Logo
শিরোনাম

গতি ফিরেছে চীনের রফতানিতে: আমদানিতে শ্লথগতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | ৮১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সাংহাইয়ের লকডাউন তুলে নেয়ার পর শিথিল হয়েছে সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতাও। এ অবস্থায় চিরচেনা গতিতে ফিরেছে চীনের রফতানি। যদিও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির আমদানি শ্লথ রয়ে গিয়েছে। এতে দেশটির বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রেকর্ড উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। তবে উচ্চমূল্যস্ফীতির কারণে বিশ্বজুড়ে চাহিদা দুর্বল হয়েছে। ফলে আগামী মাসগুলো চীনা পণ্যের চালান নিম্নমুখী হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।

শুল্ক বিভাগের পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, গত মাসে চীন ৩৩ হাজার ২৯৬ কোটি ডলারের পণ্য ও পরিষেবা রফতানি করেছে। বিশ্বের শীর্ষ রফতানিকারক দেশটির এ চালানের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালে এটিই সবচেয়ে বড় বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি। এর আগে জুনে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। জুলাইয়ে বিশ্লেষকরা ১৫ শতাংশ রফতানি বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। চলতি বছর চীনা অর্থনীতির জন্য কয়েকটি উজ্জ্বল স্পটগুলোর একটি রফতানি। এর আগে কঠোর কভিডজনিত লকডাউনের কারণে দেশটির ব্যবসা ও ভোক্তা খাত বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছিল। পাশাপাশি এক সময়ের প্রবৃদ্ধির চালক রিয়েল এস্টেট খাতও গভীর সংকটে ডুবে যাচ্ছে।

পিনপয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ জিউয়ে জাং বলেন, চীনের রফতানি অপ্রত্যাশিতভাবে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এটি একটি কঠিন বছরে দেশটির অর্থনীতিকে সহায়তা করে চলেছে। কারণ অভ্যন্তরীণ চাহিদা মন্থর হয়েছে।

যা-ই হোক অনেক বিশ্লেষক আশঙ্কা করছেন, বিশ্বজুড়ে চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়ায় চীনের চালান বিবর্ণ হবে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত একটি বৈশ্বিক কারখানার ওপর পরিচালিত সমীক্ষায় উঠে এসেছে, জুলাইয়ে চাহিদা কমে গিয়েছে। এমনকি ক্রয়াদেশ ও উৎপাদন সূচকগুলো ২০২০ সালের প্রথম দিকে মহামারীর শুরুর পর থেকে দুর্বল পর্যায়ে নেমে গিয়েছে। চীনের সরকারি জরিপে গত মাসে কারখানার কার্যক্রম সংকুচিত হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। এতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, বছরের শুরুর লকডাউনের প্রভাব কাটিয়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রত্যাশার চেয়ে ধীর ও অসমতল হবে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কভিডজনিত বিধিনিষেধের কারণে সৃষ্ট পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থার ব্যাঘাতগুলো সহজ হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এ সময়ে পণ্য পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বছরের শেষের কেনাকাটার চাহিদা মেটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। পোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, আটটি প্রধান চীনা বন্দরে বৈদেশিক বাণিজ্য কনটেইনার সরবরাহ জুলাইয়ে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে জুনে এ বাড়ার হার ছিল ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। কভিডজনিত নিষেধাজ্ঞায় ধীর হয়ে পড়া সাংহাই বন্দরে কনটেইনার পরিবহন গত মাসে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।

জোনস ল্যাং লাসালে ইনকরপোরেটেডের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা প্রধান ব্রুস প্যাং একটি গবেষণা নোটে বলেন, জুলাইয়ে রফতানি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চাহিদার কারণেও বাড়তে পারে। কারণ সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা সহজ হয়েছে এবং অঞ্চলটির কারখানাগুলো উৎপাদন বাড়িয়েছে। জিক্সিন ইনভেস্টমেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক চ্যাং র‌্যান বলেন, চীনের রফতানি বৃদ্ধিতে পণ্যের উচ্চমূল্য বড় ভূমিকা পালন করেছে। কারণ পরিমাণের হিসাবে জুলাইয়ে রফতানি কমেছে। বছরের দ্বিতীয়ার্ধের দিকে তাকালে দেশটির রফতানি স্বল্পমেয়াদে স্থিতিস্থাপক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশ্বজুড়ে চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়লে চতুর্থ প্রান্তিকে নিম্নমুখী হতে পারে।

তবে রফতানি ঊর্ধ্বমুখী হলেও আমদানি ধীর রয়ে গিয়েছে। নড়বড়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকের পরে বিশ্লেষকরা আশা করেছিলেন, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে চীনের আমদানির গতি বাড়বে। তবে গত মাসে আমদানি আবারো প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ছিল। এটি অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। গত মাসে আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। যদিও বিশ্লেষকরা ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। জুলাইয়ে আমদানি আগের মাসের তুলনায় মাত্র ১ শতাংশ বেড়েছে। সিআইটিআইসি সিকিউরিটিজের একজন গবেষক জু শুজেং বলেন, কভিডজনিত বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়া সত্ত্বেও উৎপাদন খাতে দুর্বলতার কারণে আমদানি শ্লথ রয়ে গিয়েছে। তাছাড়া নতুন কভিড সংক্রমণের কারণে অর্থনীতির পুনরুদ্ধারও বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। জুলাইয়ে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রেকর্ড ১০ হাজার ১২৬ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। যদিও বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস ছিল ৯ হাজার কোটি ডলারের।

নিউজ ট্যাগ: চীন

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর