জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গতকাল শুক্রবার
ইথিওপিয়ার যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে সমস্ত শত্রুতা বন্ধ এবং যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করার জন্য
আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছে। সংঘাতের ফলাফল নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব
নেতারা।
বিশেষকরে ইথিওপিয়া ও পূর্ব আফ্রিকার স্থিতিশীলতার
ব্যাপারে সতর্ক করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। সব পক্ষকে ঘৃণামূলক বক্তব্য, সহিংসতা ও বিভেদ
সৃষ্টির প্ররোচনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। লিবিয়ান এক্সপ্রেস।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির
পাশাপাশি, আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ইথিওপিয়ান জাতীয়
সংলাপ শুরু করা দরকার। এতে সারাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি তৈরি হবে।
সংঘাতরত পক্ষগুলোকে আন্তর্জাতিক মানবিক
আইনের প্রতি শ্রদ্ধা, নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন মানবিক প্রবেশাধিকার এবং জনসেবা পুনঃপ্রতিষ্ঠার
জন্য আহ্বান জানিয়েছে কাউন্সিল। একইসঙ্গে বিশ্বনেতারা মানবিক সহায়তা আরও বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি
দেন।
খবরে বলা হচ্ছে, ইথিওপিয়ার টাইগ্রে বিদ্রোহীরা
সম্প্রতি সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে বড় অগ্রগতি লাভ করেছে। তারা রাজধানী
আদ্দিস আবাবায় প্রবেশ করে এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে জোট বেধে আরও কিছু অঞ্চল
দখলের দাবি করে।
টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফোর্সেস এবং ওরোমো
লিবারেশন আর্মি প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একটি
ঐক্যফ্রন্ট ঘোষণা করেছে। তাদের জোটে আরও সাতটি দল রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ইথিওপিয়ার ৫৪৭
সিটের পার্লামেন্ট সভা করে এবং সর্বসম্মত ভোটের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক দেশব্যাপী
ছয়মাসের জরুরি অবস্থার অনুমোদন দেয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট বলছেন, ইথিওপিয়ান সরকারি বাহিনী এবং ইরিত্রিয়া থেকে তাদের মিত্ররা মিলে ইথিওপিয়ায় বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর টাইগ্রে সংঘাত শুরু হয়। এই সপ্তাহে টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফোর্স এক বছর পূর্ণ করেছে। তবে সংঘাত শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।