Logo
শিরোনাম

ইসি গঠনে আইন করার কোনও সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ২০৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এই অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নের কোনও সুযোগ নেই। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি চত্বরে আয়োজিত ক্র্যাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন হওয়া উচিত মন্তব্য করে আনিসুল হক বলেন, আইন করার ব্যাপারে আমিও একমত। কিন্তু করোনাকালীন আমরা যে সংসদ বসাই, সেখানে সব সংসদ সদস্যকে ডাকি না। আমাকে বলা হয়েছিল, নির্বাচন কমিশন সিলেকশনের ব্যাপারে একটি অর্ডিন্যান্স করে দিতে। আমি বলেছি সেটা সম্ভব না। এই সংসদকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচন কমিশনের ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী আইন করতে আমরা রাজি না। এইটা হচ্ছে অবস্থা।

আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে অবস্থান আমি পরিষ্কার করছি। এই সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। আইন করার কথা বলা আছে। রাষ্ট্রপতি গত দুইবার সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে এসেছিলেন যে, একটা সার্চ কমিটি গঠন হবে। সার্চ কমিটি সেগুলোর মধ্য থেকে ১০টি নাম সুপারিশ করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে। রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং ৪ জনকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন। এটা যেহেতু মতামতের ভিত্তিতে হয়েছে এবং সে অনুযায়ীই কাজ হয়েছে; দুটি নির্বাচনও হয়েছে। যদিও এটা আইন না, তবুও এর আইনি ভিত্তি আছে।

তিনি বলেন, সার্চ কমিটির ছয় সদস্য হলেনআপিল বিভাগের একজন সিনিয়র জাস্টিস, হাইকোর্ট বিভাগের একজন জাস্টিস, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল। তারা সবাই সাংবিধানিক পদের অধিকারী। আর দুজন সিভিল সোসাইটি থেকে। এখানে রাজনৈতিক দলের কেউ নেই। সরকারি দলের কেউ নেই। তারা ১০ জনকে সিলেক্ট করে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম পাঠাবে। সবার নাম দেওয়ার ক্ষমতা আছে, অধিকার আছে। সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয় নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিতর্কের করার কোনও অবকাশ নেই।

আইনমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি সংলাপ শুরু করে দিয়েছেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেন, সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। আইনের ব্যাপারে একটা কথা হচ্ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি যেহেতু এই নির্বাচন কমিশনের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং সংসদ যখন এই আইন করতে পারবে না, তখন আমার মনে হয়, যে পদ্ধতিতে আগে হয়েছিল সে পদ্ধতিতেই হবে।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আইনি বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, অনেকে বলেছেন, ফৌজদারি ৪০১ ধারায় কাউকে বিদেশ যাওয়া বন্ধ করে না। আমি কখনও বলিনি ফৌজদারি ৪০১ ধারায় কাউকে বিদেশ যেতে দেওয়া হবে না, এ রকম কথা আমি বলিনি। আমি যেটা বলেছি, একবার নিষ্পত্তি করা দরখাস্ত আবার পুর্নবিবেচনার কোনও সুযোগ ফৌজদারি ৪০১ ধারায় নেই।

তিনি আরও বলেন, আমি যতটুকু খবর পেয়েছি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এখানে তিনি যতটুকু সম্ভব সুচিকিৎসা পাচ্ছেন। সেখানে সরকারের কোনও হাত নেই। তাদের ইচ্ছামতো তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং পাচ্ছেন।

ক্র্যাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন র‍্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তরে সসম্পাদক সাইফুল আলম, র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।


আরও খবর