Logo
শিরোনাম
সংগঠনের প্রধান নিরীক্ষকের তথ্য

হেফাজতের কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বাবুনগরী

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | ২১২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
২০১৬ থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত হেফাজতের প্রধান নিরীক্ষক ছিলেন মাওলানা সলিমউল্লাহ। তবে জুনায়েদ বাবুনগরীর কাছ থেকে অর্থের হিসাব চাওয়া এবং এ বিষয়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুত করায় তাকে শেষ পর্যন্ত প্রধান নিরীক্ষকের পদ

রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের অবস্থান কর্মসূচি 'সফল' করতে নানা উৎস থেকে টাকা নিয়েছিল সংগঠনটি। বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকার সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকাও সে সময় অন্তত ৫০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। সেই অর্থের অন্তত এক কোটি টাকার হিসাব দিতে পারেননি হেফাজতের বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। পুরো টাকাই তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে জনপ্রিয় একটি জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রধান নিরীক্ষক (অডিটর) মাওলানা সলিমউল্লাহ।

সংগঠনের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে জুনায়েদ বাবুনগরীর সঙ্গে দফায় দফায় চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার সঙ্গে থাকা খাদেম (একান্ত সচিব) মাওলানা ইন'আমুল হাসান ফারুকীর মাধ্যমে চেষ্টা করা হলে তিনি জুনায়েদ বাবুনগরীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেবেন বলে জানান। পরে তাকেও পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার রাত ও শনিবার বিকেলে মাওলানা সলিমউল্লাহর সঙ্গে দুই দফায় কথা হয় ওই সংসাদপত্রটির। এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা ঘেরাও এবং এর অংশ হিসেবে শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি যখন তুমুল সাড়া জাগায়, তখন আন্দোলন সফল করতে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সহায়তা আসছিল। সে সময় ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাও নগদ ৫০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন সংগঠনের তখনকার মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে। কিন্তু সেই টাকা নিজের কাছে রেখে দেন তিনি।

মাওলানা সলিমউল্লাহ বলেন, শাপলা চত্বরে আন্দোলন চলাকালে হুজুরকেও (হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ্‌ আহমদ শফী) অনেকে টাকা-পয়সা দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো টাকা তিনি নিজের কাছে তেমন একটা রাখতেন না। একদিন হুজুর নিজ হাতে তখনকার মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে ২৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকাও তিনি হজম করে ফেলেছেন।

শাপলা চত্বরে আন্দোলন চলাকালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জুনায়েদ বাবুনগরী। তাকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছিল। কারাভোগের পর তিনি জামিনে বেরিয়ে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন। মাওলানা সলিমউল্লাহ এ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, জুনায়েদ বাবুনগরী হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালে একদিন তার মেয়ের এক ভাসুরকে পাঠান এবং তার মাধ্যমে চিকিৎসার কথা বলে সংগঠন থেকে ২০ লাখ টাকা নেন। সেই টাকা ফেরত দেওয়া দূরে থাক, কোনো হিসাবই দেননি তিনি। চিকিৎসার জন্য কত টাকা খরচ হয়েছে; সেটাও কারও জানা নেই। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় সংগঠন থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়েছেন জুনায়েদ বাবুনগরী। সংগঠনের তৎকালীন মহাসচিব হিসেবেও অনেকে তার কাছে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু এসব টাকার কোনো হিসাব নেই।

২০১৬ থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত হেফাজতের প্রধান নিরীক্ষক ছিলেন মাওলানা সলিমউল্লাহ। তবে জুনায়েদ বাবুনগরীর কাছ থেকে অর্থের হিসাব চাওয়া এবং এ বিষয়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুত করায় তাকে শেষ পর্যন্ত প্রধান নিরীক্ষকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে হেফাজতের যে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি রয়েছে, সে কমিটির অন্যতম সদস্য তিনি। অবশ্য কাগজ-কলমে নাম থাকলেও কয়েক মাস ধরে হেফাজতের সঙ্গে তেমন একটা সম্পৃক্ত নন ফটিকছড়ির নাজিরহাট আল জামিয়াতুল ফারুকীয়া মাদ্রাসার মুহতামিম (মহাপরিচালক) মাওলানা সলিমউল্লাহ।

আর্থিক অনিয়মের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে মাওলানা সলিমউল্লাহ বলেন, ২০১৬ সালে হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ্‌ আহমদ শফী আমাকে হেফাজতের প্রধান নিরীক্ষক করে একটি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি গঠন করেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর সংগঠনের আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে গিয়ে দফায় দফায় বাধার মুখে পড়তে হয়। মূলত শাপলা চত্বরে আন্দোলনের সময় বিভিন্নভাবে নেওয়া টাকার হিসাব চাইতে গিয়ে এ সমস্যা তৈরি হয়। আমি বিষয়টি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করি- সেটা মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী চাইতেন না। তাই যখনই আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরে নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করি, তখন পদাধিকারবলে আমার নেতৃত্বাধীন কমিটি ভেঙে দেন তিনি। যখন যাকে পছন্দ তাকে প্রধান নিরীক্ষকের দায়িত্ব দেন। অবশ্য কমিটির সদস্যদের মধ্য থেকে প্রধান নিরীক্ষকের পদ দেওয়া হতো। এভাবে তিনবার কমিটি পরিবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে প্রধান নিরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন চট্টগ্রামের চাক্তাই মোজাহেরুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা লোকমান হাকিম।

আমি যখন প্রধান নিরীক্ষক ছিলাম, তখন সে কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। তবে বর্তমানে তথাকথিত হেফাজতের কমিটির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।

শাহ্‌ আহমদ শফীর ঘনিষ্ঠভাজন ছিলেন মাওলানা সলিমউল্লাহ। কয়েক মাস আগেও ফটিকছড়ির আল জামেয়াতুল আরাবিয়া নছিরুল ইসলাম নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুহতামিম ছিলেন তিনি। তবে আহমদ শফী ইন্তেকাল করার পর তাকে সে পদ থেকে সরিয়ে দেন জুনায়েদ বাবুনগরী ও তার সমর্থকরা। তবে এর নেপথ্যে আরও গভীর রহস্য রয়েছে বলে মনে করেন মাওলানা সলিমউল্লাহ। তিনি বলেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ মারা যাওয়ার পর ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার শরীফের পীর মুজিবুল হক মাইজভাণ্ডারী ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে চেষ্টা করেছিলেন। এ জন্য কওমিদের সমর্থন প্রয়োজন বলে মনে করেছিলেন তিনি। একাধিকবার আমার মাধ্যমে শফী হুজুরকে দিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে ফোন করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি সেটা করিনি। এমন প্রেক্ষাপটে তার সঙ্গে বাবুনগরীর সুসম্পর্ক হয়। শফী হুজুর ইন্তেকাল করার পর তারা ষড়যন্ত্র করে আমাকে মাদ্রাসা থেকে সরিয়ে দেন।

ফটিকছড়িতে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি নামে একটি সংগঠন রয়েছে। প্রায় ২২ বছর ধরে জুনায়েদ বাবুনগরী সভাপতি ও সলিমউল্লাহ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও মাদ্রাসার পাশাপাশি সেই কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সলিমউল্লাহকে।

রাজধানীর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন চলাকালে কথিত নাস্তিক-ব্লগারদের শাস্তিসহ ১৩ দফা দাবি আদায়ে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার ছয়টি প্রবেশমুখে অবরোধ কর্মসূচি শেষে মতিঝিল শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয় হেফাজতের বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক। দিনভর বিভিন্ন স্থাপনা, যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তারা। পরদিন ৬ মে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, নারায়ণগঞ্জ, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় রাজধানীসহ রদশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের ২২ কর্মীসহ ৩৯ জন নিহত হয়। সূত্র : সমকাল


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর