হার অথবা ড্র-
ঢাকা টেস্টের নিয়তি চতুর্থ দিনই ঠিক হয়ে গিয়েছিল এমন। শেষ অবধি বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে
হার। মাঝে সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের ইনিংস কেবল ম্যাচের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ইনিংস হারটাই
এড়িয়েছে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ১০ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর
রহিম ও লিটন দাসের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৬৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে
শ্রীলঙ্কা তুলে ৫০৬ রান। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৯ রানে অলআউট হয় মুমিনুল হকের দল।
২৯ রানের লক্ষ্যে
ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয় ছুঁয়ে ফেলে সফরকারী। এই ম্যাচটি জিতে সিরিজও
নিজেদের করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচটি ড্র হয়েছিল।
নিজেদের দ্বিতীয়
ইনিংসে ১৪১ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নামে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে খেলতে নেমেই
হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। মুশফিকুর রহিম ও মুমিনুল হক অপরাজিত থেকে শুরু করেন শেষদিন। আগের
ইনিংসে তাদের দুর্দান্ত জুটি দলকে ম্যাচে রেখেছিল, এবারও আশা ছিল তেমন কিছুর।
কিন্তু দিনের
অষ্টম ওভারেই রাজিথার দারুণ এক বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান মুশফিক। ৩৯ বলে ২৩ রান
করেন তিনি। এরপর লিটন দাসের সঙ্গে জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান। লাঞ্চের আগেই ফিফটি তুলে
নেন সাকিব, লিটন অপরাজিত থাকেন ৪৮ রানে।
একরকম স্বস্তি
নিয়েই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু লাঞ্চের পরই সেটা উবে যায়। প্রথমে ওশাদা ফার্নান্দোর
বল স্ট্রেট ড্রাইভ করতে গিয়ে বোলারের হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয়ে যান লিটন। ১৩৫
বল খেলে ৫২ রান করেন তিনি। ভেঙে যায় সাকিবের সঙ্গে ১৫৩ রানের জুটি।
তার বিদায়ের পর
বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি সাকিবও। শুরু থেকেই প্রতি আক্রমণ খেলছিলেন তিনি। কিন্তু আশিদা
ফার্নান্দোর বল পুল করতে গিয়ে তিনি ক্যাচ তুলে দেন উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো নিরোশান ডিকভেলার
হাতে। ৭ চারে ৭২ বলে ৫৮ রান করেন সাকিব।
এই দুজনের বিদায়ের
পর অলআউট হতেও বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশ। ২২ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান মোসাদ্দেক
হোসেনও। ১৬৯ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। লঙ্কানদের পক্ষে আশিদা ফার্নান্দো নেন ৬ উইকেট।
এরপর কোনো উইকেট না হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে লঙ্কানরা।