ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন নড়বড়ে জোট সরকারের
ওপর বাড়তে থাকা চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ক্ষমতা থেকে সরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
নাফতালি বেনেট, তার স্থলাভিষিক্ত হবেন জোট অংশীদার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ।
এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি আইনপ্রণেতারা
আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করতে ভোট দেবেন আর তাতে দেশটিতে তিন বছরের মধ্যে
পঞ্চম নির্বাচনের পথ খুলে যাবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
১২ মাস আগে পার্লামেন্টের বিরোধীদলগুলোর প্রায় অসম্ভব এ জোট সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রেকর্ড ১২ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল। ক্ষমতাসীন জোটের সবচেয়ে বড় দলের নেতা সাবেক সাংবাদিক লাপিদ নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন।
লাপিদের পাশে দাঁড়িয়ে টেলিভিশনে দেওয়া
এক বিবৃতিতে বেনেট বলেন, “এমন এক মুহূর্তে আমরা আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি
যা সহজ নয়, কিন্তু বোঝাপড়ার মধ্যদিয়ে ইসরায়েলের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।”
বেনেটের মুখপাত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, আগামী
সপ্তাহে পার্লামেন্টে একটি ভোট হবে, এরপর লাপিদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
আট দলীয় ক্ষমতাসীন জোটের অংশীদার কট্টর
ডানপন্থি, উদারনৈতিক ও আরব দলগুলোর মধ্যে ধর্ম থেকে শুরু করে ফিলিস্তিনি ইস্যু প্রশ্নে
গভীর পার্থক্য বিদ্যমান। দলত্যাগের কারণে পার্লামেন্টে সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা হ্রাস
পাওয়া পর থেকে জোটটি ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়েছে।
জোটে থাকা মধ্যপন্থি দলের প্রধান প্রতিরক্ষামন্ত্রী
বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, “আমি মনে করি গত বছরজুড়ে সরকার বেশ ভালো
কাজ করেছে। দেশকে নির্বাচনে টেনে নিয়ে যেতে হচ্ছে, এটি লজ্জাজনক। কিন্তু অস্থায়ী সরকার
হিসেবে যতদিন সম্ভব আমরা কাজ চালিয়ে যাব।”
পরবর্তী পার্লামেন্ট নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত
হবে তার তারিখ ঘোষণা করা হয়নি, কিন্তু অক্টোবরে তা হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি
গণামধ্যম।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
জো বাইডেনের পরিকল্পিত সফরের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে ইসরায়েলের ক্ষমতার রাজনীতিতে এসব
পালাবদল হচ্ছে। বাইডেনের ওই সফর দীর্ঘদিনের শত্রু ইরানের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক নিরাপত্তা
মিত্রতা আরও জোরদার করতে সহায়তা করবে বলে আশা ইসরায়েলের।