Logo
শিরোনাম

ইতিহাসে আজকের এই দিনে: ০২ জুলাই

প্রকাশিত:শনিবার ০২ জুলাই 2০২2 | হালনাগাদ:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | ১০৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আজ ২ জুলাই ২০২২, শনিবার। ১৮ আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ। গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ১৮৩ তম (অধিবর্ষে ১৮৪ তম) দিন। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি:

৬৮৪ - কাবা ঘরের সংস্কার করা হয়।

৭১২ - মোহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয়।

১৭৫৬ - নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলকাতার নাম দেন আলীনগর।

১৭৭৬ - মন্টিনেন্টাল কংগ্রেস কর্তৃক আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা।

১৭৮১ - মহিশুরের হায়দার আলী ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে পরাজিত।

১৮৮৯ - ব্রাজিলে এক রক্তপাতহীন আন্দোলনের মাধ্যমে রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটে এবং গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৯০ - আফ্রিকায় ক্রীতদাস প্রথা বিলোপ এবং মাদক ব্যবসা বন্ধের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ব্রাসেলস চুক্তি পাস।

১৯৩০ - বাংলা ভাষা আন্দোলন-সংগ্রামের প্রথম সূতিকাগার এবং বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলন-সংগ্রামের অন্যতম জাতীয় রাজনৈতিক নেতা ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত আইন অমান্য আন্দোলনের জন্য ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক গ্রেপ্তার হন।

১৯৩৭ - আটলান্টিক অতিক্রমকারী প্রথম নারী বৈমানিক আমেলিয়া ইয়ারহার্ট রহস্যজনকভাবে বিমানসহ নিখোঁজ।

১৯৬১ - সত্যাগ্রহ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আসামের ভাষা পরিষদ ভাষা দাবি দিবস পালন করে।

১৯৬৪ - মার্কিন প্রেসিডেন্ট জনসেন নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত আইন স্বাক্ষর করেন ।

১৯৬৭ - আদমশুমারি জালিয়াতির বিরুদ্ধে আসামের দাবি সপ্তাহ ১২ দিন দীর্ঘায়িত করা হয় এবং কাছাড় জেলার সর্বত্র পাবলিক সভা সমাবেশ করা হয় ।

১৯৭২ - ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

১৯৭৬ - রিপাবলিকক অব ভিয়েতনাম ভেঙে যায়। সমাজতান্ত্রিক উত্তর ভিয়েতনাম সোশ্যালিস্ট রিপাবলিক অব ভিয়েতনাম ঘোষণা করে।

১৯৭৭ - পশ্চিমবঙ্গের সীমানার মধ্যেই দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলকে স্বশাসিত অঞ্চল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয় রাজ্য ক্যাবিনেটে।

১৯৯৮ - যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিং রচিত হ্যারি পটার উপন্যাস সিরিজের দ্বিতীয় বই হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অফ সিক্রেটস প্রকাশিত হয়।

২০০৩ - নর্থইষ্ট ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন (নিপকো) নামে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

২০০৯ - দিল্লি হাইকোর্টের একটি রায়ে স্পষ্টত জানানো হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিক্রমে সমকামিতার আচরণ অপরাধের আওতায় পড়ে না।

জন্ম:

১৭৩০ - জোসিয়া ওজেউড, ইংল্যান্ডের পটুয়া।

১৮৪৫ - যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ, বাঙালি সংস্কৃত পণ্ডিত,চিন্তাবিদ,সাংবাদিক ও জনপ্রিয় জীবনীগ্রন্থের প্রণেতা।

১৮৫৪ - জর্জ ইস্টম্যান, আমেরিকান উদ্ভাবক ও ইস্টম্যান কোডাক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা।)

১৮৬৩ - আলবেয়ার কালামেত্ত, বিসিজি টিকার উদ্ভাবক ফরাসি জীবাণুবিদ।

১৮৬৫ - জর্জ ওয়াশিংটন কার্ভার, আফ্রো-আমেরিকান বিজ্ঞানী, আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে প্রভূত উন্নত সাধন করেন।

১৮৬৯ - শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিশিষ্ট সাংবাদিক।

১৮৭৭ - হেরমান হেস, জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইজারল্যান্ডীয় কবি এবং চিত্রকর

১৯০৪ - পাবলো নেরুদা,১৯৭১ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী চিলির কবি,কূটনীতিজ্ঞ ও রাজনীতিক।

১৯০৬ - জার্মান-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী হান্স আলব্রেশ্‌ট বেটে জার্মানির স্ট্রাসবুর্গে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯০৯ - বিমল রায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক।

১৯১৩ - উইলিস ইউগেন ল্যাম্বে, নোবেলজয়ী [১৯৫৫] মার্কিন পদার্থবিদ।

১৯২১ -সুকুমারী ভট্টাচার্য,প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্য, ইতিহাস, সংস্কৃতির বিদগ্ধ গবেষক ও প্রখ্যাত অধ্যাপক।

১৯২৩ - নোবেল বিজয়ী পোলিশ কবি বিস্লাভা সিমবরস্কা।

১৯২৫ - কঙ্গোর স্বাধীনতা সংগ্রামী জননেতা প্যাট্রিস লুমুম্বা।

১৯৩৭ - লিওনেল জস্‌পাঁ, ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

১৯৬৫ - সঞ্জয় মঞ্জরেকর, ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটার।

১৯৭৮ - টোফার গ্রেস, মার্কিন অভিনেতা।

১৯৯০ - রেচেল ব্রসনাহ্যান, মার্কিন ও ব্রিটিশ অভিনেত্রী।

মৃত্যু:

৯৩৬ - জার্মানির রাজা হেনরি দ্য ফাউলার।

১৫৬৬ - ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা, জ্যোতিষী, লেখক এবং ঔষধ প্রস্তুতকারক ও চিকিৎসা সামগ্রী বিক্রেতা নস্ট্রাদামুস বা মিকেল দে নস্ট্রাদাম।

১৫৯১ - বিখ্যাত ইতালীয় সংগীতজ্ঞ ভিনসেঞ্জো গ্যালিলি (বিজ্ঞানি গ্যালিলিও গ্যালিলির বাবা)।

১৭৫৭ - নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে মীরনের আদেশে মোহাম্মদী বেগ জাফরাগঞ্জ প্রাসাদের একটি কক্ষে হত্যা করে।

১৭৭৮ - ফরাসি দার্শনিক ও রাষ্ট্রতাত্ত্বিক জাঁ জ্যাক রুশো।

১৮৪৩ - হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আবিষ্কারক জার্মানীর স্যামুয়েল হ্যানিম্যান।

১৮৮১ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০তম প্রেসিডেন্ট জেমস আব্রাহাম গারফিল্ড।

১৯২৯ - বাঙালি নাট্যকার ও নাট্য অভিনেতা অমৃতলাল বসু।

১৯৬১ - বিখ্যাত মার্কিন লেখক আরনেষ্ট হেমিংওয়ে।

১৯৭৭ - রুশ-মার্কিন লেখক মোঁত্রো ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরভিচ নাবকফ।

১৯৯০ - মক্কা নগরীর নিকটে মিনার সুড়ঙ্গ দূর্ঘটনায় ১৪১৬ জন হাজী মারা যান।

১৯৯৪ - কলম্বিয়ার ফুটবল খেলোয়াড় এসকোবা একজন অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন ।

১৯৯৯ - আমেরিকার লেখক মারিও পুজো।

নিউজ ট্যাগ: ইতিহাসে এই দিনে

আরও খবর

২০ ফেব্রুয়ারি: ইতিহাসের এই দিনে

সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23

১৯ ফেব্রুয়ারি : ইতিহাসের এই দিনে

রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর