশে ৩শ একর জমি রয়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে খালটি পারাপার হয়ে থাকেন। এছাড়া প্রতিদিন এ খাল পাড়ি দিয়ে রোগী আনা-নেয়াসহ কৃষি জমি, মাছের ঘের, হাট-বাজার ও ধর্মীয় উপসানালয়সহ নানা কাজে য়েতে হয় তাদের। খেয়ায় উঠতে না পারলে অপেক্ষা করতে হয় ২০ থেকে ৩০ মিনিট।

এ খালের পীড়ারবাড়ী ও রামশীল এলাকায় সেতু থাকলেও মাঝখানের আট কিলোমিটারের মধ্যে নেই কোনো সেতু। স্বাস্থ্য সেবা নিতে প্রতিদিন ২’শ লোক এ খাল পার হয়ে আসেন। পশ্চিম পাশ থেকে সপ্তাহে দু’দিন হাট-বাজারের জন্য পূর্ব পাশে যেতে হয় ওই সব গ্রামের বসিন্দাদের। ইতিপূর্বে এ খালে নৌকা ডুবির ঘটনায় দ্বিতীয় শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থী মারা যায়। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়েও নানা দুঃচিন্তায় থাকতে হয় অভিভাবকদের। এমনকি ভরা বর্ষায় খড়স্রোতা এ খাল পাড়ি দিয়ে কৃষিপণ্য আনা নেয়ায় দূর্ভোগে পড়তে হয়ে এলাকার কৃষকদের। সেতু না থাকার ফলে প্রায় আট কিলোমিটার ঘুরে ওই সব জমির ফসল ঘরে তুলতে হয় কৃষকদের। এতে খরচ ও সময় দুইটাই ব্যয় হচ্ছে।

সন্তান হারানো ফ্রান্সিস বৌদ্ধ (৫৭) আরো বলেন, ছোট শিক্ষার্থীরা যখন বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নৌকা পারপার হয় তাদের মাঝেই যেন মেয়েকে খুঁজে পাই। আমার মত অন্য কোন বাবা যেন সন্তানেকে আর না হরায়। এমন কষ্টের বোঝা নিয়ে বেঁচে থাকতে না হয় এমনটা দাবি করেন সৃষ্টিকর্তার কাছে।

মুশুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা অনিমেষ মধু (৫০) বলেন, খাল পার হয়ে ১০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন। প্রতিনিয়ত ঘটছে নৌকা ডুবির ঘটনা। আমার সন্তানকে বিদ্যালয়ে দিয়ে চিন্তায় থাকতে হয়। কখন যেন শুনতে হয় নৌকা ডুবির ঘটনা। খালে প্রচুর স্রোত থাকায় গত সপ্তাহে খাল পারাপার হতে গিয়ে নৌকা ডুবে দশ জন শিক্ষার্থী তাদের স্কুলব্যাগ ও বই হরিয়েছে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো ওই স্থানে একটা সেতু নির্মানের। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখনো সুদৃষ্টি দেননি।

রামশীল কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী পূর্ণিমা বাড়ৈ বলেন, নৌকার পার হতে অনেক ভয় লাগে, অনেক সময় নৌকা ওপাড়ে থাকলে সময় মত কলেজে যেতে পারি না।

উত্তর রামশীল গ্রামের বাসিন্দা মিলন বিশ্বাস বলেন, ওই পাশের জমি ফসল আনতে আমাদের আট কিলোমিটার ঘুরে রামশীল সেতু পার করে আসতে হয়। এতে আমাদের অনেক খরচ ও সময় ব্যয় হয়। আমারা প্রধানমন্ত্রীর আসনে মানুষ সেখানে আমরা এতো ভোগান্তিতে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি মুশুরিয়া গ্রামে একটি সেতু নির্মাণ করে যাতায়াত ব্যবস্থা সুবিধা করে দেওয়া হোক।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, রামশীলের মুশুরিয়ার শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকের যাতায়েতের অসুবিধার কথা জেনেছি। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষে সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিবো। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী সরেজনি পরির্দশ করেছে। আশা করি দ্রুত ভোগান্তির সমাধান হবে।

নিউজ ট্যাগ: সেতু গোপালগঞ্জ

আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর