মুন্সীগঞ্জের
গজারিয়ায় চরকুমারিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাহাদুল্লাহ
মোল্লার (৫০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে
উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চরকুমারিয়া গ্রামে প্রতিবেশী সুরুজ মিয়ার আম-বাগান থেকে
তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর)
গজারিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেকান্দার আলী এসব তথ্য জানান। বাহাদুল্লাহ মোল্লা
চরকুমারিয়া গ্রামের জলিল মোল্লার ছেলে।
নিহত ব্যক্তির
স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, বাহাদুল্লাহ মোল্লা পেশায় একজন মুদি দোকানি। তিনি ছয় সন্তানের
জনক। তিনি চরকুমারিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব
পালন করছিলেন। ১৫ দিন ধরে মসজিদের বর্তমান ইমামকে রাখা না-রাখার বিষয়ে মুসল্লিরা দ্বিধাবিভক্ত
হয়ে পড়েন। কিছু মুসল্লি বর্তমান ইমামকে বিদায় করে দেওয়ার পক্ষে আর কিছু মুসল্লি
রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। বাহাদুল্লাহ মোল্লা ইমামকে রাখার পক্ষে অবস্থান নেন।
এদিকে সর্বশেষ
শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়। এ ঘটনার পর রাত সাড়ে
৮টার দিকে বাহাদুল্লাহ মোল্লাকে মুঠোফোনে কেউ একজন বাড়ি থেকে বের হতে বলেন। এরপর তিনি
আর বাড়ি ফেরেননি। দীর্ঘ সময় বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করেন।
পরে রবিবার সকাল ৯টায় প্রতিবেশী সুরুজ মিয়ার আম-বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে
পান এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহতের স্ত্রী
ফারজানা বেগম জানান, তার স্বামীর আত্মহত্যা করার মতো কোনও কারণ নেই। তাকে বাড়ি থেকে
ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের
শাস্তির দাবি করেন তিনি।
নিহতের মা খবিরন
নেছা তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে দাবি করে বলেন, ‘যাদের সঙ্গে তার
ঝামেলা হয়েছে। আর যারা তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই কে
হত্যাকারী তা জানা যাবে।’
এসআই সেকান্দার
আলী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা,
সেটি ময়নাতদন্তের পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে
পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।