Logo
শিরোনাম

ইতিহাসে আজকের এই দিনে: ২১ জুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ২৯০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আজকের দিনটি কাল হয়ে যায় অতীত। তাই প্রতিটি দিনই এক একটি ইতিহাস। আজ ২১ জুন ২০২২, মঙ্গলবার। ৭ আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ। গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ১৭২ তম (অধিবর্ষে ১৭৩ তম) দিন।

এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের আজকের এই দিনে কি কি ঘটেছিল। কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন।

ইতিহাসের পাতায় ২১ জুনের ঘটনাবলি :

১৭৮৮ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান কার্যকর করা হয়।

১৮৬২ - অবিভক্ত ভারতের প্রথম ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্র মোহন ঠাকুর ইংল্যান্ডের লিংকন ইন থেকে ব্যারিস্টারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

১৮৯৮ - যুক্তরাষ্ট্র স্পেনের হাত থেকে গোয়াম দখল করে নেয়।

১৯১৬ - তুরস্কের বিরুদ্ধে আরবদের বিদ্রোহ।

১৯৩৫ - প্যারিতে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় শিল্পী সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্যাসিবিরোধী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৪৮ - স্বাধীন ভারতের প্রথম ও শেষ গভর্নর জেনারেল হন চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী

১৯৭০ - ব্রাজিলের তৃতীয়বার জুলে রিমে’ কাপ বিজয় ও সে কাপের স্থায়ী অধিকার লাভ।

১৯৭২ - বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাম্বিয়া।

১৯৭৬ - ফ্রান্সের রেডিও স্টেশনের আমেরিকান মিউজিশিয়ান জোয়েল কোহেন প্রথম বিশ্ব সংগীত দিবসের প্রস্তাব করেন।

১৯৭৭ - পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভা শপথ নেয় এবং জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৮১ - ইসলামি ইরানের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ইমাম খোমেনি (র.) ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আবুল হাসান বনিসদরের প্রতি সংসদের অনাস্থা ও প্রেসিডেন্ট পদে তাকে অযোগ্য ঘোষণার রায় অনুমোদন করেন।

১৯৮৫ - সালের এই দিন থেকে ইউরোপ এবং পরে পৃথিবীতে বিশ্বসংগীত দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়।

১৯৯০ - ইরানে ভূমিকম্পে ৪০ হাজার লোক নিহত।

১৯৯৪ - পশ্চিমা দুনিয়ার শর্ত মেনে নিয়ে রাশিয়া ন্যাটোতে যোগ দেয়।

২০০২ - বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর পদত্যাগ। স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

২০০৪ - মহাশূন্যে প্রথম বেসরকারি মহাকাশযান স্পেসশিপ ওয়ান সফলভাবে উড্ডয়ন করে।

২০২০ - বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত।

আজ যাদের জন্ম হয় :

১৭৮১ - সিমেওঁ দ্যনি পোয়াসোঁ, ফরাসি গণিতবিদ, জ্যামিতিবিদ, এবং পদার্থবিজ্ঞানী।

১৮৩৯ - মাচাদো দে অ্যাসিস, ব্রাজিলের বিখ্যাত ঔপন্যাসিক, কবি, নাট্যকার ও ছোট গল্পকার ছিলেন।

১৮৫৬ - ফ্রিড্‌রিশ ক্লুগে, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী।

১৮৮২ - লুইস কোম্পানিস, কাতালোনিয়ার ১২৩তম রাষ্ট্রপতি।

১৯০৫ - জঁ-পল সার্ত্র্‌, ফরাসি অসিত্ত্ববাদী দার্শনিক, নাট্যকার, সাহিত্যিক এবং সমালোচক।

১৯২১ - জুডি হলিডে, মার্কিন অভিনেত্রী, কৌতুকাভিনেত্রী ও গায়িকা।

১৯২৫ - মরিন স্ট্যাপলটন, আমেরিকান অভিনেত্রী।

১৯৩৭ - জন এডরিচ, সাবেক ও বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।

১৯৪০ - বিকাশ ভট্টাচার্য, প্রখ্যাত ভারতীয় চিত্রশিল্পী।

১৯৪৩ - রাহিজা খানম ঝুনু, একুশে পদক বিজয়ী বাংলাদেশি নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যশিক্ষক।

১৯৪৪ - টনি স্কট, একজন ইংরেজ চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক।

১৯৪৫ - নির্মলেন্দু গুণ, বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার গুরুত্বপূর্ণ কবিদের একজন।

১৯৪৭ - শিরিন এবাদি, ইরানের একজন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী।

১৯৪৮ - ইয়ান ম্যাকইউয়ান, খ্যাতিমান ইংরেজ ঔপন্যাসিক।

১৯৫২ - জেরেমি কোনি, সাবেক ও বিখ্যাত নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।

১৯৫৩ - বেনজীর ভুট্টো, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

১৯৫৫ - মিশেল প্লাতিনি, ফরাসি ফুটবলার এবং পরিচালক।

১৯৬১ - জোকো উইদোদো, ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপতি।

১৯৬৫ - ওয়াচৌস্কি ভ্রাতৃদ্বয়, আমেরিকান পরিচালক, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার।

১৯৬৭ - ইংলাক সিনাওয়াত্রা, থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

১৯৭৯ - ক্রিস প্রাট, আমেরিকান অভিনেতা।

১৯৮২ - প্রিন্স উইলিয়াম, ডিউক অব কেমব্রিজ।

১৯৮৩ - এডওয়ার্ড স্নোডেন, আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক সদস্য।

আজ যাদের মৃত্যু হয় :

৮৭০ - আল-মুহতাদি, ছিলেন ১৪শ’ আব্বাসীয় খলিফা।

১০৩৭ - ইবনে সিনা, মধ্যপ্রাচ্যের কিংবদন্তিতুল্য দার্শনিক, চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী।

১৯১৪ - বের্টা ফন জুটনার, অস্ট্রীয় ঔপন্যাসিক এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রথম নারী কবি।

১৮৫২ - ফেড্রিক ফ্রোবেল, জার্মান ধর্মযাজক ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সূচনা কারী।

১৯৫৭ - ইয়োহানেস স্টার্ক, বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯৫৪ - গিডিয়ন সানবেক, সুয়েডীয়-আমেরিকান তড়িৎ প্রকৌশলী।

১৯৭০ - সুকর্ণ, ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি।

১৯৯১ - রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশি কবি, গীতিকার।

১৯৯৭ - শিনতারো কাতসু, জাপানি অভিনেতা, গায়ক, প্রযোজক ও পরিচালক।

২০০৪ - লিওনেল ব্রিজোলা, ব্রাজিলিয়ান রাজনীতিবিদ।

দিবস:

আন্তর্জাতিক যোগ দিবস।

বিশ্বসংগীত দিবস।

নিউজ ট্যাগ: ইতিহাসে এই দিনে

আরও খবর

২০ ফেব্রুয়ারি: ইতিহাসের এই দিনে

সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23

১৯ ফেব্রুয়ারি : ইতিহাসের এই দিনে

রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর