মানসম্মত সেবা
দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে নতুন
সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় গ্রামীণফোনকে। এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে
তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটির শেয়ারের দরে। এতে কোম্পানিটির শেয়ারের দর কমা শুরু করেছে।
এ যেন কারো সর্বনাশ, কারো পৌষ মাস।
অন্যদিকে ঠিক
বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে অন্য কোম্পানিগুলোর নতুন সিম বিক্রি ও
গ্রাহক ধরার সুযোগ বাড়বে- এমন আশায় বেড়েছে রবি আজিয়াটার শেয়ারের দাম।
এদিকে সিম বিক্রি
বন্ধ করে দেয়ার খবরে প্রভাব পরতে শুরু করেছে দেশের শীর্ষ মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর
গ্রামীণফোনের শেয়ার দরে।
বৃহস্পতিবার দেশের
প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারটির দর ৬ টাকা বা
২ শতাংশ কমেছে। কোম্পানিটির সর্বশেষ শেয়ার লেনদেন হয় ২৯৪ টাকা ১০ পয়সা দরে। এদিন কোম্পানিটি
১ হাজার ৩২ বারে ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৬২টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ৫ কোটি
৯ লাখ টাকা।
এদিকে গ্রামীণফোনের
এমন অবস্থায় যেন পৌষমাস হয়ে এসেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ খাতের আরেক
কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের শেয়ারে। বৃহস্পতিবার শেয়ারের দর বৃদ্ধির তালিকায় ১০ম
অবস্থানে রয়েছে কোম্পানিটি।
এদিন রবি অজিয়াটা
লিমিটেডের শেয়ারের দর বেড়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৫.২৪ শতাংশ। এদিন শেয়ারটি সর্বশেষ ৩০
টাকা ১০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। কোম্পানিটি ২ হাজার ৭১৩ বারে ২৬ লাখ ৯৩ হাজার ৭৩৮টি শেয়ার
লেনদেন করে।
পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, গ্রামীণফোনের সিম বিক্রি বন্ধ হবার ফলে দেশের অন্য মোবাইল অপারেটরগুলোর সিম
বিক্রির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। তেমনিভাবে বৃদ্ধি পাবে রবি অজিয়াটার সিম বিক্রির পরিমাণ।
আর এজন্যই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে রবি অজিয়াটা লিমিটেডের শেয়ারের প্রতি। আর একইভাবে
সিম বিক্রি বন্ধের সংবাদে দর পতনের শীর্ষে গ্রামীণফোন লিমিটেড।
এদিকে বৃহস্পতিবার
শেয়ারবাজারে সামান্য উত্থান দেখা গেছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬.৪৭ পয়েন্ট
বা ০.৪১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৭৬.৯৪ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে
শরিয়াহ সূচক ১.৩৭ পয়েন্ট বা ০.০৯ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০.৪০ পয়েন্ট বা ০.০১ শতাংশ
বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৮৬.৭৭ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২৯৫.৫৮ পয়েন্টে।
টাকার পরিমাণে
লেনদেন হয়েছে ৯৩৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকার, যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৩২ কোটি ৫ লাখ টাকা বেশি।
আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৮০৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার।
ডিএসইতে ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯৫টির বা ৫১.১৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৩৬টির বা ৩৫.৭০ শতাংশের এবং ৫০টির বা ১৩.১২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।