Logo
শিরোনাম

ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েলে: প্রত্যাহার হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ অক্টোবর ২০২৩ | ৯০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পাম অয়েল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় ইন্দোনেশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমেই বাড়ছে। আগে থেকেই উৎপাদন কম, মহামারিতে শ্রমিক ঘাটতি ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ভোজ্যতেলে বিদ্যমান সংকটের মধ্যে দেশটির এ ধরনের পদক্ষেপ বিশ্ববাজার পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলেছে। ইন্দোনেশীয় পাম অয়েলের ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে বেড়ে গেছে ভোজ্যতেলের দাম। এবার তাদের জন্য সুখবর- খুব শিগগির প্রত্যাহার হতে পারে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা।

আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় এরই মধ্যে পাম অয়েলের মজুত সক্ষমতা প্রায় পূর্ণ হওয়ার পথে। ফলে রপ্তানি শুরু না করলে উদ্বৃত্ত পাম অয়েল নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হবে দেশটিকে। তাছাড়া ইন্দোনেশিয়ার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি বড় অংশই আসে পাম রপ্তানি থেকে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সেটিও বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন রপ্তানি বন্ধ থাকলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশটির অর্থনীতিতে। আর বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তো রয়েছেই!

ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে সৃষ্ট বাণিজ্যিক বাধার বিষয়ে গত সপ্তাহে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত। গত এপ্রিলে খবর বেরিয়েছিল, ইন্দোনেশিয়ায় নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতের প্রায় তিন লাখ টন ভোজ্য পাম অয়েল আটকে গেছে। মালয়েশিয়ার পর ইন্দোনেশিয়া থেকেই সবচেয়ে বেশি পাম অয়েল আমদানি করে ভারত। তবে প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে পাম অয়েলের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা ইন্দোনেশিয়া। দেশ দুটি চাহিদার ৮০ শতাংশের বেশি পাম অয়েল ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করে।

গত সপ্তাহে পাকিস্তান বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিভিএমএ) আশঙ্কাপ্রকাশ করেছে, দেশটিতে চলতি মাসেই পাম অয়েলের মজুত ফুরিয়ে যেতে পারে। এ কারণে পাকিস্তানের শিল্প ও উৎপাদন মন্ত্রণালয়কে দ্রুততম সময়ে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে তারা। অবশ্য পাম অয়েল আমদানিকারক দেশগুলোর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে সেটি শুরু হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

সিঙ্গাপুরের এস রাজারত্নম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (আরএসআইএস) সহযোগী ফেলো জেমস গিল্ড বলেন, আমার সন্দেহ নেই যে, আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আসবে। বিশেষ করে, ইন্দোনেশিয়া যেহেতু এ বছরের শেষের দিকে জি২০ সম্মেলন আয়োজন করতে চলেছে। একটি নির্ভরযোগ্য বাণিজ্য অংশীদার বা জি২০র সভাপতির দায়িত্বে থাকা একটি দেশের কাছ থেকে এটি সঠিক আচরণ নয়। তবে কারোরই বেশি কিছু করার নেই। ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম পাম অয়েল উৎপাদক। তাই সব তাস তাদের হাতে এবং ইন্দোনেশীয় সরকারও তার দেশীয় লক্ষ্য অর্জনের স্বার্থে কূটনৈতিক চাপ গ্রহণ করতে রাজি বলে মনে হচ্ছে।

অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম কমানোর লক্ষ্যে দাবি করে গত ২২ এপ্রিল ঘোষিত এ নিষেধাজ্ঞাকে বৈধতা দিয়েছেন ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। দেশীয় বাজারে পাম অয়েলের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, এই নিষেধাজ্ঞা স্বল্পমেয়াদী।

জাকার্তার সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএসআইএস) অর্থনৈতিক বিশ্লেষক এগা কুর্নিয়া ইয়াজিদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য মূলত স্থানীয় পাম অয়েল কোম্পানিগুলোকে বার্তা দেওয়া যে, বড় অংকের রপ্তানি মুনাফা ত্যাগ করে হলেও দেশীয় বাজারকে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

ইন্দোনেশীয় এ বিশেষজ্ঞ বলেন, এটি ইন্দোনেশিয়ার ভোক্তাদের আশ্বস্ত করারও বিষয় যে, সরকার ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে কিছু অন্তত করছে। সরকার যখন মনে করবে, এসব বার্তা পৌঁছানো হয়ে গেছে, তখনই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। সুতরাং সেই দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি পুরোপুরি স্থানীয় রাজনীতি ও অর্থনীতির বিষয়। রাষ্ট্রের কৌশলগত হিসাবে অভ্যন্তরীণ এসব লক্ষ্য অর্জন স্বল্পমেয়াদে বৈশ্বিক পরিস্থিতি জটিল করা ও বাণিজ্য অংশীদারদের বিরক্ত করার চেয়ে মূল্যবান। তবে এতে ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি আয়ে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ান পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, ২০২০ সালে দেশটি ৩ কোটি ৪০ লাখ টন পাম অয়েল রপ্তানি করে ১ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।

গ্রিনপিস ইন্দোনেশিয়ার প্রচারক এরি রোম্পাস বলেন, নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পুরোপুরি অনুমান করা কঠিন। কারণ এতে কতটা কাজ হবে এবং তা কতদিন স্থায়ী হবে তা অস্পষ্ট। এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় অপরিশোধিত পাম অয়েল মজুতের সক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। তাই সম্ভবত খুব শিগগির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর