গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে অগ্রীম
যে পরিমাণ টাকা নিয়েছে ইভ্যালি তার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এক সাক্ষাৎকারে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,
"তারা মানুষের কাছ থেকে যে পরিমাণ টাকা নিয়েছে এবং তাদের সাপ্লায়ারদের কাছ থেকে
যে পরিমাণ টাকা নিয়েছে, তার মোট অঙ্ক প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি। কিন্তু প্রাথমিক
তদন্তে তাদের কাছে সেই টাকার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।"
"তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় বাংলাদেশ
ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা করে।"
তদন্ত শেষে গ্রাহকদের ও সাপ্লায়ারদের
কাছ থেকে নেয়া টাকার খুব সামান্য অংশের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে জানান মি. মুনশি।
"সেজন্যই প্রশ্ন উঠেছে যে এই বিশাল দায় কীভাবে তারা শোধ করবে?"
ইভ্যালি এর মধ্যে যেই পরিমাণ টাকা গ্রাহক
ও ব্যবসায়িক পার্টনারদের কাছ থেকে নিয়েছে, তা ফেরৎ পাওয়ার নিশ্চয়তা নিয়েও সন্দেহ
প্রকাশ করেন বাণিজ্য মন্ত্রী।
"তাদের ফান্ড কোথায় রেখেছে, অন্য কোনো উৎস আছে কিনা সেটা তদন্তের পর জানা যাবে। তবে এখন সেই পরিমাণ টাকার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।" এদিকে গ্রাহকদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, ইভ্যালির সাথে যোগাযোগ করে কোন সাড়া মিলছে না এবং তারা প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় বন্ধ পাচ্ছেন।
তবে ইভ্যালির মুখপাত্র শবনম ফারিয়া বিবিসি
বাংলাকে জানান, তাদের কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস এখনও ২৪ ঘণ্টা চালু আছে।
মিজ ফারিয়া বলেন, "লকডাউন থাকার
কারণে আমাদের অফিসে কেউ যাচ্ছে না, আমরা হোম অফিস করছি। কিন্তু আমাদের ডেলিভারি চালু
আছে এবং কাস্টমার কেয়ার ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে।"