যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ক্ষমতাবাহী
ইরানের ড্রোন রাশিয়ার কাছে সরবরাহ করার মানে হচ্ছে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন করা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১৭ অক্টোবর)
কিয়েভে একাধিক 'কামাকাজি' ড্রোনের হামলা চালানো হয়েছে। রাশিয়া এই হামলা করলেও এসব
ড্রোন ইরানে তৈরি বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।
এসব ড্রোন ইরানে তৈরি 'শাহিদ-১৩৬' বলে
শনাক্ত করেছে ইউক্রেন। যাকে কামাকাজি ড্রোনও বলা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের
যে ফাইটার বিমানের যোদ্ধারা আত্মঘাতী হামলা চালাতেন, তাদের নামের সঙ্গেও মিল রেখে এই
নামকরণ করা হয়।
ফরাসি ও ব্রিটিশ মিত্রদের সঙ্গে বিশ্লেষণের
পর যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে একমত হয়েছে। এভাবে সরঞ্জাম সরবরাহ করে ইরান জাতিসংঘের নিরাপত্তা
পরিষদের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করছে।
ইরানের পারমাণবিক চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত
নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, বেশ কিছু সামরিক প্রযুক্তি সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা ভিদান্ত
প্যাটেল জানান, রাশিয়া সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের গভীরতাকে সারা বিশ্ব একটি হুমকি হিসেবে
দেখবে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সামরিক সহায়তা দিয়েছিল এই
দুই দেশ।
তিনি আরও জানান, ইরানের সঙ্গে যারা ব্যবসা
করবেন, তাদের যদি ইউএভি অথবা ব্যালেস্টিক মিসাইল কর্মসূচীর সঙ্গে কোন সম্পৃক্ততা থাকে,
অথবা ইরান থেকে রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহে কোনরকম সংযোগ পাওয়া যায়, তাহলে তাদের খুব
সতর্ক হওয়া উচিত। তাদের বুঝেশুনে কাজ করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করতে
দ্বিধা করবে না।