দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় করা মামলায়
ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক বিরোধী গ্রুপের ৭ জনকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে
নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১২ অক্টোবর) তাদের আগাম জামিন
আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ
এ আদেশ দেন।
সাত জন হলেন- রুপা দত্ত, শেখ সানজিদা,
মারিয়া, শারমিন আক্তার, মনিকা তালুকদার, মায়েদা বেগম মায়া ও তানজিলা আক্তার।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন
মেজবা উদ্দিন শরীফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল করিম।
পরে আইনজীবী ছিলেন মেজবা উদ্দিন শরীফ জানান,
ইডেন কলেজে দুইপক্ষের মারামারির ঘটনায় ২৮ সেপ্টেম্বর লালবাগ থানায় দায়ের করা মামলায়
সাতজনের পক্ষে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি নিয়ে আগামী ছয় সপ্তাহের
মধ্যে তাদেরকে নিম্ন আদালতে আত্মসমপর্ণের নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে তাদেরকে গ্রেপ্তার
বা হয়রানি না করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে কলেজ ছাত্রলীগের
সভাপতি রীভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে সহ সভাপতিদের সমর্থকদের মধ্যে
মারামারির ঘটনায় ১০ জন আহত হন। ওই দিন রাতে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ।
একইসঙ্গে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য
১৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়।
পরে ২৮ সেপ্টেম্বর ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের
সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসী ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুরের
আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত সেটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই মামলার আসামিরা
হলেন- সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা, রাজিয়া সুলতানা, নুঝাত ফারিয়া রোকসানা, মিম ইসলাম,
নূর জাহান, ঋতু আক্তার, আনিকা তাবাসসুম স্বর্ণা ও কামরুন নাহার জ্যোতি।
দুইদিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে লালবাগ থানায়
সহ সভাপতি গ্রুপের কয়েকজনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলাটি করেন ইডেন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক রিতু আক্তার । তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী
হিসেবে পরিচিত।
রিতু আক্তারের করা মামলায় ৩ অক্টোবর নয়
জন হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন। একই মামলায় বুধবার সাত জন আগাম জামিন আবেদন করেন।
এদিকে জান্নাতুল ফেরদৌসীর মামলায় ৪ অক্টোবর
হাইকোর্ট থেকে ১৪ জন আগাম জামিন পেয়েছেন।