
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা
সমুদ্র সৈকতে হানিমুনে এসে হামলার শিকার হয়েছেন স্বামী। এরপর স্ত্রী তার প্রেমিকের
সঙ্গে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী স্বামীর। মঙ্গলবার রাতে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট
ফ্রাই মার্কেট সংলগ্ন সৈকতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী স্বামীর
নাম মনিরুল ইসলাম। তিনি তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হানিমুনে
এসেছিলেন। সেখানে অজ্ঞাত পরিচয় চার-পাঁচজন ব্যক্তি তাঁকে মারধর করে। এরপর তাঁর স্ত্রী
তাঁকে হামলাকারীদের সঙ্গে পালিয়ে যান।
খবর পাওয়ার সঙ্গে
সঙ্গে টুরিস্ট পুলিশ মনিরুলকে হেফাজতে নিলেও উদ্ধার করতে পারেনি তাঁর স্ত্রী নুরে জান্নাতকে।
মারধরের শিকার পর্যটক মনিরুল ইসলাম বরগুনা জেলার কেজি স্কুল সংলগ্ন আনোয়ার হোসেনের
ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে ছিলেন।
মনিরুল ইসলাম
বলেন, আমরা সৈকতে ঘোরাঘুরির পর সন্ধ্যায় রুমে আসি। কিন্তু আমার স্ত্রী আমাকে বারবার
অনুরোধ করলে আমরা আবার সৈকতে যাই। সৈকতের জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকি কিছুক্ষণ। এরপর
সে আমাকে বারবার অনুরোধ করে হাঁটাহাঁটির করতে। অনিচ্ছাসত্ত্বেও সে আমাকে হাঁটতে হাঁটতে
ফ্রাই মার্কেট পেরিয়ে অন্ধকারে নিয়ে যায়। এ সময় হঠাৎ আমার ওপরে চার-পাঁচজন লোক আক্রমণ
করে। তখন আমি বাঁচার চেষ্টা করি এবং স্ত্রীকে আঁকড়ে ধরি। কিন্তু আমার স্ত্রী আমাকে
বাঁচানোর চেষ্টা না করে এবং কোনো ধরনের প্রতিবাদ বা চিৎকার দিয়ে যারা আমাকে মেরেছে
তাদের সঙ্গে চলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী
সৈকতের আচার বিক্রেতা খায়রুল বলেন, আমি তাদের স্বামী-স্ত্রী দুজনকে সৈকতে নামতে দেখেছি।
কিছুক্ষণ পরই দেখি এই লোক রক্তাক্ত। কয়েকজনে ধরে পুলিশ বক্সে নিয়ে এসেছে।
নুরে জান্নাতের
বাবা হারুন অর-রশিদ মোবাইল ফোনে বলেন, আমরা ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে চলে এসেছি। তবে
আমার মেয়ে এখন কোথায় আছে, তা এখনো জানতে পারিনি। জামাইকে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। পারিবারিকভাবে
বিষয়টি আমরা দেখব।
কুয়াকাটা জোন
ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে
গিয়ে মারধরের শিকার পর্যটকের স্ত্রীকে উদ্ধারে খোঁজাখুঁজি করি। আমাদের কয়েকটি টিম আশপাশে
খোঁজাখুঁজি করেও তার স্ত্রীকে পায়নি। আহত পর্যটক মনিরুল ইসলামকে তাঁর পরিবারের কাছে
হস্তান্তর করা হয়েছে।