Logo
শিরোনাম

ইমরান খানের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত, পাকিস্তানের নয়

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কন্টেইনার ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে রাস্তার দুপাশে উপস্থিত হাজারো জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়ছিলেন ইমরান খান। আচমকা বন্দুকের গুলি ছুটে আসে তার দিকে। সঙ্গে সঙ্গে বসে পড়েন ইমরান ও তার পাশে থাকা সহযোগীরা। কিন্তু তার আগেই দুটি গুলি আঘাত করে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পায়ে। আহত হন অন্যরাও। গুলি ছোড়ার পরপরই বন্দুকধারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে সমাবেশে উপস্থিত পিটিআই সমর্থকেরা। ইমরান খানকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত, তবে পাকিস্তানের নয়। এই হত্যাচেষ্টা আগে থেকেই অসংখ্য সমস্যায় জর্জরিত দেশটিকে আরও গভীর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

গত এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারান পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান। কিন্তু এরপর থেকে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের জীবন রীতিমতো দুর্বিষহ করে তুলেছেন তিনি। একের পর এক আক্রমণ শানানো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। তখন থেকে ক্রমাগত আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন সাবেক ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া এই নেতা। পিটিআইর সাম্প্রতিক লং মার্চের উদ্দেশ্য সরকারকে আগাম নির্বাচন দিতে বাধ্য করা। তবে ক্ষমতাসীন জোট বলছে, সরকার আগামী বছর পর্যন্ত বাকি মেয়াদটুকু পূরণ করবে। তার ওপর ক্ষমতাশালী পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, ইমরান খান মিথ্যা বলে তাদের সুনাম নষ্টের চেষ্টা করছেন।

তবে পিটিআই অভিযোগ করেছে, তাদের নেতাকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জড়িত। ফলে এই গুলির ঘটনা পাকিস্তানের রাজনীতিতে আরও উত্তাপ সৃষ্টি করবে নিশ্চিত। পাকিস্তানে রাজনৈতিক সহিংসতার ইতিহাস বহু পুরোনো। দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে ১৯৫১ সালে একটি জনসমাবেশে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে রাওয়ালপিন্ডিতে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় নিহত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। এ ঘটনার মাত্র দুই মাস আগেই করাচিতে একটি বোমা হামলা থেকে প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন তিনি। ওই হামলায় নিহত হন অন্তত ১৮০ জন। ভুট্টো আট বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চালানো হয় সেই হামলা।

পাকিস্তানের বর্তমান সরকার ইমরান খানকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এ ঘটনার তদন্ত হবে। তবে সরকারের এই আশ্বাসে পিটিআই সমর্থকেরা শান্ত হবেন বলে মনে হয় না। এ ধরনের ঘটনাগুলোর তদন্ত শেষ হওয়া বা শেষ হলেও সেই প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ হওয়ার নজির খুবই কম। পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিবেশে অস্থিরতা বাড়িয়েছে ক্ষমতার জন্য ত্রিমুখী লড়াই। দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তো রয়েছেই, পর্দার আড়ালে থেকে সেনাবাহিনীই মূলত কলকাঠি নাড়ে বলে দাবি করা হয়।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ইমরান খানকে দেশটির সামরিক বাহিনীকে অপদস্থ করা এবং এর বিরুদ্ধে জনসাধারণকে উসকে দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। গত সপ্তাহে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের সামরিক-গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ইমরানের অভিযোগের বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

ইমরান খানের লং মার্চের মূল গন্তব্য রাজধানী ইসলামাবাদ। তিনি রাজপথে ফিরবেন, তা নিশ্চিত। সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে অভূতপূর্বভাবে আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতেই জয় পেয়েছে ইমরানের দল। হত্যাচেষ্টার ঘটনা জনগণের মধ্যে তার সমর্থন আরও জোরালো করতে পারে। তবে এগুলোতেও সরকার পতনের সম্ভাবনা কম। পার্লামেন্টে ভেঙে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তবে শাহবাজ শরিফ তা করতে চাইবেন না। পরিবর্তে, তিনি আগামী বছর বাধ্যতামূলকভাবে নির্বাচন দেওয়ার আগপর্যন্ত গদি ধরে রাখতে চাইবেন। এর মধ্যে অর্থনীতি স্থিতিশীল করে কিছুটা জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা থাকবে তার। সরকার ইমরান খানের আন্দোলনের বিরুদ্ধে কঠোর পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়ায় সহিংসতার আভাস আগে থেকেই ছিল। কিন্তু এখন দেশটিকে আরও খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: ইমরান খান

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর