Logo
শিরোনাম

হাত বাড়ালেই ভুয়া সিম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ মে ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ভুয়া নিবন্ধনকৃত মোবাইল ফোনের প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিমকার্ড। বেআইনি হওয়ায় এসব সিমের দামও চড়া। ফুটপাত, মুদি দোকান থেকে শুরু করে অলিগলিতে প্রকাশ্যে এমন সিম ১৫শ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সিমকার্ড বিক্রির কারণে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রযুক্তিগত অপরাধ। অনিবন্ধনকৃত সিম ব্যবহার করে অপহরণকারী, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে। অথচ এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে সরকার সিম পুনঃনিবন্ধনের মতো একটি বিরাট মহাযজ্ঞ বাস্তবায়ন শেষ করেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সবই যেন বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো।

সাধারণ মানুষের কাছ থেকে একাধিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম, ঠিকানা ও ছবি জালিয়াতি করে চড়া মূল্যে বাজারে প্রি-অ্যাক্টিভেটেড এসব সিম বিক্রি করছে একটি অসাধু চক্র। কোনো ধরনের পরিচয়পত্র ছাড়াই ঢাকার ফুটপাতে দেদার বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির সিম। চাহিদামতো টাকা দিলে সহজেই মিলে যাচ্ছে তা। বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রতারণায় ব্যবহূত এসব সিমকার্ডের আসল মালিক জানেনই না তার নামে নিবন্ধন করা সিমকে কী কাজে ব্যবহার করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা, অপহরণ চক্র, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে চাঁদাবাজি, করোনা টেস্টের ফল পরিবর্তন, ইমো প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধে প্রতারকদের মূল হাতিয়ার ফুটপাতে বিক্রি করা এসব প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিমকার্ড। গত ১৫ মে বিদেশগামী যাত্রীদের জিম্মি করে কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট সমস্যার সমাধানের কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়া একটি চক্রের ৭ সদস্যকে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের নামে নিবন্ধন করা সিম ব্যবহার করেই এসব প্রতারণা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল তারা। চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের সময়ে বেশ কিছু বেনামি সিম উদ্ধার করা হয়। আর এই সিমগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর, রাজউক মার্কেট, যাত্রাবাড়ী, মহাখালীসহ সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার বেশ কিছু মোবাইল ফোন এক্সসরিজের দোকানে এ ধরনের সিম সহজলভ্য। সংশ্লিষ্টরা জানান, সিম পুনঃনিবন্ধন ও ক্রয় করার সময় অসচেতন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে একাধিকবার আঙুলের ছাপ নেয়া হয়। মূলত ওইসব আঙুলের ছাপের সঙ্গে ভুয়া নাম-ঠিকানা ও ছবি যুক্ত করে বাজারে চড়ামূল্যে সিম বিক্রি করছে চক্রটি। গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ফোন কোম্পানিগুলোর কারো না কারো সমপৃক্ততা ছাড়া এভাবে প্রি-অ্যাক্টিভেট সিম পাওয়া সম্ভব নয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগে একজন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী তার জাতীয় পরিচয়পত্র, স্মার্ট এনআইডি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জন্ম নিবন্ধন সনদের বিপরীতে ১৫টি করে প্রায় ৭৫টি পর্যন্ত সিমকার্ড কিনতে পারতেন। বিটিআরসির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, দেশে প্রচলিত আইনানুযায়ী প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। নতুন সংযোগ কিনতে হলে অবশ্যই ছবিসহ ভোটার আইডি কার্ড জমা দিতে হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাছে আঙুলের ছাপ দেয়ার পর তা ভোটার আইডি কার্ডের সঙ্গে মিললে সিম কেনা যাবে। এরপর বিটিআরসি সংযোগটি সক্রিয় করবে। এ নিয়মের বাইরে কোনোভাবেই সিম চালু হওয়ার সুযোগ নেই। সম্প্রতি, বিটিআরসি বৈধভাবে একজন গ্রাহকের সর্বোচ্চ ৭৫টি সিম কেনার নির্দেশনা বাতিল করেছে।

সংস্থাটি জানায়, অবৈধ সিমকার্ডের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করার জন্যই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর বদলে একজন গ্রাহককে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াই দুটি সিমকার্ড কেনার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে শর্ত হচ্ছে, কেনার পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের মাধ্যমে এনআইডি কার্ডের বিপরীতে সিমগুলো নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন করা না হলে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। সিমকার্ড ব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধ দমন বিষয়ে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মনিটরিংয়ের অভাবে বিটিআরসির এই নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে না।

একজন দায়িত্বশীল গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিটিআরসির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী একটি জন্ম নিবন্ধন সনদের বিপরীতে ১৫৪ ব্যক্তি ১৫টি করে সিমকার্ড নিয়েছেন। এছাড়া একটি পাসপোর্টের বিপরীতে ১৫টি করে সিমকার্ড নিয়েছেন ৮৪ জন। আর একটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিপরীতে ১৫টি করে সিমকার্ড নিয়েছেন ২৬ ব্যক্তি।

গত ২৪ জানুয়ারি ভয়ংকর তিন সাইবার অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা কেউ অষ্টম শ্রেণিও পাস করেনি। অথচ তারা যেসব সিমকার্ড দিয়ে বিকাশ, নগদ, শিওর ক্যাশসহ অন্যান্য অ্যাপস ব্যবহার করে টাকা লেনদেন হয়, সেইসব মোবাইল ফোনের সিমকার্ড ক্লোন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের কাছে বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানির ২৪টি ক্লোন বা স্পোফিং করা সিম ও ১৩টি মোবাইল পাওয়া গেছে। বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সিমকার্ডগুলো কিনেছিল অপরাধীরা। ওইসব সিমকার্ড রিকশাচালক, ভ্যানচালক, খেটে খাওয়া মানুষ সহজ-সরল মানুষদের এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল বলে জানান এই র‍্যাব কর্মকর্তা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আহসান হাবিব বলেন, মোবাইল ফোনের সিমকার্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হলে প্রযুক্তিগত অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে। কারণ ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে প্রায় সব প্রযুক্তি বা অ্যাপস ব্যবহার করতেই মোবাইল ফোনের সিমকার্ড প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে সব ধরনের প্রতারণার মূলে রয়েছে অন্যের নামে নিবন্ধিত সিম। অনলাইনে প্রতারণার ক্ষেত্রে ভুয়া রেজিস্ট্রেশন বা অনিবন্ধিত সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতারণার কাজে ব্যবহূত ৮০ ভাগ সিম অন্যের নামে নিবন্ধন করা। যেসব সিম ব্যবহার করে সাইবার ক্রাইমসহ বিভিন্ন ধরনের যে অপরাধগুলো হচ্ছে, তাতে প্রকৃত অপরাধীদের ট্র্যাকিং করে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। কারণ, এই সিমগুলো ভুয়া না, বেওয়ারিশও না। সমাজের সাধারণ ও নিম্নবিত্ত মানুষদের অর্থের বিনিময়ে ভুল বুঝিয়ে সিমগুলো তাদের নামে রেজিস্ট্রেশন করে নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে একটি চক্র। ফলে সিম দিয়ে অপরাধ করার পরে যাদের পাওয়া যায় তারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়। আর যারা অপরাধ করছে, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করেও বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদারের বক্তব্য নেয়া যায়নি। সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মিত্র বলেন, ফুটপাতের সিম ব্যবহার করে অপরাধ হয়, এ অভিযোগ সত্যি। বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগ এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসব অপরাধে জড়িতদের ধরছে। চোর-পুলিশ বিষয়টা চিরকাল চলে। তবে এটুকু বলতে পারি, আমরা কাজ করছি।


আরও খবর

আতশবাজির আলোতে ঝলমলে রাজধানী

রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩

রসগোল্লার জন্মদিন আজ

মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর