ফরিদপুর পৌর এলাকার
১০নং ওয়ার্ডের অম্বিকাপুর এলাকায় সাজেদা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে
নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের স্বামী লালন মোল্লা (৪৮) এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়ে
নিজেই প্রতিবেশীকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি ঘাতক স্বামী
লালনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে।
স্থানীয় এলাকাবাসী
ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলার মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের অটোচালক লালন
তার স্ত্রী সাজেদা বেগমকে নিয়ে শহরের অম্বিকাপুর খাদ্য গুদাম সংলগ্ন একটি বাড়িতে ভাড়া
থাকতো। দীর্ঘ ২০ বছর যাবত তাদের বিয়ে হলেও তারা ছিলেন নিঃসন্তান। সাংসারিক নানা বিষয়
নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর
মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাজেদার মাথার বাম পাশে লোহার হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে
লালন। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানেও আঘাত করা হয়। পরে সাজেদার মাথায় লোহার ছেনি ঢুকিয়ে
মৃত্যু নিশ্চিত করে লালন।
সাজেদা মারা যাওয়ার
পর স্ত্রীর লাশের পাশেই দীর্ঘক্ষণ বসে ছিল সে। পরে বেলা ১১টার দিকে লালন নিজেই প্রতিবেশীকে
জানায় সাজেদাকে হত্যার কথা। প্রতিবেশীরা মৃত অবস্থায় সাজেদাকে ঘরে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে
খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাজেদার লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ সময় ঘাতক
লালনকে গ্রেফতার করা হয়।
কোতোয়ালী থানার
এসআই জগন্নাথ জানান, স্ত্রী সাজেদাকে হত্যা করে নিজেই প্রতিবেশীকে জানায় লালন। স্থানীয়দের
কাছ থেকে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়। হত্যার কাজে ব্যবহৃত লোহার হাতুড়ি ও একটি ছেনি
উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লালন পুলিশকে জানায়, সাজেদার সাথে কথা কাটাকাটির
এক পর্যায়ে সে হাতুড়ি দিয়ে তাকে আঘাত করে। পরে মাথায় লোহার ছেনি রেখে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত
করলে ছেনিটি মাথার মধ্যে ঢুকে যাবার কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়।
কোতোয়ালী থানার ওসি এম এ জ্বলিল জানান, সাজেদাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে লালন। এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে।