Logo
শিরোনাম

ইরানের বিপ্লবী গার্ডকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ ঘোষণা করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইরানে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থেকে যুক্তরাজ্যের সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ইরান সরকার। এ ঘটনার জেরে দেশটির সেনাবাহিনী বিপ্লবী গার্ডকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে যাচ্ছে ব্রিটেন। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ব্রিটেনের নিরাপত্তামন্ত্রী টম টুগেনধাত ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান সমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফ বলেছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদক্ষেপ নেবে। ইরানের বিপ্লবী গার্ডকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করার অর্থ হলো এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হওয়া, এর বৈঠকে উপস্থিত হওয়া এবং জনসমক্ষে এর লোগো বহন করা একটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।  তবে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি বলে রয়টার্স জানিয়েছে। 

গত সেপ্টেম্বরে পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ইরানের কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সেই বিক্ষোভ এখনো চলছে। চলমান বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গত সপ্তাহে ইরানে থাকা ব্রিটেনের সাত নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে ইরান সরকার। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইরানকে দ্বৈত নাগরিকদের আটক করা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই অনুশীলনকে কূটনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।

এর আগে ২০১৯ সালের এপ্রিলে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, বিপ্লবী গার্ড ইরান সরকারের বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী অভিযান পরিচালনা ও বাস্তবায়ন করার প্রাথমিক মাধ্যম। সে সময় হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ওয়াশিংটন প্রথমবারের মতো অন্য কোনো দেশের সেনাবাহিনীকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করেছে। 

নিউজ ট্যাগ: ইরান

আরও খবর



টেক্সাসে ছোট বোনের গুলিতে বড় বোনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সাসের একটি অ্যাপার্টমেন্টে দুর্ঘটনাক্রমে তিন বছর বয়সী ছোট বোনের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তারই চার বছর বয়সী বড় বোনের। হ্যান্ডগান দিয়ে দুর্ঘটনাক্রমে চালানো এই গুলিতে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে। যদিও এই ঘটনার সময় ওই দুই শিশুর বাড়িতে তাদের বাবা-মাসহ পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টন শহরের কাছে। সোমবার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেক্সাসের হিউস্টনের কাছে তিন বছর বয়সী এক মেয়ে শিশু দুর্ঘটনাক্রমে তার চার বছর বয়সী বোনকে হ্যান্ডগান দিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও ওই ঘটনার সময় তাদের বাড়িতে বাবা-মাসহ পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি উপস্থিত ছিল।

হ্যারিস কাউন্টি শেরিফ এড গঞ্জালেস স্থানীয় সময় গত রোববার গভীর রাতে গুলির ঘটনা সম্পর্কে বলেন, তিন বছর বয়সী ওই শিশু গুলি-ভর্তি আধা-স্বয়ংক্রিয় একটি পিস্তল হাতে পেয়েছিল। পরিবারের সদস্যরা হঠাৎ একটি গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে বেডরুমে দৌড়ে যান এবং মেঝেতে চার বছর বয়সী মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখেন।

গঞ্জালেস জোর দিয়ে বলেন, ছোট ওই শিশুটি অনিচ্ছাকৃতভাবে গুলি চালিয়েছিল বলে মনে হয়েছে। তিনি এটিকে দুঃখজনক ঘটনা বলেও উল্লেখ করেন।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, প্রায় ৪০ শতাংশ মার্কিন পরিবারের কাছে বন্দুক রয়েছে এবং এগুলোর বেশিরভাগই এমন পরিবার যেখানে শিশুরাও রয়েছে।

তবে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির স্কুল অব পাবলিক হেলথর তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে যত পরিবারের বন্দুক রয়েছে তার অর্ধেকেরও কম পরিবার সেগুলো নিরাপদে সংরক্ষণ করে থাকে।

এএফপি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গত বছর ৪৪ হাজারেরও বেশি মানুষের আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাতে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।


আরও খবর



ক্ষমতা ধরে রাখতে পুরোনো খেলায় মেতেছে সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই অনির্বাচিত, অবৈধ, ফ্যাসিষ্ট সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার জন্য এবং বিএনপিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে পুরোনো খেলায় মেতে উঠেছে। মিথ্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, ঘরে ঘরে তল্লাশি-হয়রানির মাধ্যমে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের কারাগারে নিয়ে যে ধরনের নির্যাতন করে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। আজ সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যা মামলাকে এই সরকার প্রজেক্টের মতো নিয়েছে। এতে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হচ্ছে। নেতারা জামিন নিয়ে যখন বের হবেন, তখনই আবার জেলগেটে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এখানে আছে বাণিজ্যের ব্যাপার। কারণ, এখন পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে গেছে। আমাদেরকে প্রথম কারাগারে নেওয়ার পর কনডেম সেলে রাখা হয়েছিল কোয়ারেন্টিনের নামে। যা চরম অমানবিক। এ ক্ষেত্রে কারাবিধি মানা হয়নি। কারাগারের আচরণ ও নিপীড়ন যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। নির্বাচনের আগে সরকার আবারও বিএনপিকে মাঠশূন্য করতে চায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, ঘরে ঘরে তল্লাশি এবং হয়রানি করে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। এই হীন পরিকল্পনায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও অনেক সিনিয়র নেতাসহ  অসংখ্য কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং কারাগারে অমানবিক নির্যাতন শুরু করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা ও হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় এবং সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে কারান্তরীণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সুচিকিৎসা প্রদানে সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বুকে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ রুহুল কবির রিজভী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসে জটিলতা ও হার্টের অসুখসহ বিভিন্ন মারাত্মক অসুখে শারীরিকভাবে অসুস্থ একজন মানুষ। তিনি সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার সময় অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেন না, তাছাড়া তাকে সব সময় লাঠির ওপর ভর করে চলতে হয়। এমন এক পরিস্থিতিতে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে পুরান ঢাকার আদালতে আসার দীর্ঘ পথ প্রিজন ভ্যানে তাকে আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। এই প্রিজন ভ্যানগুলোতে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই এমনকি কোনো কিছু ধরে দাঁড়িয়ে থাকারও ব্যবস্থা নেই। অসুস্থ রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই আদালতে আনা-নেওয়া করানো হয়, যা চরম অমানবিকতা ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছারই প্রতিফলন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মূলত রিজভী আহমেদ বর্তমান সরকারের চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। বর্তমান অনৈতিক সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে আজ মানবিকতাবোধও হারিয়ে ফেলেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে একজন সোচ্চার কণ্ঠ বলেই তিনি সরকারের রোষানলের শিকার। তাঁর মতো একজন জাতীয় নেতা কারাগারে ভীষণ অসুস্থ হলেও তাঁকে সুচিকিৎসা দিতে কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও বিএনপির স্বেচ্ছাসেবা বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহবায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের রোষানলে কারাবন্দি আছেন। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্মূল ও পর্যদুস্ত করতে নিষ্ঠুর আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। কারাগারগুলোতে এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দুঃশাসন যেন আরও তীব্র মাত্রা লাভ করেছে। সরকার দেশকে বিএনপিশূন্য করতে এখন বেপরোয়া ভূমিকায় মাঠে নেমেছে। কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে চারিদিকে ভীতির বিস্তার ঘটাচ্ছে, যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ আওয়াজ করারও সাহস না পায়। বিশ্বের গণধিকৃত সব স্বৈরাচারকে টেক্কা দিয়ে জনসমর্থনহীন আওয়ামী সরকার এখন মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।  

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান স্বৈরশাহী দেশে বিরোধী দলের অস্তিত্ব ধ্বংস করে নিজেদের দুঃশাসনকে প্রলম্বিত করতে চায়। তবে জনগণ তাদের এই মনোবাঞ্ছা কোনোদিনই পূরণ হতে দেবে না। অতীতের সংগ্রামী ঐতিহ্যের ধারায় বাংলাদেশের মানুষ যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে দ্বিধা করবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি অবিলম্বে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সুচিকিৎসা প্রদান এবং তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ বিএনপির সব কারারুদ্ধ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।


আরও খবর



ইরান-সৌদির চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তেহরান তাদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে কি-না সে ব্যাপারে ওয়াশিংটন সংশয় প্রকাশ করেছে। খবর এএফপির। 

শুক্রবার এক বিবৃতিতে একথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সম্পর্কের বরফ গলাতে চীনের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে এ চুক্তি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, এ কূটনৈতিক চুক্তিকে আমরা স্বাগত জানাই। উদাহরণ হিসেবে আমরা দেখতে চাই এ চুক্তি ইয়েমেনকে শান্তির দিকে নিয়ে যাক। সেখানে এ দুটি আঞ্চলিক শক্তি বিরোধী পক্ষকে সমর্থন করে।

কিরবি বলেন, আমরা দেখব, ইরানিরা তাদের চুক্তির পক্ষকে সম্মান করছে কিনা। আর তা সত্যিই দেখার বাকি রয়েছে। এটি এমন কোন শাসনব্যবস্থা নয় যে সাধারণত তার কথাকে সম্মান করে।

তিনি বলেন, আমরা ইয়েমেনে এই যুদ্ধের পরিসমাপ্তি দেখতে চাই এবং এই চুক্তি আমাদেরকে সেই ফলাফলের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।

মার্কিন মিত্র সৌদি আরব এবং চিরশত্রু ইরানকে একত্রিত করার ক্ষেত্রে চীনের অস্বাভাবিক ভূমিকা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে কিরবি বলেন, বিদেশে এবং অভ্যন্তরীণ অসন্তোষের কারণে চাপের মুখে ইরানকে আলোচনার টেবিলে আনা হয়।

তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই চীনকে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছি, কারণ তারা নিজেদের স্বার্থে বিশ্বব্যাপী প্রভাব খাটানোর এবং পা রাখার চেষ্টা করে থাকে।


আরও খবর



ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পেটানোর অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নে মো. আল আমিন নামের এক ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগ ওঠেছে ওই ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জামাল হোসেন জাবুর বিরদ্ধে। এতে ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গুরতর আহত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত আল আমিন ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক ও একই এলাকার খাসেরহাট বাজারের ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ী। রবিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের খাসেরহাট বাজারে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো. জামাল হোসেন জাবুর ব্যক্তিগত অফিসে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

শম্ভুপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো. জামাল হোসেন জাবু তাকে মোবাইল করে কথা আছে বলে তার কার্যালয়ে ডেকে মারধর করেছেন বলে আভিযোগ আহত ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আল আমিনের। এ সময় তাকে ৪-৫ জন মিলে রড দিয়ে পিটিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো. জামাল হোসেন জাবুর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভড না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। থানায় এরকম কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশ-কাতার বিজনেস ফোরাম গঠনের আহ্বান শেখ হাসিনার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ১২৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যৌথ ব্যবসায়িক ফোরাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দুই দেশের বেসরকারি খাতগুলোকে পারস্পরিক লাভজনক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের জন্য একক প্ল্যাটফর্মে আনতে হবে। পারস্পরিক লাভজনক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আমাদের সম্পর্ককে পুনঃস্থাপন করতে হবে।

সোমবার (৬ মার্চ) কাতারের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত দোহা ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৩ দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পটেনশিয়ালস অব ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ এ ভাষণ দেওয়ার সময় এ কথা বলেন। তিনি কাতারের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের কিছু থ্রাস্ট সেক্টরের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন। সরকার অবকাঠামো ও লজিস্টিক খাত বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত রেখেছে বলেও তিনি জানান।

শেখ হাসিনা নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ জ্বালানি খাতে কাতারের বিনিয়োগের সুযোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, অফশোর গ্যাস অনুসন্ধান ও জ্বালানি বিতরণ ব্যবস্থায় কাতারের দক্ষতা থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে।

বাংলাদেশের কৃষি প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটিও কাতারের সঙ্গে বাই-ব্যাক ব্যবস্থায় কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করে। এই প্রসঙ্গে তিনি সরকারের তিনটি বিশেষ পর্যটন অঞ্চল স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, সেখানে কাতার রিয়েল এস্টেট এবং হসপিটালিটি উভয় ক্ষেত্রেই জড়িত হতে পারে।

এছাড়া কাতারের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে পোর্টফোলিও বিনিয়োগ বিবেচনা করতে পারেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পুঁজিবাজারের আরও উন্নয়নে কঠোর পরিশ্রম করছে। আমাদের বন্ড মার্কেটকে একটি দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে ব্যাঘাত বাংলাদেশের মতো দেশকে কঠিন জায়গায় ঠেলে দিয়েছে। ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে আমরা কাতার থেকে এলএনজি আমদানি বাড়াতে আগ্রহী। আমরা বাংলাদেশ থেকে আরও রফতানির সুযোগ অন্বেষণ করতে কাতারকে অনুরোধ করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও কাতার দৃঢ় ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ এবং এখানকার প্রবাসী বাংলাদেশি সম্প্রদায় দুই দেশের মানুষের মধ্যে একটি চমৎকার সেতুবন্ধন। আমি আজ কাতারের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনেক বাংলাদেশি নাগরিককে দেখে আনন্দিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এই অঞ্চলের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থা রয়েছে এবং প্রণোদনা দিচ্ছে ট্যাক্স হলিডে, মেশিনারি আমদানিতে রেয়াতমূলক শুল্ক, রয়্যালটি রেমিট্যান্স, প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও ফি, ১০০ শতাংশ বৈদেশিক ইকুইটি অনুমোদন, অনিয়ন্ত্রিত প্রস্থান নীতি, প্রস্থানের ওপর লভ্যাংশ এবং মূলধনের সম্পূর্ণ প্রত্যাবাসন সুবিধা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এক ছাদের নিচে অনেকগুলো সেবা দিচ্ছে। তার সরকার সমন্বিত সুবিধাসহ ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে এবং এখন পর্যন্ত পাঁচটি দেশের নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার একটি আঞ্চলিক সংযোগ এবং লজিস্টিক হাবের জন্য উপযোগী অবকাঠামোতে প্রচুর বিনিয়োগ করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি পদ্মা বহুমুখী সেতু, কর্ণফুলী নদীর টানেল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত তৃতীয় টার্মিনাল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রো-রেল ব্যবস্থার মতো বিভিন্ন মেগা-প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। এর সবই এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়ের সাক্ষ্য দেয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ইতোমধ্যে সমগ্র জাতিকে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট কাভারেজের আওতায় এনেছে। বাংলাদেশের প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতে সহজে প্রশিক্ষণযোগ্য কর্মীবাহিনীর একটি বড় খাত রয়েছে, যেখানে এটি নিবন্ধিত আইটি ফ্রিল্যান্সারদের বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায় পেয়েছে। দেশের ছেলেমেয়েরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যোগদানের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে। আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিজিটাল ব্যাকবোনের বিকাশে বড় লাফ দিয়েছি। আমরা ধীরে ধীরে ৩৮টি হাই-টেক পার্ক তৈরি করছি। সেখানে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এখন জ্ঞানভিত্তিক সমাজ থেকে শক্তি নিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

শেখ হাসিনা বলেন, কাতার ন্যাশনাল ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে। আমরা কাতারে উন্নত কর্মসংস্থানের বাজার পূরণে আমাদের কর্মীবাহিনীকে জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সজ্জিত করতে পারি। আমাদের জনগণের ভালো যত্ন নেওয়ার জন্য আমরা কাতার সরকার ও জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ২০২৬ সালে জাতিসংঘের এলডিসি গ্রুপ থেকে স্নাতক হওয়ার পথে রয়েছে, কারণ এর ১৬৮ মিলিয়ন মানুষ তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে এটি অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি প্রমাণ করেছে যে তার দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তাদের ভিশন বাস্তবায়ন করতে পারে। মহামারির ঠিক আগে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হারে পৌঁছেছিল।

এমনকি মহামারি চলাকালীনও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যখন এর মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, এক দশকে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে এবং ২০২২ সালে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এফডিআই পেয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ দশটি রেমিট্যান্স উপার্জনকারী দেশের মধ্যে রয়েছে এবং এটি এখন ৪৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জিডিপিসহ বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি। আমরা ২০৩০ এর প্রথমার্ধের মধ্যে ২৪তম বৃহত্তম হয়ে উঠবো বলে অনুমান করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬-২০০১ সালে প্রথম মেয়াদে তাঁর সরকার বেসরকারি খাতের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার পুরোপুরি খুলে দিয়েছিল। এখন বেসরকারি খাত বিকাশ লাভ করছে এবং আমাদের সরকার একটি সুবিধাদাতা হিসেবে কাজ করছে। আমরা আশা করি বাংলাদেশকে উন্নয়নের পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং কাতারের নেতৃত্ব ও জনগণ এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আস্থা প্রকাশ করেন।

সূত্র : বাসস


আরও খবর