Logo
শিরোনাম

ইবি ট্রেজারার হতে তৎপর বঙ্গবন্ধুর নাম বিকৃতিকারী অধ্যাপক আলমগীর

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ৩২৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার নাম কেবলমাত্র ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের তালিকা ছাড়া কোথাও পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে কেবলমাত্র ইবির ট্রেজারার পদের লোভে দীর্ঘ ২৪ বছর

ইবি প্রতিনিধি

গতবছর নভেম্বর থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূইয়া অনুপ্রবেশকারী হিসেবে নানা তথ্য মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে কোন প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হয়নি তিনি। ফেব্রুয়ারির শুরুতে তৎকালীন ছাত্রনেতা সাদ্দাম হোসেন হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যয়নে আলমগীর হোসেন ছাত্রদল ক্যাডার ছিলেন মর্মে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত প্রদান করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এক মাস পর অজানা কারণে প্রত্যয়নপত্র দেয়ার কথা আমানুর রহমান অস্বীকার করলে সেসুত্র ধরে অধ্যাপক আলমগীর প্রতিবাদ লিপি পাঠান। এরপর প্রতিনিধি প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের জন্য অনুসন্ধানে নামলে তাঁর সম্পর্কে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসে-

ছাত্রজীবনঃ আলমগীর হোসেন ভূইয়া ১৯৮৮-৮৯ সেশনে গাজীপুর ক্যাম্পাসে ভর্তি হয়। সে সময় অর্থনীতি বিভাগে ২৮ জন ছাত্রের মধ্যে ২১ জন ছাত্রলীগে যোগ দেয় কিন্তু ভূইয়া কোনভাবেই রাজী হননি। এ প্রসঙ্গে তৎকালীন অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য এবং ইবি শাখার সভাপতি আফছার আলী বলেন, "ছাত্রলীগ ও বঙ্গবন্ধুর নামটাও আলমগীর সহ্য করতে পারতো না। আমি নিজে তার রুমে চাঁদা তুলতে গিয়েছিলাম। আমাকে সরাসরী বলেছে তোমার "বঙ্গবল্টু বঙ্গবল্টু"র নাম নিয়ে আর কখনো রুমে আসবি না বলে রুম থেকে বের করে দেয়। জামাত বিএনপির লোকজনের সাথে সবসময় তার উঠাবসা ছিল। সে মূলতঃ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনের একান্ত বিশ্বস্ত সহচর ছিল। আমি বুঝি না ইবিতে কি হচ্ছে? জামাত বিএনপির লোকের নাম ট্রেজারারের জন্য যায় কি করে? আশ্চর্য কথা! এই অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের দলের ক্ষতি করছে। তখনকার সবাই প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী। এটা কি করে হয়?"

শিক্ষকতা জীবন: ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখে অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন আলমগীর হোসেন ভূইয়া। যোগদানের বেশ পরে বাসদ সমর্থিত প্রভাবশালী শিক্ষক মুঈদ রহমান তাকে শাপলা ফোরামের ফরম পূরণ করালেও কখনই দলীয় কোন কাজে সক্রিয় করতে পারেননি। এমনকি ১/১১ এ জননেত্রী জেলে থাকা অবস্থায় কোন দলীয় কর্মকাণ্ডে তাকে দেখা যায়নি। বরং অন্য সাধারণ শিক্ষকের মতো স্বাক্ষর করেই ক্ষান্ত। ২০১৩ সালে সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক কামাল উদ্দীন দূর্নীতির দায়ে অব্যহতি পেলে ক্যাম্পাসে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তখন অধ্যাপক কামাল উদ্দীন ও ভূঁইয়া  উভয় গ্রুপের সাথে গোপন আঁতাতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়। পরবর্তী শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ইবির ইতিহাসে ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটে। কার্যকরী কমিটির ৬ জন সদস্যের প্রবল আপত্তির মুখেও ঐ দুজনেই সভাপতি-সেক্রেটারী পদে প্রার্থী হন। যেটি ক্যাম্পাসে তীরস্কার স্বরুপ 'কামাল উদ্দীন'স মডেল নামে ব্যাপক পরিচিত। ছাত্র ইউনিয়ন থেকে আসা কামাল উদ্দীন ও বঙ্গবন্ধু বিদ্যেষী ভূঁইয়াকে বঙ্গবন্ধু প্রেমিরা যখন কোনভাবেই মানতে নারাজ, তখন তারা তৎকালীন ব্যাপক সমাদৃত ভিসি অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারী'র শরণাপন্ন হন। বৈঠকের পর বৈঠক করে ভিসি, প্রোভিসি ও ট্রেজারারের হস্তক্ষেপে তারা নির্বাচিত হন। পরবর্তী শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে কামাল উদ্দীন'স মডেল অনুসরণ করলে ঐ দুজনেই দ্বিমত পোষন করে আলাদা প্যানেল দিয়ে পরাজিত হয় এবং অভিযোগ রয়েছে অনুপ্রবেশকারী আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে জামাতপন্থী প্যানেলে ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রেমিদের পরাজিত করেন তারা। যা, মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার পায়। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই করে এই জঘন্য অপরাধী চক্রের মুখোশ উম্মোচন করা প্রয়োজন বলে একাধিক সিনিয়র শিক্ষক দাবী করেন।

ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ: অধ্যাপক শাহজাহান আলীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের যাত্রা শুরু হয় ২০০৫ সালে। পরর্বতীতে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আলাউদ্দীন ও হারুন উর রশিদ আাসকারী, অধ্যাপক আলাউদ্দীন ও মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী ও আাইনুল ইসলাম, অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী ও অধ্যাপক রুহুল কেএম সালেহ। ধারাবাহিকভাবে নির্বাচিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদ পরিচালিত হয়। হঠাৎ ২০১৬ সালের ৭ই এপ্রিল কেন্দ্র হতে ডাঃ এস এ মালেক স্বাক্ষরিত আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুরকে আহবায়ক করে কমিটি আত্মপ্রকাশ করলে ইবি বঙ্গবন্ধু অনির্বাচিত কমিটিকে মেনে না নিয়ে ১৬ই এপ্রিল অধ্যাপক কাজী আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে অধ্যাপক জাকারিয়া ও অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেন। সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয় মীর মোর্শেদুর রহমান। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর আবারো অনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটি হিসেবে আইসিটি বিভাগের মাহবুবুর রহমান ও মাহবুবুল আরেফিনের কমিটি আত্মপ্রকাশ করলে পাল্টা শিক্ষক ইউনিট নির্বাচনের মাধ্যমে অধ্যাপক রুহুল কে এম সালেহ ও ড. আবু হেনা মোস্তফা জামালকে নির্বাচিত হয়।


প্রতিবেদকের হাতে সকল কমিটি, ভোটার তালিকা, চাঁদা গ্রহনের তালিকা ও সাধারণ সভায় উপস্থিতির স্বাক্ষর সংরক্ষিত আছে। পর্যালোচনা করে দেখা গেছে অভিযুক্ত অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার নাম কেবলমাত্র ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের তালিকা ছাড়া কোথাও পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে কেবলমাত্র ইবির ট্রেজারার পদের লোভে দীর্ঘ ২৪ বছর অপেক্ষা করে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু মূলগুরু অধ্যাপক মুঈদ রহমান আজও যোগ দেননি।

তৎকালীন প্রভাবশালী ছাত্রনেতা ও কর্মকর্তা ফেডারেশনের বর্তমান মহাসচিব মীর মোর্শেদুর রহমান বলেন, এখন সময় এসেছে কারা বঙ্গবন্ধু প্রেমি ও কারা সুবিধাভোগী অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা। কেউ দেশরত্ন শেখ হাসিনার চোখ ফাঁকি দিতে পারবে না বলে আমি মনে করি। আমি তাঁকে ছাত্রজীবন থেকে চিনি। জামাত বিএনপির দোসর ছাড়া কেউ জাতির পিতাকে 'বঙ্গবল্টু' বলতে পারে??  ছাত্রজীবনে আলমগীর হোসেন ভূইয়া কোন দল করতেন সেটা তিনিই প্রমাণ করবেন। জাতির পিতার নাম নিয়ে কটূক্তি কারী তিনি যত বড়োই ক্ষমতাধর হোক না কেন তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।

সরেজমিনে প্রতিবেদন করতে গিয়ে অনেক সিনিয়র শিক্ষকের সাথে কথা হয়। তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১/১১ আমরা চাঁদা তুলতে পাঠিয়েছিলাম সে ছাঁপ জানিয়ে দিয়েছে, আমি বঙ্গবন্ধু পরিষদ করিনা আবার চাঁদা কিসের? ইউনিয়ন সমর্থিত দুর্নীতির দায়ে পদচ্যুত সাবেক প্রোভিসি কামাল উদ্দীন, বাসদ সমর্থিত ও আওয়ামী সরকার বিদ্বেষী অধ্যাপক মুঈদ রহমান তাঁর উত্থানের পিছনে মূল কারিগর। তাঁদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুবিধা ভোগ করে এখন বর্তমান ভিসি তাকে ট্রেজারারের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য সংগ্রহ করে সরকারের কাছে প্রকৃত রহস্য জানাবেন বলে দাবী তাঁদের।

এই বিষয়ে প্রফেসর আলমগীর হোসেন ভুইয়া কে বক্তব্য নেবার জন্য ফোন করা হলে তিনি বঙ্গবন্ধুকে কটুক্তি করার বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং তিনি বলেন ছাত্রদলের কোন রাজনীতির সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা ছিল না সেই সাথে প্রতিবেদককে মামলার হুমকি প্রদান করেন।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর